Published : 20 Mar 2024, 12:04 PM
দেহে পানির ঘাটতি পূরণ না হলে ত্বকে দেখা দিতে পারে নানান সমস্যা।
বাইরের তাপ, ধুলাবালি এবং দীর্ঘ সময় পানি পান না করার কারণে ত্বকে পানিশূন্যতা সৃষ্টি করতে পারে। সচেতন থাকলে এই সময়ে ধরে রাখা যায় ত্বকের তারুণ্য ও সজীবতা।
প্রথম বিষয় হল আর্দ্র থাকা
দেহকে সচল রাখার পাশপাশি ত্বক ভালো রাখতে আর্দ্র থাকা জরুরি। দেহে পানিশূন্যতার ফলে ত্বকে বলিরেখা, ভাঁজ, মলিনভাব ও বর্ণের অনুজ্জ্বলতা দেখা দেয়।
এই বিষয়ে দুবাই ভিত্তিক ত্বক পরিচর্যার প্রতিষ্ঠান লুসিয়া ক্লিনিক’য়ের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত প্রতিবেদনে জানানো হয়- ইফতারের পর থেকে সেহেরি পর্যন্ত, পর্যাপ্ত পরিমাণ পানি পান করতে হবে। এতে দেহে পানির ঘটতি পূরণ হবে ও সতেজভাব বজায় থাকবে।
ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার
পানি পানের পাশাপাশি দেহকে বাইরে থেকেও আর্দ্র রাখার চেষ্টা করতে হবে। দিনে কম পক্ষে দুবার ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করা উচিত।
উন্নত মানের টোনার, সেরাম ও আর্দ্রতা রক্ষাকারী উপাদান যেমন- হায়ালুরনিক অ্যাসিড ও স্কুয়ালেন সমৃদ্ধ ক্রিম ব্যবহার করতে হবে। এছাড়া রোজা থাকা অবস্থায় ত্বক আর্দ্র রাখতে ফেইস মিস্ট বা অয়েল ব্যবহার করা যায়।
ত্বক যত শুষ্ক হবে তাতে তত বেশি ভারী ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করতে হবে। এই সময় ত্বক অনেক নাজুক অবস্থায় থাকে। তাই কোনোভাবেই সানস্ক্রিন ছাড়া বাইরে যাওয়া যাবে না।
সাধারণ থাকা
খুব বেশি কড়া বা ভারী প্রসাধনী ব্যবহার করা যাবে না। ত্বক যেন শুষ্ক হয়ে না যায় সেজন্য বেছে নিতে হবে হালকা উপাদান সমৃদ্ধ পণ্য।
মেইকআপের ক্ষেত্রেও ভারী ফাউন্ডেশন ও কন্সিলার ব্যবহার করা ঠিক নয়। এগুলো ত্বক আরও শুষ্ক করে ফেলে।
ত্বক ভালো রাখার খাবার খাওয়া
সঠিক খাদ্যাভ্যাস ত্বক ভালো রাখে। এই সময়েও অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, ভিটামিন, খনিজ, প্রোটিন, আঁশ ও ফ্যাটি অ্যাসিড সমৃদ্ধ খাবার খাওয়া জরুরি।
ইফতার ও সেহরিতে চিনি, প্রক্রিয়াজাত ও অতিরিক্ত লবণ সমৃদ্ধ খাবার বাদ দেওয়া প্রয়োজন। এগুলো দেহে পানিশূন্যতা সৃষ্টি করে। দুধের তৈরি খাবার ত্বকে ‘ব্রেক আউট’ তৈরি করে। ভাজা খাবার তৈলাক্ততা বাড়ায়।
খাবার তালিকায় বেশি করে ফল, সবজি, বাদাম ও মাছ রাখা উচিত। এগুলো ত্বক উজ্জ্বল করার পাশাপাশি সার্বিকভাবে শরীর সুস্থ রাখতে সহায়তা করে।
আরও পড়ুন