রূপচর্চা করলেও বদভ্যাসের কারণে ত্বকে নানান সমস্যা দেখা দিতে পারে।
Published : 31 Dec 2022, 04:37 PM
সঠিক যত্নের অভাবে ত্বক হয়ে পড়ে নির্জীব। এছাড়াও দেখা দেয় নানান সমস্যা।
আবার অনেক যত্ন নেওয়ার পরেও অভ্যাসের ভুলের কারণে ত্বকে আশানুরূপ ফলাফল নাও পাওয়া যেতে পারে।
ভারতের ‘ডার্মা এসেন্স স্কিন ক্লিনিক অ্যান্ড লেজার সেন্টার’য়ের ত্বক বিশেষজ্ঞ, কসমেটোলজিস্ট অ্যান্ড লেজার সার্জন ডা. রিনা শর্মা টাইমসঅবইন্ডিয়া ডটকম’য়ে প্রকাশিত প্রতিবেদনে ত্বক ভালো রাখতে বাদ দিতে হবে এমন কয়েকটি অভ্যাস সম্পর্কে জানান।
অতিরিক্ত মুখ ধোয়া
বিশ্বাস করুন আর নাই করুন এটাই সত্যি যে, ত্বকের উৎপাদিত প্রাকৃতিক তেল ত্বকের জন্য ভালো। তাই মুখের তেল সরাতে উঠে পড়ে লাগার প্রয়োজন নেই। দিনে দুইবার মুখ ধোয়া যথেষ্ট।
গলা ও বুক অবহেলা করা
কেবল মুখ নয়, তারুণ্য ধরে রাখতে গলা ও বুকের ত্বকের দিকেও মনোযোগ দিতে হবে। নিয়মিত ত্বক মালিশ করা তারুণ্য ধরে রাখে ও টানটানভাব বজায় রাখে।
এসপিএফযুক্ত মেইক আপ ব্যবহার করা
ত্বকের সম্পূর্ণ সুরক্ষার জন্য এসপিএফযুক্ত মেইকআপ ব্যবহার করা প্রয়োজন। কারণ বাইরে যাওয়ার আগে সানব্লক ব্যবহার করলেও তা পর্যাপ্ত পরিমাণে করি না বা নির্দিষ্ট সময় অন্তর অন্তর পুনরায় ব্যবহার করা হয় না। ফলে ত্বক ক্ষতিগ্রস্ত হয়। তাই এসপিএস সমৃদ্ধ মেইকআপ ব্যবহার করা বেশি নিরাপদ।
অতিরিক্ত সক্রিয় উপাদান ব্যবহার
অতিরিক্ত এবং উচ্চ মাত্রার সক্রিয় উপাদান ব্যবহার ত্বকে ‘ব্রেক আউট’ সৃষ্টি করে, সুরক্ষার স্তরের দুর্বলতা এমনকি ‘পিগমেন্টেইশন’ সৃষ্টি করতে পারে।
অকারণ খোঁচাখুঁচি
ত্বকে ব্রণ বা ‘জিটস’ দেখা দিলে তা খোঁচানো ঠিক নয়। এতে সংক্রমণ বাড়ে এবং ব্রণের মাত্রা বৃদ্ধি পায়।
উচ্চ পিগমেন্টের মেইকআপ
অতিরিক্ত পিগমেন্টের মেইকআপ যেমন- নীল বা সবুজ আইশ্যাডো, মাস্কারা ও কাজল ইত্যাদি ব্যবহার করতে ভালো লাগলেও তা উঠানো বেশ কষ্টকর। এগুলো তোলার জন্য চোখ ও চারপাশের অংশে ঘন ঘন ঘষার প্রয়োজন হয়, এতে ত্বক ক্ষতিগ্রস্ত হয়।
সাধারণ পরিচর্যা
নিয়মিত ত্বকের সাধারণ পরিচর্যা একে সুস্থ ও সুদৃঢ় রাখতে সহায়তা করে।
স্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস: সুন্দর ত্বক চাইলে হরমোনকে বিব্রত করে এমন খাবার খাওয়া বাদ দিতে হবে। চিনি, পাস্তুরিত দুধের তৈরি খাবার, কোকোয়া, মসলাদার খাবার যতটা সম্ভব কম খাওয়া উচিত। এই ধরনের খাবার ব্রণ ও অ্যালার্জি সৃষ্টি করে।
এসকল খাবারের পরিবর্তে রঙিন ফল ও সবজি খাওয়া ভালো। এতে প্রয়োজনীয় খনিজ, অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এবং আর্দ্রতা রক্ষাকারী উপাদান পাওয়া যায়, যা ত্বক মসৃণ ও সুন্দর রাখাতে সহায়তা করে।
আরামদায়ক ঘুম
দেহ পুনর্গঠনে ঘুম গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। ঘুমের মধ্যে কোষ পুনর্গঠিত হয়। ঘুমের ঘাটতি ত্বকের কোলাজেন ও প্রোটিন উৎপাদনে ব্যাঘাত ঘটায়। ফলে ত্বক নির্জীব ও বলিরেখা প্রবণ হয়।
ত্বক ভালো রাখতে দৈনিক ভালো মতো, মানে ঘুমানো প্রায় সাত থেকে নয় ঘন্টা ঘুমানো প্রয়োজন।
আরও পড়ুন