বিভিন্ন ধরনে রঙিন খাবার যত খাওয়া যাবে ততই রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতার মঙ্গল হবে।
Published : 16 Nov 2022, 07:00 PM
শীতকাল উৎসবের সময় হলেও এই সময়ে সর্দি জ্বর থেকেও রেহাই পাওয়া যায় না।
ঠাণ্ডা থেকে হওয়া এই অসুস্থতা থেকে বাঁচার উপায় হল রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা অটুট রাখা।
পুষ্টিকর খাবার, পর্যাপ্ত ঘুম, স্বাস্থ্যকর জীবন যাপন, ব্যায়াম ও অ্যালকোহল থেকে দূরে থাকার মাধ্যমে সুস্থ থাকা যায়। পাশাপাশি রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে খাদ্যাভ্যাসের রাখতে হবে বিভিন্ন পুষ্টিকর খাবার।
আর পুষ্টির কোন উপাদান কী উপকার করে আর কোন ধরনের খাবার খাওয়া জরুরি সেসব জানাও দরকার।
রঙিন ফল ও সবজি
প্রতিদিন এরকম খাবার খাওয়ার অভ্যাস থাকলে অসুস্থ হলেও দ্রুত সুস্থ হতে সাহায্য করে।
এই বিষয়ে ইটদিস ডটকম’য়ে প্রকাশিত প্রতিবেদনে টেক্সাসের পুষ্টিবিদ এমি গুডসন বলেন, “ফ্লাভানয়েডস, অ্যান্থোসায়ানিন্স এবং ক্যারটিনয়েডস- এই ধরনের অ্যান্টিঅক্সিডেন্টস দেহের ‘ফ্রি র্যাডিকেল’য়ের বিরূদ্ধে লড়াই করে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা দূর্বল হওয়ার হাত থেকে বাঁচায়।”
‘দি স্পোর্টস নিউট্রিশন প্লেবুক’য়ের এই লেখক আরও বলেন, “আর এই উপাদানগুলো পাওয়া যায় রঙিন খাবারে।”
বেরি বা জাম ধরনের ফল, বাঁধাকপি এমন-কি ডার্ক চকলেট থেকে মিলবে ফ্লাভানয়েডস। বেরি, আঙুর, ডালিম ও খেজুরে পাওয়া যায় অ্যান্থোসায়ানিন্স। আর ক্যারোটিনয়েডস পাওয়া যাবে কমলা, হলুদ লালচে সবজি থেকে, যেমন- বাঙ্গি, কুমড়া, আম ইত্যাদি।
ভিটামিন সি
রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা উন্নত করতে এই ভিটামিনের কথা প্রায় সবাই জানেন।
গুডসন বলেন, “রোগের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করতে রক্তের শ্বেত কণিকার উন্নতিতে ভূমিকা পালন করে ভিটামিন সি। পাশাপাশি উপরের অ্যান্টিঅক্সিডেন্টের মতো উপকার করে।”
আলাদাভাবে ভিটামিন সি’র ট্যাবলেট খাওয়া যায়। তবে প্রকৃতিক উৎস হিসেবে কমলা ও লেবু ছাড়াও এই ভিটামিন পাওয়া যায় টমেটো, লাল ক্যাপ্সিকাম, পালংশাক ও যে কোনো টক ধরনের ফল থেকে।
মাংস
রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতার উন্নতিতে দরকার খনিজ উপাদান জিঙ্ক। আর এই উপাদান গরুর মাংস থেকেই মিলবে বেশি।
গুডসন বলেন, “মাংস যেভাবেই খাওয়া হোক বাদ দিতে হবে চর্বি। আর যারা মাংস খেতে চাননা তাদের জন্য উপাদানের উৎস হিসেবে রয়েছে- শুঁটি, কলাই, বাদাম, বীজ ও দুগ্ধজাতীয় খাবার। আরও রয়েছে ডার্ক চকলেট।
টক দই
নিউ ইয়র্ক’য়ের পুষ্টিবিদ ও ‘ওয়াল স্ট্রিট জার্নাল’য়ের সর্বাধীক বিক্রিত বই ‘দি ফ্যামিলি ইমিউনিটি কুকবুক’য়ের লেখক টোবি অ্যামিডোর সবসময় নিজের ফ্রিজে টক দই রাখেন।
বইতে তিনি লিখেছেন, “রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা উন্নত করার বহু উপাদান থাকে টক দইতে। এর মধ্যে রয়েছে- প্রোটিন, ভিটামিন বি টুয়েল্ভ, সেলেনিয়াম এবং জিঙ্ক। এছাড়া ভালো ব্যাক্টেরিয়ার উৎস যা অন্ত্রের স্বাস্থ্য ভালো রাখতেও সাহায্য করে।”
গ্রিন টি
যদিও খাবারের তালিকায় পড়ে না, তবে এই পানীয় ঠাণ্ডাজনিত অসুস্থতার সময়ে সার্বিক স্বাস্থ্য ভালো রাখতে সাহায্য করে।
অ্যামিডোর একই প্রতিবেদনে বলেন, “গ্রিন টি’তে রয়েছে পলিফেনল্স। এই শক্তিশালী অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট রোগের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করতে সাহায্য করে।”
আর এই পানীয়সহ অন্যান্য যত খাবারের কথা বলা হল, তা নিয়মিত গ্রহণ করলে অসুস্থ হলেও দ্রুত সেরে উঠতেও সাহায্য করবে।
আরও পড়ুন