স্থল সীমান্ত চুক্তিতে বাংলাদেশের ভাগে পড়লেও মুহুরীর চর হস্তান্তরে আপত্তি জানিয়েছে ভারতের ত্রিপুরার রাজ্য সরকার।
Published : 10 Oct 2015, 12:33 PM
চুক্তি অনুযায়ী হস্তান্তরের আগে সেখানে আবার জরিপ চালাতে নয়া দিল্লিতে ধরনা দিচ্ছে তারা।
রাজ্যটির রাজস্ব মন্ত্রী বাদল চৌধুরীকে উদ্ধৃত করে বিবিসি বলেছে, বাংলাদেশকে ‘প্রাপ্যের চেয়েও বেশি’ জমি দেওয়া হচ্ছে বলে ত্রিপুরার এই আপত্তি।
১৯৭৪ সালে মুজিব-ইন্দিরা চুক্তি এবং তারপর ২০১১ সালে স্বাক্ষরিত প্রটোকল অনুসারে এই বছরই দুই দেশের ছিটমহল বিনিময় হয়। অপদখলীয় ভূমি সমস্যার সমাধানও হতে যাচ্ছে।
চুক্তি ও প্রটোকল অনুসারে মুহুরীর চরের ৩৬ একর জমি বাংলাদেশ পাবে বলে বাদল চৌধুরী জানান।
“ওই জমি দিয়ে দিতে আমাদের কোনো আপত্তি নেই। কিন্তু চুক্তির বাইরে গিয়ে আরও প্রায় ১২-১৩ একর জমি বাংলাদেশকে দেওয়ার কথা বলা হচ্ছে।”
এই অতিরিক্ত জমি বিলোনিয়া শহরের অংশ দাবি করে ত্রিপুরা রাজ্য সরকার ২০১১-র প্রটোকল অনুযায়ী নতুন করে সীমানা নির্ধারণের প্রস্তাব করেছে। এজন্য তারা কেন্দ্রীয় সরকারকে একাধিকবার চিঠি দিয়েছে বলেও বাদল জানান।
তিনি বলেন, “২০১১ সালের প্রটোকল সই হওয়ার পর ভারত-বাংলাদেশের যে যৌথ জরিপ হয়েছিল, তখন দুই দেশের জরিপকর্মীরা অতিরিক্ত জমি বাংলাদেশের দিকে চিহ্নিত করলে এই সমস্যার সূত্রপাত হয়।
বাদলকে উদ্ধৃত করে বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমের আগরতলা প্রতিনিধি জানান, গত জুলাইয়ে ঢাকায় দু্ই দেশের ‘জয়েন্ট বাউন্ডারি ওয়ার্কিং গ্রুপের’ বৈঠকে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের প্রতিনিধি এই সমস্যার বিষয়টি তুলেছিলেন।
“তবে এই সমস্যার সমাধান ‘জয়েন্ট বাউন্ডারি ওয়ার্কিং গ্রুপের’ হাতে নেই। এটা করতে হবে দুই দেশের সরকারি পর্যায়ের বৈঠকে, ” কেন্দ্রীয় পররাষ্ট্রমন্ত্রী ষুষমা স্বরাজকে লেখা চিঠিতে বলেছেন ত্রিপুরার মন্ত্রী।
বাংলাদেশের কাছে হস্তান্তর করা জমির জন্য জমি-মালিকদের ক্ষতিপূরণ এবং চুক্তি অনুযায়ী মুহুরি নদীর পাড় বাঁধাতে কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে ৪০ কোটি ভারতীয় রুপি চেয়েছে ত্রিপুরা সরকার।
বিলোনিয়া শহর ঘেঁষে নতুন সীমানা নির্মাণের কারণে সেখানে বাড়তি বিএসএফ চাওয়া হয়েছে বলেও জানান রাজ্যমন্ত্রী বাদল।