ধর্মপ্রাণ মুসলমানরা এই মাসে রোজা পালনের পাশাপাশি বেশি বেশি নামাজ ও ইবাদত করে থাকেন। এর জন্য দরকার সুস্থতা।
Published : 30 Jun 2014, 09:55 AM
এই রমজানে শারীরিক ব্যথা থেকে মুক্ত থাকতে পরামর্শ দিয়েছেন রাজধানী শ্যামলীর ডিপিআরসি হাসপাতালের ফিজিওথেরাপি বিশেষজ্ঞ ডা. মো. সফিউল্যাহ প্রধান।
যারা মেরুদণ্ডের সমস্যা, হাটু-কোমড়-ঘাড় ব্যথা. আর্থ্রাইটিস, প্যারালাইসিসে ভুগছেন তাদের এই রোজায় হতাশ হওয়ার কিছু নেই। রোজায় বেশি বেশি ইবাদত করতে, নামাজ পড়তে যদি কষ্ট হয় তাহলে এখনই একজন ফিজিওথেরাপি বিশেষজ্ঞের পরামর্শে আধুনিক ফিজিওথেরাপি নিলে অনেকাংশে ব্যথা বা অবসাদগ্রস্ত হতে মুক্ত থাকা যায়।
নামাজ সর্বোৎকৃষ্ট ব্যায়াম। নিয়মিত নামাজ আদায় করলে ঘাড়-কোমড়-হাটু ব্যথা থেকে অনেকাংশে মুক্ত থাকা যায়। আর যারা বাতের ব্যথায় আক্রান্ত তারা ব্যথার জায়গায় ৫ থেকে ১০ মিনিট কুসুম গরম পানির সেক বা ঠান্ডা পানির সেক দিতে পারেন।
সায়িন্টিফিক বেইজ্ড ফিজিও নিতে পারেন, এতে রোজায় কোনো সমস্যা হবে না। বড় রাকাতের নামাজ পড়তে কষ্ট হলে চেয়ারে মাঝে মাঝে নামাজ পড়তে পারেন। আর ছোট রাকাতের নামাজ স্বাভাবিক নিয়মেই পড়তে পারেন।
ইফতারে চর্বি ও তৈলাক্ত খাবার খাওয়া মোটেও উচিৎ হবে না। পরিবর্তে ফল, শরবত বা পানীয়জাতীয় খাবার খান। এতে দ্রুত এনার্জি পাওয়া যাবে।
যাদের ওজন বেশি তাদের জন্য রমজান মাস সর্বোৎকৃষ্ট চিকিৎসার মাস। এই মাসে ওজন ৫ থেকে ১০ কেজি অনায়াসে কমিয়ে ফেলা যায়। প্রয়োজনে একজন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের পরামর্শ গ্রহণ করতে পারেন।