কফি বীজের গুঁড়া বা ‘ইন্সট্যান্ট কফি’ দিয়ে ত্বকের যত্নে তৈরি করা যায় মাস্ক।
Published : 19 Jun 2023, 02:01 PM
গরমকালে গরম কফি ভালো না লাগলেও, রোদপোড়াভাব কমাতে ব্যবহার করায় যায় কফির ফেইস মাস্ক।
রোদচশমা ব্যবহারে চোখ বাঁচানো গেলেও মুখের অনাবৃত অংশ সূর্যালোকের সংস্পর্শে পোড়াভাবের সৃষ্টি করে।
এই বিষয়ে হেল্থ শটস ডটকমে প্রকাশিত প্রতিবেদনে বেঙ্গালুরু’র ইশ্বনাথপুরের মনিপাল হাসপাতালের পরামর্শক ত্বক বিশেষজ্ঞ ডা. নাভ্য পি বলেন, “রোদে যাওয়ার কারণে ত্বকে মেলানিনের পরিমাণ বাড়ে। ফলে ত্বক খসখসে হয়ে যায় এবং ‘হাইপারপিগ্মেন্টেইশন’ দেখা দেয়।”
পোড়াভাবের পাশাপাশি ত্বকে অন্যান্য সমস্যা যেমন- ব্রণ, জ্বলুনি, ভাঁজ ইত্যাদি সমস্যা দেখা দেয়। সানস্ক্রিন এক্ষেত্রে উপকারী। কারণ এটা মেলানিনের বিভাজন কমায়। তারপরও অনেকক্ষেত্রেই রোদে পোড়াভাবের বিরুদ্ধে কাজ করতে পারে না।
ত্বকের পোড়াভাব কমাতে কফি কীভাবে কাজ করে সে সম্পর্কে জানান এই চিকিৎসক।
ডা. নাভ্য বলেন, “কফি প্রাকৃতিক এবং তৈরিভাবেই বাজারে পাওয়া যায়। এতে আছে উচ্চ মাত্রার প্রদাহরোধী ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট উপাদান যা খুব ভালো এক্সফলিয়েন্ট করে। কফি বীজের গুঁড়া ও কফি পাউডার প্রাকৃতিকভাবে ট্যান কমাতে সহায়ক।”
তিনি আরও বলেন, “কফির ‘ক্লোরোজেনিক অ্যাসিড’ হল অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ও ব্যাক্টেরিয়ানাশক। অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ত্বককে পারিবেশিক ক্ষয় ও ফ্রি রেডিকেল থেকে বাঁচায় যা বয়সের ছাপ পড়া ধীর করে।”
“কফির এক্সফলিয়েট করার ক্ষমতা ত্বকের উপরিভাগের মৃত কোষ দূর করে এবং ‘পিগ্মেন্টেইশন’ ও রোদে পোড়াভাব কমাতে সহায়তা করে,” বলেন তিনি।
কফির ফেইস প্যাক তৈরির পদ্ধতি
রোদে পোড়াভাব কমাতে উপকারী কফির মাস্ক তৈরি ও ব্যবহার সম্পর্কে জানান ডা. নাভ্য।
কফি ও মধু মাস্ক: এক টেবিল-চামচ কফি গুঁড়ার সঙ্গে এক টেবিল-চামচ মধু ভালো মতো মিশিয়ে নিতে হবে। মাস্কটি মুখে মেখে ২০ মিনিট অপেক্ষা করে ভালো মতো ধুয়ে ফেলতে হবে।
কফি ও দুধের মাস্ক: এক টেবিল-চামচ কফির গুঁড়ার সাথে দুয়েক চামচ দুধ মিশিয়ে পেস্ট তৈরি করে নিতে হবে। মিশ্রণটি মুখে মেখে ১০ থেকে ১৫ মিনিট অপেক্ষা করে ধুয়ে ফেলতে হবে।
অ্যালো ভেরা জেলের সাথে কফি: সমপরিমাণ কফির গুঁড়ার সাথে অ্যালো ভেরা জেল মিশিয়ে সারা মুখে মাখতে হবে। ১৫ থেকে ২০ মিনিট পর ঠাণ্ডা পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলতে হবে।
কফি, চিনি ও তেলের মাস্ক: আধা কাপ কফির গুঁড়ার সাথে আধা কাপ বাদামি চিনি, সিকি কাপ নারিকেল তেল ও দুই টেবিল-চামচ পানি মিশিয়ে পেস্ট তৈরি করে নিতে হবে।
মিশ্রণটি স্ক্রাবের মতো আলতোভাবে মালিশ করে দুয়েক মিনিট অপেক্ষা করে ঠাণ্ডা পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলতে হবে।
সপ্তাহে একবার এই স্ক্রাব ব্যবহার করা উপকারী।
মনে রাখা প্রয়োজন
ঘরোয়া এসব মাস্ক ব্যবহারের আগে সামান্য পরিমাণে হাতের পেছনে অথবা চোয়ালের পাশে ব্যবহার করে দেখতে হবে কোনো রকম অস্বস্তি, জ্বলুনি বা অ্যালার্জির সমস্যা হয় কিনা।
কোনো পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া দেখা দিলে ত্বক বিশেষজ্ঞের পরামর্শ গ্রহণ করা উচিত হবে।
আরও পড়ুন