Published : 02 Jan 2023, 04:04 PM
বাড়তি যত্নের প্রয়োজন হয় না যদি নিয়ম করে পরিচর্যা চালিয়ে যাওয়া যায়।
শুষ্ক ও ঠাণ্ডা আবহাওয়ার কারণে মাথার ত্বক ও চুল রুক্ষ আর নির্জীব হয়ে পড়ে। এই সমস্যা সমাধানে চুলের যত্ন নেওয়া প্রয়োজন। তবে পার্লারে গিয়ে নয়, বাসায় থেকেই পরিচর্যা করা যায় সহজে।
ভারতের ‘পিওরপ্লে স্কিন সায়েন্স’য়ের বিজ্ঞানী জুইলি ফাদনিস বলেন, “আর্দ্র তাপমাত্রা মাথার ত্বককে খসখসে ও রুক্ষ করে ফেলে। চুল হয়ে যায় কোঁকড়া ও শক্ত। ফলে সহজেই খুশকি, আগাফাটা, চুল পড়া সমস্যা দেখা দেওয়ার পাশাপাশি প্রাকৃতিক উজ্জ্বলতা কমে।”
ফেমিনাডটইন’য়ে প্রকাশিত প্রতিবেদনে জুইলি আরও বলেন, “শীতকালে চুলের যত্ন নিতে সময় ও পরিশ্রম কম লাগে। কেবল সাধারণ কিছু নিয়ম মেনে চললেই সমস্যা অনেকটা কমিয়ে আনা সম্ভব।”
গরম পানি ব্যবহার না করা
গরম পানি দিয়ে আরামে গোসল করা গেলেও তা মাথার ত্বকের ব্যবহার করা মোটেও ঠিক নয়। এতে চুল রুক্ষ ও শুষ্ক হয়ে যায়। তাই গোসলে গরম পানি ব্যবহার না করে বরং কুসুম গরম পানি, মৃদু শ্যাম্পু এবং শেষে ঠাণ্ডা পানি দিয়ে চুল ধোয়া উচিত।
পুষ্টিসাধন
মাথার ত্বকের পুষ্টি রক্ষা করা আবশ্যক। তাই সপ্তাহে দুতিনবার মাথার ত্বকে তেল মালিশ করতে হবে। চুল পরিষ্কার করতে হবে মৃদু শ্যাম্পু দিয়ে।
খুশকি হওয়ার অন্যতম কারণ শুষ্ক মাথার ত্বক অথবা ফাঙ্গাস। অতিরিক্ত তেল দেওয়া বা শ্যাম্পু করা দুটোই মাথার ত্বকের জন্য ভালো নয়। অ্যান্টি-ড্যান্ড্রাফ শ্যাম্পু অথবা টি ট্রি তেল ও ‘পাইরোকটন ওলামিন’ মাথার ত্বকের স্বাস্থ্য ভালো রাখতে সহায়তা করে।
সঠিক প্রসাধনী ব্যবহার
চুল ভালো রাখতে এর ধরন বুঝে এবং বিশেষভাবে তৈরি এমন প্রসাধনী ব্যবহার করতে হবে।
টি ট্রি তেল, শিয়া বাটার, আর্গন তেল, ম্যাকাডামিয়া তেল, ভিটামিন বি, জলপাইয়ের তেল ইত্যাদি চুল মুসৃণ করে। তাই চুলের সুসাস্থ্যে এসব তেল বেছে নিতে হবে।
স্বাস্থ্যকর জীবনযাপন
শীতকালে বিভিন্ন সবুজ শাক সবজি ও বেরি-ধরনের ফল পাওয়া যায়। খাবার তালিকায় এসব উপাদান যোগ করা চুলের ‘ফলিকল’ শক্তিশালী রাখতে সহায়তা করে।
জুইলির পরামর্শ দেন, “চুলের জন্য মৌসুমি উপাদানের চেয়ে শক্তিশালী আর কিছু নেই। শীতকালে পানি পানের প্রবণতা কমে যায়। তাই আর্দ্রতা বজায় রাখতে পানি পান করতে হবে। প্রয়োজনে কুসুম গরম পানি, গ্রিন টি বা জিরা পানি পান- ঠাণ্ডা, কাশি ও কফ জমাট বাঁধা কমাতে সহায়তা করে।”
এছাড়া শীতকালে আলসেমি ও দুর্বলতা দেখা দিতে পারে। তাই বলে কোনোভাবেই শারীরিক গতিশীলতা বাদ দেওয়া যাবে না। বাইরে হাঁটতে যাওয়া বা জিমে গিয়ে ক্যালরি খরচ করার মাধ্যমে সুস্থ থাকার চেষ্টা করতে হবে।
আরও পড়ুন:
চুল পড়া ও খুশকির সমস্যার সমাধান