“আমরা অভিযোগ পেয়েছি, এই উপজেলার দায়িত্বপ্রাপ্ত নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের কাছে অভিযোগের পত্রটি দেওয়া হয়েছে তিনি ব্যবস্থা নিবেন।”
Published : 03 Jun 2024, 07:59 PM
চতুর্থ ধাপে ফরিদপুরের আলফাডাঙ্গা উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে আচারণবিধি লঙ্ঘনের অভিযোগ উঠেছে এক চেয়ারম্যান প্রার্থীর বিরুদ্ধে।
হেলিকপ্টার প্রতীকের চেয়ারম্যান প্রার্থী আবুল খায়ের খান মোটরসাইকেল প্রতীকের চেয়ারম্যান প্রার্থী কাজী মনিরুল হকের বিরুদ্ধে রোববার জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা ও সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে লিখিত অভিযোগ দেন।
অভিযোগে আবুল খায়ের বলেন, “উপজেলা নির্বাচনের নিয়ম অনুযায়ী প্রতিটি ইউনিয়ন/পৌরসভায় প্রত্যেক প্রার্থী একটির বেশি নির্বাচনি অফিস স্থাপন করতে পারবেন না। মোটরসাইকেল প্রতীকের চেয়ারম্যান প্রার্থী কাজী মনিরুল হক উপজেলা প্রত্যেক ইউনিয়ন ও পৌরসভার প্রত্যেকটি ওয়ার্ডে তিনের অধিক নির্বাচনি ক্যাম্প স্থাপন করেছেন।
“এছাড়াও উপজেলাজুড়ে বিভিন্ন স্থানে বৃহৎ আকৃতির বিলবোর্ড স্থাপন করেছেন যা নির্বাচনি আচারণবিধির লঙ্ঘনের শামিল। নির্বাচন নিরপেক্ষ ও শান্তিপূর্ণ করার স্বার্থে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ মহোদয়ের মর্জি হয়।“
এ বিষয়ে মোটরসাইকেল প্রতীকের চেয়ারম্যান প্রার্থী কাজী মনিরুল হকের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তার মোবাইল বন্ধ পাওয়া যায়।
সহকারী রিটানিং কর্মকর্তা ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সারমীন ইয়াসমিন বলেন, “আমরা অভিযোগ পেয়েছি, এই উপজেলার দায়িত্বপ্রাপ্ত নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের কাছে অভিযোগের পত্রটি দেওয়া হয়েছে তিনি ব্যবস্থা নিবেন।”
জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা ফরিদপুরের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসন রামানন্দ পাল বলেন, “এ বিষয়ে আমাদের ভ্রাম্যমাণ আদালত কাজ করছে, সোমবার মধ্যেই আশা করছি, প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।”
জেলা প্রশাসক মো. কামরুল আহসান তালুকদার বলেন, “নির্বাচন শান্তিপূর্ণ ও নিরপেক্ষ করতে সকল ধরনের পরামর্শ ও নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। কোনো রকম অনিয়ম বরদাস্ত করা হবে না।”
ওই প্রার্থীর বিরুদ্ধে আচরণবিধি লঙ্ঘনের অভিযোগ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “সংশ্লিষ্ট দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।”
আগামী ৫ জুন আলফাডাঙ্গা উপজেলা পরিষদের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। উপজেলার ৪০টি কেন্দ্রে ৯৯ হাজার ৫৫৬ জন ভোটার তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করবেন। চেয়ারম্যান পদে নয়জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।