বৃষ্টির দিনে বিকালে কিংবা নাস্তায় চিনাবাদামের মতো মজার খাবার আর হয় না।
তবে চিনাবাদাম শুধু বাদাম নয়, একই সঙ্গে শুঁটি, ডাল, মটর হিসেবেও গণ্য করা হয়। আর যারা প্রাণিজ প্রোটিনের পরিবর্তে উদ্ভিজ্জ প্রোটিন বেছে নিতে চাচ্ছেন তাদের জন্য এই বাদাম হবে আদর্শ।
প্রোটিনের উৎস
ওয়েলঅ্যান্ডগুড ডটকম’য়ে প্রকাশিত প্রতিবেদনে যুক্তরাষ্ট্রের নিবন্ধিত পুষ্টিবিদ ক্রিস্টিনা ম্যানিয়ান লেখেন, “মাইক্রোনিউট্রিয়েন্ট হিসেবে তিন উপাদান- প্রোটিন, চর্বি ও কার্বোহাইড্রেইট সরবরাহ করতে পারে চিনাবাদাম। আর উদ্ভিজ্জ প্রোটিনের উৎস হিসেবে চিনাবাদাম অন্যান্য যে কোনো বাদামের থেকে বেশি পরিমাণে প্রোটিন সরবরাহ করতে পারে।
হৃদস্বাস্থ্য উপকারী চর্বি
স্বাস্থ্যকর চর্বি বিশেষ করে মনোআনস্যাচুরেইটেড ফ্যাটে ভরপুর থাকে চিনাবাদাম। এই চর্বি আরও পাওয়া যায় জলপাই, কাঠবাদাম ও অ্যাভোকাডো থেকে। যা কিনা প্রদাহ কমাতে ও কোলেস্টেরলের মাত্রা কমাতে পারে। ফলে হৃদরোগের ঝুঁকি হ্রাস পায়।
পেটের জন্য উপকারী আঁশ
‘কমপ্লেক্স কার্বোহাইড্রেইট’ অর্থাৎ আঁশে পরিপূর্ণ চিনাবাদাম। এর কিছু অংশ আবার অদ্রবণীয়।
আঁশ দুই ধরনের- পানিতে দ্রবণীয় এবং অদ্রবণীয়। দ্রবণীয় আঁশ পানিতে মিশে জেলে মতো তৈরি করে যা কোলেস্টেরল কমাতে ও হজমজনিত সমস্যা যেমন ডায়রিয়া সারাতে কার্যকর।
অন্যদিকে অদ্রবণীয় আঁশ পানিতে না মিশে সার্বিকভাবে হজমতন্ত্রের উপকার করে। ফলে কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করতে পারে।
পাশাপাশি পেটভরা অনুভূতি পারে চিনাবাদাম।
পুষ্টি উপাদানে ভরপুর
আট রকম ভিটামিন বি’র মধ্যে চার রকমই সরবরাহ করতে পারে চিনাবাদাম। এরমধ্যে রয়েছে ফোলাট, থিয়ামিন, নিয়াসিন এবং বায়োটিন।
বিপাকপ্রক্রিয়া, বেড়ে ওঠা, মস্তিষ্কের কার্যকারিতা এবং সার্বিকভাবে কোষের উপকারের জন্য ভিটামিন বি প্রয়োজন।
এছাড়াও রয়েছে ভিটামিন ই, যা কিনা প্রদাহ কমাতে এবং দীর্ঘস্থায়ী রোগ যেমন হৃদরোগ ও ক্যান্সার থেকে দূরে রাখতে সহায়তা করে।
এছাড়া খনিজ উপাদানের মধ্যে ম্যাঙ্গানিজের ভালো উৎস এই চিনাবাদাম। এক কাপ চিনাবাদাম থেকে মিলবে দেহের চাহিদার ১৫০ শতাংশ।
এছাড়াও মিলবে ম্যাগনেসিয়াম, ক্যালসিয়াম ও ফসফরাস। এসব খনিজ উপাদান হাড়ের স্বাস্থ্য ভালো রাখতে, পেশি, স্নায়ু ও কোষের কার্যকারিতা বাড়াতে ভূমিকা রাখে।
আরও পড়ুন: