ভারতের দিল্লিতে চলন্ত বাসে ধর্ষণের শিকার হয়ে মারা যাওয়া সেই নির্ভয়ার চার ধর্ষকের ফাঁসি ফের পিছিয়েছে। পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত মৃত্যুদণ্ডে স্থগিতাদেশ দিয়েছে দিল্লির পাতিয়ালা হাউস কোর্ট।
Published : 02 Mar 2020, 04:59 PM
সোমবারই রাষ্ট্রপতি রামনাথ রামনাথ কোবিন্দের কাছে প্রাণভিক্ষার আবেদন জানান দণ্ডিত পবন গুপ্ত। সে আবেদন এখন রাষ্ট্রপতির বিবেচনাধীন। এ অবস্থাতেই ফাঁসি স্থগিত রাখার নির্দেশ দিয়েছে আদালত।
যদিও একই আবেদন সোমবারই খারিজ করেছে সুপ্রিম কোর্টও। দিল্লি পাতিয়ালা আদালতের জারি করা মৃত্যু পরোয়ানা অনুযায়ী, মঙ্গলবার সকাল ৬ টাতেই তিহাড় জেলে ফাঁসি হওয়ার কথা ছিল চার অপরাধীর। কিন্তু, আইনি 'জটিলতা'র মধ্যে এবার তাও অনির্দিষ্টকালের জন্য পেছাল। এ নিয়ে নানা প্রশ্ন উঠছে।
আইন অনুযায়ী, মৃত্যুদণ্ডে দণ্ডিতদের সব আইনি বিকল্প শেষ হওয়ার পরও ১৪ দিন সময় দিতে হয় প্রস্তুতির জন্য। এ সময়ের মধ্যে দণ্ডিতদের মানসিকভাবে তৈরি করা, পরিবারের লোকজনকে সব আইনি প্রক্রিয়া বোঝানো-সহ যাবতীয় প্রস্তুতির কাজ করতে হয় জেল কর্তৃপক্ষকে।
সেক্ষেত্রে ফাঁসি পিছিয়ে ২০ মার্চে হতে পারে। আবার আইনজীবীদের একাংশের মতে, প্রাণভিক্ষার আবেদন রাষ্ট্রপতি খারিজ করলে সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টে ফের যেতে পারেন পবন। তেমন হলে আরও পিছিয়ে যাবে ফাঁসি।
পবনের আইনজীবী সোমবার রাষ্ট্রপতির সিদ্ধান্ত না আসা পর্যন্ত ফাঁসিতে স্থগিতাদেশ দেওয়ার আবেদন করেছিলেন পাতিয়ালা কোর্টে। তাতেই অনির্দিষ্টকালের জন্য ফাঁসি পিছিয়ে দেন বিচারপতি ধর্মেন্দ্র রানা।
ফাঁসিতে স্থগিতাদেশ দেওয়ার সময় তিনি বলেন, ‘‘আসামির প্রাণভিক্ষার আবেদন নিয়ে যখন কোনও সিদ্ধান্ত হয়নি, সে অবস্থায় ফাঁসি কার্যকর করা যায় না। তাই ৩ মার্চ সকাল ৬টায় যে ফাঁসি হওয়ার কথা ছিল, পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত তা স্থগিত রাখা হল।’’
২০১২ সালের ১৬ ডিসেম্বর দিল্লির রাস্তায় চলন্ত বাসে প্যারামেডিক্যালের এক তরুণীকে ধর্ষণ এবং পরে হাসপাতালে তার মারা যাওয়ার ঘটনা গোটা ভারতে আলোড়ন তুলেছিল। ধর্ষকদের ছয় জনের মধ্যে একজন নাবালক হওয়ায় তিন বছর হোমে থেকে মুক্তি পেয়ে যায়। আরও একজন রাম সিং তিহাড় জেলেই আত্মহত্যা করে। বাকি চারজনের ফাঁসি নিয়েই চলছে এ কালক্ষেপণ।