রান্নায় অন্যান্য তেলের তুলনায় বীজের তেল ব্যবহার উপকারী।
Published : 23 Nov 2023, 01:23 PM
দেহের ফোলাভাব কমাতে চাইলে খাবার তেল এমন বাছাই করতে হবে যা প্রদাহনাশক।
“বীজের তেল ভেজিটেবল বা সবিজ থেকে উৎপাদিত তেলের চেয়ে ভালো। যা দেহের প্রদাহ নাশ করে অন্ত্র সুস্থ রাখতে সহায়তা করে”- হেল্থশটস ডটকম’য়ে মন্তব্য করেন ভারতীয় পুষ্টিবিদ অঞ্জুরি নায়ার সিং।
যেমন- তিসির বীজ শুধু নয় এর তেল কেবল অন্ত্র সুস্থ রাখে না পাশাপাশি ক্যান্সারের কোষ কমাতেও সহায়তা করে।
‘ব্যালকান ইউনিয়ন অব অনকোলজি’ সাময়িকীতে প্রকাশিত বেইজিংয়ে অবস্থিত ‘চায়না-জাপান ফ্রেন্ডশিপ’ হাসপাতালের গবেষকদের করা গবেষণার ফলাফলে জানানো হয়, তিসির তেল টিউমারের বৃদ্ধি প্রতিহত করতে পারে।
আবার ‘ইউরোপিয়ান জার্নাল অব ক্লিনিকেল নিউট্রিশন’য়ে প্রকাশিত গ্রিসের ‘হারোকোপিও ইউনিভার্সির করা গবেষণায় বলা হয়, তিসির বীজের তেল খাওয়া শুরু করলে রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে সহায়তা করে।
বীজের তেল বলতে যা বোঝায়
উদ্ভিজ্জ উৎস থেকে বিশেষ করে সূর্যমূখী, তিল, তিসি ও কুমড়ার বীজ থেকে তেল আহরণ করা হয়। রান্নায় এসব তেলের ব্যবহার ভিন্ন স্বাদ যোগ করে।
একই প্রতিবেদনে ভারতীয় আরেক পুষ্টিবিদ গরিমা গোয়াল বলেন, “এসব তেল ভেজিটেবল তেলের তুলনায় নানান দিক থেকে উপকারী।”
তিনি বলেন, “ভেজিটেবল তেল সাধারণত পরিমিত ব্যবহার করতে হয়। কারণ এতে থাকা ওমেগা-৬ ফ্যাটি অ্যাসিড প্রদাহ বাড়ায়।”
অন্যদিকে বীজের তেলে থাকা ওমেগা-থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিডস প্রদাহ কমাতে সহায়তা করে।
নানান রকমের বীজ তেল পাওয়া যায় যাদের ব্যবহার পদ্ধতি, রান্নার পদ্ধতি এবং স্বাস্থ্যোপকারিতা ভিন্ন। এই তেল ব্যবহারের কোনো আদর্শ মাপ নেই। প্রত্যেকের চাহিদা অনুযায়ী রান্নার তেল হিসেবে ব্যবহার করার মাধ্যে ফ্যাটি অ্যাসিডের ভারসাম্য বজায় রাখা যায়, বলে জানান, গয়াল।
অন্ত্রের জন্য উপকারী এমন কয়েকটি বীজের তেল
গোয়াল বলেন, “রান্নায় কোনো তেল ব্যবহারের আগে তার স্থিতিশীলতা সম্পর্কে ধারণা রাখা প্রয়োজন। রান্নায় তেল দীর্ঘ সময় তাপে থাকার ক্ষেত্রে মোটেও উপযোগী নয়।”
তিসির বীজ: তিসির বীজের তেল ওমেগা-থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিডস সমৃদ্ধ যা সালাদ ও মাছ ভাজা পরিবেশনের জন্য উপযোগী। এর রয়েছে বহুমুখী ব্যবহার।
তিসির বীজ স্বাস্থ্য ভালো রাখে, ওজন কমায় এবং চুলের স্বাস্থ্য থেকে শুরু করে উর্বরতা বাড়াতে ভূমিকা রাখে।
কুমড়ার বীজের তেল: খাবারের স্বাদ বাড়ায়। এটা সালাদ, সুপ থেকে শুরু করে যে কোনো খাবারের স্বাদ বাড়াতে সহায়তা করে।
তিলের তেল: এই তেলের ‘স্মোকিং পয়েন্ট’ উচ্চ। অর্থাৎ বেশি তাপে রান্না করা যায়। এতে আছে ‘সিসেমল’ ও ‘সিসেমিনল’, দুটি হৃদবান্ধব অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট যা দেহের জন্য উপকারী।
সূর্যমুখীর তেল: অন্ত্রের জন্য উপকারী কারণ এতে আছে স্যাচুরেইটেড চর্বি ও উচ্চ মাত্রার ভিটামিন ই।
কালো জিরার তেল: তাপ ছাড়া অথবা মৃদু তাপে ব্যবহার করা যায়। এটা প্রদাহ কমাতে ও অন্ত্র সুস্থ রাখতে সহায়তা করে।
আরও পড়ুন