ব্যায়ামের যে ভুলে বাড়ছে শারীরিক ক্ষয়

শুধু ব্যায়াম করলেই হয় না, সঠিক নিয়ম মানা হচ্ছে কি-না সেই দিকেও নজর রাখা দরকার।

লাইফস্টাইল ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 4 Oct 2022, 05:21 AM
Updated : 4 Oct 2022, 05:21 AM

অনেক ব্যায়াম প্রশিক্ষকও হয়ত এসব বিষয়ে সাবধান করবে না।

ব্যায়ামের রুটিনের কিছু ভুল হয়ত ক্রমেই উপকারের বদলে স্বাস্থ্যের ক্ষতি করছে।

ভুল দেহভঙ্গীর কারণে শারীরিক আঘাত

ব্যায়াম করার সময় এই ভুল প্রায়ই মানুষকে করতে দেখা যায়।

‘ইট দিস ডটকম’য়ে প্রকাশিত প্রতিবেদনে যুক্তরাষ্ট্রের ব্যায়াম প্রশিক্ষক এবং ‘মেডিকাল কনটেন্ট অ্যান্ড এডুকেশন অ্যাট রো’য়ের পরিচালক ডা. মাইক বোল বলেন, “ব্যায়াম করার সময় শরীরকে সঠিক অবস্থানে ধরে রাখা এবং ব্যায়ামের সঠিক কৌশল না জানা মস্ত বড় ভুল। এর মাশুল গুনতে হতে পারে দীর্ঘস্থায়ী আঘাত পাওয়ার মাধ্যমে। কারণ প্রতিনিয়ত ভুল কৌশলে ব্যায়াম করতে থাকলে পেশি ও হাড়ের জোড়ে বেকায়দায় চাপ পড়তে থাকবে। আর স্থায়ী ব্যথা তৈরি হয়ে যাবে।”

“একই দলভুক্ত পেশি, কিন্তু কাজ ভিন্ন- এমন পেশি-সমষ্টিকে উন্নত করার ব্যায়ামের সময় বিশেষ সবধানতা প্রয়োজন।”

যেমন- ‘বাইসেপস’ এবং ‘ট্রাইসেপস’।

এই দুই পেশির মধ্যে জোরের সমতা না থাকলে, সমানভাবে ব্যায়াম না করলে ভারসাম্য নষ্ট হবে। ফলে নড়াচড়ার ক্ষমতা কমবে, ব্যথা হবে। এতে পুরো শরীরের স্বাভাবিক অবস্থান বা ‘পশ্চার’ ক্ষতিগ্রস্ত হবে।

সঠিক ‘পশ্চার’ বজায় রাখার জন্য পাঁচটি ‘কাইনেটিক চেইন চেক পয়েন্ট’য়ের দিকে খেয়াল রাখতে হবে।

এগুলো হল- গোড়ালি ও পায়ের পাতা, দুই হাঁটু, ‘লাম্বার স্পাইন’ আর ‘পেলভিস’, দুই কাঁধ এবং মাথা। গোড়ালি আর পায়ের পাতা সমান্তরালে থাকতে হবে। দুই হাঁটু থাকবে পায়ের বুড়া আঙুলের সোজাসুজি। ‘লাম্বার স্পাইন’ আর ‘পেলভিস’ বাঁকানো থাকবে না, চাপমুক্ত অবস্থায় থাকবে। দুই কাঁধ থাকবে সোজা। মাথাও থাকবে সোজা।”

‘স্ট্রেচিং’ না করা

ডা. বোল বলেন, “স্ট্রেচিং’ অবহেলা করলে দ্রুত শরীরের বয়স বা ক্ষয় বেড়ে যাবে। প্রধান ব্যায়ামের আগে পেশি গরম হওয়া জরুরি, এজন্য দরকার ‘ডাইনামিক স্ট্রেচিং’। আর ব্যায়ামের শেষে চাই ‘স্ট্যাটিক স্ট্রেচিং’ যা পেশিকে শিথিল করবে।”

‘স্ট্রেচিং’গুলো না করলে ব্যায়ামের সময় আঘাত লাগার প্রবল সম্ভাবনা থাকে। পাশাপাশি বিভিন্ন পেশির মধ্যে ভারসাম্যহীনতার আশঙ্কাও বাড়বে।

অতিরিক্ত ব্যায়াম, বিশ্রামের অভাব

ব্যায়ামের সুফল পাওয়ার একটি অংশ হল পর্যাপ্ত বিশ্রাম। পেশিকে বিশ্রাম না দিলে কর্মক্ষমতা কমে যাবে, অবসাদগ্রস্ত হয়ে পড়বেন। আরও মারাত্মক ব্যাপার হল পেশি গড়ে ওঠার পরিবর্তে ভাঙতে থাকবে।

ব্যায়ামের দুটি ‘সেট’য়ের মাঝে বিশ্রাম নিতে হবে। আবার ব্যায়াম থেকে একদিন করে ছুটিও নিতে হবে।

একই রকম ব্যায়াম করে যাওয়া

বোল বলেন, “দিনের পর দিন একই ব্যায়াম করে যাওয়াটা ভুল। ব্যায়াম মানেই শুধু ভার ওঠানো আর ‘কার্ডিও’ করা নয়। এর বাইরেও আরও অনেক ধরনের ব্যায়াম আছে, ‘কোর ট্রেইনিং’, ‘প্লায়োমেট্রিকস’, ক্ষীপ্রতার প্রশিক্ষণ ইত্যাদি। সব ধরনের ব্যায়ামই থাকা উচিত শরীরচর্চার রুটিনে।”

আরও পড়ুন:

Also Read: ব্যায়াম উপযোগী অন্তর্বাস

Also Read: ব্যায়ামের যে ভুলে আয়ু কমতে পারে

Also Read: ব্যায়াম করলেও কি সাদা ভাত রুটি বাদ দিতে হয়?