শরীরচর্চার সঠিক পদ্ধতি বেছে নেওয়া যেমন জরুরি তেমনি ভালো মানের এবং আরামদায়ক কাপড়ের পোশাক বেছে নেওয়াও গুরুত্বপূর্ণ।
Published : 24 Jan 2019, 01:28 PM
মানানসই পোশাক শরীরচর্চার অনুপ্রেরণা বাড়াতে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা পালন করে, ফলে দ্রুত ক্যালরি খরচ করা সম্ভব হয়।
তাই ঘামের ভয়ে পুরানো ঢিলেঢালা পোশাকের বদলে শরীরচর্চার জন্য বিশেষায়িত পোশাক পরা উচিত। বিশেষত অন্তর্বাস।
প্রত্যেকের জন্যই বিষয়টি প্রযোজ্য। আর সেই বিষয়গুলোই জানানো হল স্বাস্থ্যবিষয়ক একটি ওয়েবসাইটে প্রকাশিত প্রতিবেদন অবলম্বনে।
কেনো গুরুত্বপূর্ণ?
শরীরচর্চার সময় প্রচুর ঘাম হয়। এই ঘাম পোশাকে জমে। সেখানে থাকা জীবাণু ক্রমাগত ত্বকের সংস্পর্শে আসতে থাকে। ব্যায়ামের সময় ত্বকের সঙ্গে কাপড়ের ঘর্ষণ হয়।
বাতাস চলাচল করতে পারে এমন অন্তর্বাস না পরলে এই ঘামের জীবাণু সংবেদনশীল অঙ্গের ত্বকের ভাঁজে জমে থাকতে পারে। ফলাফল হতে পারে জঘন্য ব্যাকটেরিয়াজনীত প্রদাহ, এমনকি ‘ইউটিআই’ অর্থাৎ মূত্রনালীর প্রদাহ।
যেসব পুরুষ শরীরচর্চার পরও দীর্ঘসময় ঘামে ভেজা অন্তর্বাস পরে থাকেন তাদের সংবেদনশীল অঙ্গের চারপাশে ভেজাভাব থাকার কারণে চুলকানি হতে পারে। ডাক্তারি ভাষায় এবং পরিস্থিতিকে বলা হয় ‘ইন্টারট্রিগো’।
করণীয়
দৌড়ানো, যোগ ব্যায়াম কিংবা ব্যায়ামাগারে ভারী ব্যায়াম, যে ধরনের শরীরচর্চাই করুন না কেনো, শরীরচর্চার পোশাক দৈনন্দিন ব্যবহার্য পোশাক থেকে আলাদা রাখতে হবে সবসময়।
আলো-বাতাস চলাচল করতে পারে এমন পোশাক পরতে হবে এবং প্রতিবার শরীরচর্চার পর অবশ্যই গোসল করতে হবে।
প্রয়োজন অনুযায়ী কোন ধরনের কাপড় ভালো হবে সেটা জানা জরুরি।
দৈনন্দিন ব্যবহারের জন্য সুতি কাপড় অতুলনীয়, যোগ ব্যায়ামের ক্ষেত্রেও সুতি কাপড় আদর্শ। তবে পলেস্টার, নাইলন কাপড়ের পোশাক ভারী ব্যায়ামের জন্য বেশি কার্যকর। কারণ এই কাপড়ে আর্দ্রতা আটকে থাকে না।
অন্তর্বাসের ক্ষেত্রেও এই কাপড় উপযোগী। অতিরিক্ত ঢিলেঢালা অন্তর্বাস পরাও ক্ষতিকর। কারণ তাতে ত্বকে পোশাকের ঘর্ষণ বাড়বে।
‘ক্লাসিক কাট’য়ের পোশাক হবে নিরাপদ পছন্দ।
ছবি: রয়টার্স।
আরও পড়ুন