Published : 27 Feb 2025, 07:25 PM
ফেইস মাস্ক বা ত্বক পরিচর্যায় ডিমের সাদা অংশ ব্যবহার নতুন কিছু নয়। যদিও এর তেমন কোনো বৈজ্ঞানিক ভিত্তি নেই।
সম্ভাব্য উপকারিতা হিসেবে কাজ করতে পারে ডিমের সাদা অংশে থাকা প্রোটিন। একটা বড় ডিমে সাধারণত ৩.৬ গ্রাম প্রোটিন থাকে।
এই তথ্য জানিয়ে ‘মেডিকেলনিউজটুডে ডটকম’য়ে প্রকাশিত প্রতিবেদনে মার্কিন চিকিৎসক ডেবরা রোজ উইলসন বলেন, “ডিমের সাদা অংশ দিয়ে তৈরি করা ‘ফেইস মাস্ক’ প্রস্তুতকারকরা মনে করেন, এই প্রোটিন ত্বক টানটান করতে এবং অতিরিক্ত তেল শুষে নিতে সাহায্য করে।”
কেউ কেউ মনে করেন, ডিমের সাদা অংশে থাকা ভিটামিন ও খনিজ সার্বিকভাবে ত্বকের জন্য উপকারী। যদিও ডিমের সাদা অংশে প্রোটিন ছাড়া খুব কমই পুষ্টি উপাদান থাকে।
ডা. উইলসন আরও বলেন, “আরও গুরুত্বপূর্ণ হল দেহের প্রতিরক্ষা আবরণ হিসেবে কাজ করে ত্বক। ফলে ছোট কণা, যেমন- ডিমের সাদা অংশ ত্বকের উপরিভাগে মাখলে, এতে থাকা ভিটামিন ও খনিজ উপাদান কমই শোষিত হতে পারে।”
তারপরও ত্বকে ডিমের মাস্ক ব্যবহার উপকারী হতে পারে অন্যান্য উপাদান মিশিয়ে ব্যবহার করলে।
তৈলাক্ত ত্বকের ফেইস মাস্ক
লেবুর রস ও একটি ডিমের সাদা অংশ বাটতে মিশিয়ে ফেনা তুলে নিতে হবে। তারপর কুসুম গরম পানিতে মুখ ধুয়ে এই মিশ্রণ পাতলা করে মুখে মাখতে হবে ব্রাশ বা তুলা দিয়ে। ঘষা যাবে না।
১০ মিনিট অপেক্ষা করে কুসুম গরম পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলতে হবে।
সপ্তাহে তিনবার এই প্যাক ব্যবহার করা যায়।
মিশ্র ত্বকের ফেইস মাস্ক
ত্বকে পুষ্টি যোগাতে এবং টানটান করতে পারে বলে দাবি করে রূপসজ্জাকররা।
এটা তৈরি জন্য প্রথমে ডিমের সাদা অংশ ফেটিয়ে ঘন করে ফেনা তুলে নিতে হবে। এরপর মেশাতে হবে ১ চা-চামচ লেবুর রস ও এক চা-চামচ মধু।
কুসুম গরম পানি দিয়ে মুখ ধুয়ে তুলার সাহায্যে মুখে মেখে অপেক্ষা করতে হবে ১৫ মিনিট। তারপর কুসুম গরম পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলতে হবে।
এই ধরনের মাস্ক ব্যবহারের পর মুখে কোনো দাগ তৈরি হলে লেবুর রস বাদ দিতে হবে।
পুষ্টিকর ফেইস মাস্ক
শুষ্ক ত্বকে আর্দ্রতা বজায় রাখতে কাজ করে।
ব্লেন্ডারে একটি ডিমের সাদা অংশের সোথে ছয়-সাতটি আঙুর মশ্রিণ করে ব্লেন্ড করে নিতে হবে।
এবার কুসুম গরম পানিতে মুখ ধুয়ে তুলার সাহায্যে ওপরের দিকে করে মিশ্রণটি মাখতে হবে। ১৫ মিনিট অপেক্ষা করে কুসুম গরম পানি দিয়ে পরিষ্কার করে নিতে হবে।
এই মাস্কে জন্য সেরা ফলাফল আসতে পারে আঙুরের বীজের গুঁড়া ব্যবহার করলে। কারণ আঙুরে বীজের তেল সম্ভাব্য উপকার দিতে পারে।
সাবধানতা
ডিম দিয়ে তৈরি মাস্ক ব্যবহারে অ্যালার্জি দেখা দিতে পারে, বিশেষ করে যাদের হাঁস-মুরগির মাংসে এই সমস্যা হয়।
তাই পুরো মুখে ব্যবহারের আগে অল্প করে নিয়ে হাতের উল্টা পিঠে, চিবুকের নিচে বা কানের পেছনে মেখে পরখ করে নিতে হবে, যাতে কোনো লালচেভাব, চুলকানি, ফুলে ওঠা বা অ্যালার্জির অন্য কোনো লক্ষণ দেখা দেয় কি-না।
কাঁচা ডিমে ‘সালমোনেলা’ ব্যাক্টেরিয়া থাকতে পারে। যা দেহে সংক্রমণ তৈরির সম্ভাবনা তৈরি করে। এজন্য ডিমের সাদা অংশ মুখে মাখলে সাবধানে থাকতে হবে, যেন মুখের ভেতরে বা পেট না যায়।
এছাড়া ত্বকে কোনো কাটা-ছেড়া, ব্রণের ক্ষত বা যে কোনো ক্ষত থাকলে মুখে ডিম ব্যবহার করা যাবে না।
আরও পড়ুন
ডিম রান্নার স্বাস্থ্যকর উপায়
রূপচর্চায় ফল ও সবজির নির্যাস