শুধু সৌন্দর্যের জন্য নয়, হাতসহ সার্বিক স্বাস্থ্য ভালো রাখতে নখ সুস্থ রাখা প্রয়োজন।
এজন্য খুব বেশি অর্থ বা সময় ব্যয় করতে হবে তেমন নয়। সাধারণ যত্নের ধারাবাহিকতাই হাতের সৌন্দর্য বাড়াতে যথেষ্ট।
জাপানের গৃহস্থালী ও প্রসাধনী সামগ্রী তৈরি প্রতিষ্ঠানের ভারতীয় সমন্বয়ক প্রতিষ্ঠান ‘কাই ইন্ডিয়া’র ব্যবস্থাপনা পরিচালক রাজেস ইউ. পান্ডে নখের যত্নে অতিরিক্ত পানি ও রাসায়নিক উপাদানের সংস্পর্শ থেকে নখকে দূরে রাখা ভালো বলে মনে করেন।
তার মতে, “সঠিক খাদ্যাভ্যাস ও পুষ্টির অভাব নখ খসখসে, নির্জীব ও ভঙ্গুর হওয়ার জন্য দায়ী।”
টাইমসঅবইন্ডিয়া ডটকম’য়ে প্রকাশিত প্রতিবেদনে তিনি বলেন, “আমাদের নখ অতিরিক্ত পানি বা রাসায়নিক উপাদানে সংস্পর্শে আসলে দুর্বল ও ভঙ্গুর হয়ে যায়। তাই নখ সুস্থ রাখতে এর নিয়মিত পরিচর্যার প্রয়োজন।”
নখ সুস্থ রাখার উপায় সম্পর্কেও কয়েকটি বিষয় খেয়াল রাখা দরকার।
গ্লভ্স পরা
খুব বেশি পানি বা ক্ষতিকর রাসায়নিক উপাদানের সংস্পর্শে এলে নখ দুর্বল ও ভঙ্গুর হয়ে যায়। থালাবাসন ধোয়ার সময় বা ধুলাবালি পরিষ্কার করার সময় সাবান, স্প্রে ইত্যাদি ব্যবহার করা হয়। এই সময়ে গ্লভ্স পরা হাতের ত্বক ও নখকে ক্ষতিকর রাসায়নিক উপাদান থেকে সুরক্ষিত রাখতে সহায়তা করে।
এছাড়াও, দীর্ঘসময় যেন নখ পানির সংস্পর্শ না থাকে সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে।
নখ ছোট রাখা
বড় রাখার তুলনায় নখ সবসময় ছোট রাখা ভালো। ছোট নখ পরিষ্কার ও পরিচর্যা করা সহজ। ছোট নখে ময়লা কম থাকে এবং সহজে ভাঙেও না। ফলে নখ দেখতে সুস্থ লাগে। তাছাড়া ব্যাক্টেরিয়ার সংক্রমণ থেকে বাঁচতে নখ ছোট রাখা উচিত।
কৃত্রিম নখ ব্যবহার না করা
কৃত্রিম নখ ব্যবহারে হাত দেখতে সুন্দর লাগলেও তা আসল নখের ক্ষতি করে। এতে ব্যবহৃত আঠা কেবল নখকে দুর্বল করে না বরং ময়লা জমাট বাঁধায় ও ব্যাক্টেরিয়া বিস্তারে ভূমিকা রাখে।
উন্নত খাদ্যাভ্যাস
উন্নত খাদ্যাভ্যাস কেবল শরীর সুস্থ রাখার জন্য নয় বরং নখের সুস্থতার জন্যও জরুরি। নখের বৃদ্ধি ও দৃঢ়তায় ভিটামিন, খনিজ ও প্রোটিন গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। কোনো কারণে নখ দুর্বল হয়ে গেলে বিশেষজ্ঞের পরামর্শ অনুযায়ী বায়োটিনের সম্পূরক গ্রহণ করা উচিত।
আর্দ্রতা রক্ষা
পর্যাপ্ত পানি পান দেহের আর্দ্রতা রক্ষা করে এবং নখের স্বাস্থ্য ভালো রাখে। এটা নখ ভেঙে যাওয়া ও চামড়া ওঠা প্রতিরোধে সহায়তা করে।
কিউটিকলের যত্ন নেয়া
ম্যানিকিউর কম করার পরামর্শ দেওয়ার অন্যতম কারণ হল এটা কিউটিকেলকে কিছুটা পেছনের দিকে সরিয়ে দেয়। ফলে ফাঁকা স্থান ক্ষতিগ্রস্ত ও সংক্রমিত হতে পারে।
নখ ভালো রাখতে তা ভালো মতো ময়েশ্চারাইজ করা এবং নখে সুরক্ষার স্তর নিশ্চচিত করা উচিত। বাজারে নানান রকম কিউটিকেল ক্রিম পাওয়া যায় যা নখের আর্দ্রতা রক্ষার পাশাপাশি নখ ভাঙা প্রতিরোধে সহায়তা করে।
হ্যান্ড স্যানিটাইজার এড়ানো
মহামারীর কারণে বাড়ে হ্যান্ড স্যানিটাইজার ব্যবহারের প্রবণতা। তবে অতিরিক্ত হ্যান্ড স্যানিটাইজার ব্যবহার ত্বক ও নখের জন্য ক্ষতিকর।
সাবান ও পানি দিয়ে হাত ধোয়া ক্ষতির মাত্রা কিছুটা কমায়। তাই যতটা সম্ভব স্যানিটাইজার ব্যবহার এড়িয়ে চলা জরুরি।
আরও পড়ুন