ভারতের উত্তর প্রদেশের কানপুরে ট্রেন লাইনচ্যুত হয়ে অন্তত ১২০ জন নিহত হয়েছে বলে দেশটির সংবাদমাধ্যমগুলো জানিয়েছে।
Published : 20 Nov 2016, 08:15 AM
এনডিটিভি জানিয়েছে, স্থানীয় সময় শনিবার রাত ৩টার দিকে কানপুর থেকে ১০০ কিলোমিটার দূরে পুখরাইয়া এলাকায় ইন্দোর-পাটনা এক্সপ্রেসের ১৪টি বগি লাইন ছেড়ে বেরিয়ে পরস্পরের সঙ্গে ধাক্কা খেয়ে দুমড়ে মুচড়ে যায়। ট্রেনের অধিকাংশ যাত্রী তখন ঘুমাচ্ছিলেন।
কানপুরের পুলিশ প্রধান জাকি আহমেদকে উদ্ধৃত করে আইএএনএস জানিয়েছে, দুর্ঘটনায় ১২০ জন নিহত হয়েছেন। আহত ৪০ জন বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন।
কানপুরের জেলা হাকিম কৌশল রাজ শর্মাকে উদ্ধৃত করে রয়টার্স জানিয়েছে, ১১৯ জন নিহত হয়েছেন এই দুর্ঘটনায়। আহত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি আছেন ৭৮ জন। চারজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক।
ইংরেজি দৈনিক হিন্দুর অনলাইন সংস্কারণে বলা হয়, সন্ধ্যা পর্যন্ত দেড় শতাধিক মানুষকে আহত অবস্থায় উদ্ধার করে পাঠানো হয়েছে হাসপাতালে।
ওই ট্রেনের আরোহী কৃষ্ণ কেশব বিবিসিকে বলেন, “প্রচণ্ড ঝঁকিতে আমাদের ঘুম ভেঙে যায়। সবাই খুব আতঙ্কের মধ্যে ছিলাম। আমি অনেকগুলো লাশ দেখেছি, অনেক মানুষ আহত হয়েছে।”
নিহতদের অধিকাংশই ছিলেন ইঞ্জিনের ঠিক পেছনে উল্টে যাওয়া দুটি বগির আরোহী। অনেক বগি দুমড়ে মুচড়ে যাওয়ায় ভেতরে আটকা পড়া যাত্রীদের উদ্ধারের জন্য গ্যাস কাটার ব্যবহার করতে হচ্ছে। আহতদের তাৎক্ষণিক চিকিৎসা দিতে একটি মেডিকেল টিমও ঘটনাস্থলে পৌঁছেছে বলে উত্তর প্রদেশ পুলিশের এডিজি দলজিত সিং চৌধুরী জানিয়েছেন।
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এক টুইটে এ দুর্ঘটনায় হতাহতের ঘটনায় গভীর শোক প্রকাশ করেছেন। তিনি জানিয়েছেন, রেলমন্ত্রী সুরেশ প্রভুর সঙ্গে কথা বলে নির্দেশনাও দিয়েছেন।
আর রেলমন্ত্রী সুরেশ প্রভু এক টুইটে বলেছেন, এ দুর্ঘটনার জন্য যারাই দায়ী হোক না কেন, তাদের কঠোর শাস্তির মুখোমুখি হতে হবে।
কানপুর ভারতের একটি গুরুত্বপূর্ণ রেলওয়ে জংশন, যে স্টেশন দিয়ে প্রতিদিন কয়েকশ ট্রেন যাতায়াত করে। দুর্ঘটনার কারণে ওই পথের ট্রেনগুলোকে অন্যপথে যেতে বলেছে রেল কর্তৃপক্ষ।
বিবিসি লিখেছে, সোয়াশ কোটি মানুষের দেশ ভারতে প্রতিদিন প্রায় ২ কোটি ৩০ লাখ মানুষ বিস্তৃত ট্রেন নেটওয়ার্ক ব্যবহার করে। কিন্তু যন্ত্রপাতি পুরনো হওয়ায় প্রায়ই সেখানে বিভিন্ন দুর্ঘটনা ঘটে।