মধ্যবেলায় ঘুমঘুম ভাব বা দেহের ক্লান্তি ঝরাতে কফি ছাড়াও রয়েছে নানান পানীয়।
Published : 23 Feb 2025, 11:23 AM
দুপুরের ক্লান্তি ঝরাতে বেশিরভাগ বিশেষজ্ঞ কফি পান না করার পরামর্শ দেন।
তবে অন্যান্য পানীয় রয়েছে, যেগুলো দেহে চাঙাভাব আনতে পারে।
এই বিষয়ে রিয়েলসিম্পল ডটকম’য়ে প্রকাশিত প্রতিবেদনে যুক্তরাষ্ট্রের ‘অ্যাকাডেমি অফ নিউট্রিশন অ্যান্ড ডায়েটেটিকস’য়ের মুখপাত্র ও পুষ্টিবিদ থেরেসা জেনটাইল বলেন, “পছন্দ করে নেওয়ার মতো নানান ধরনের পানীয় রয়েছে যেগুলো দেহে তরতাজা অনুভূতি দিতে পারে। আর বাজারে এমন ‘এনার্জি ড্রিংকস’য়ের কমতিও নেই। তবে এসব কৃত্রিম পানীয় নয়, দুপুরের ঝিমুনিভাব কমাতে বেছে নিতে হবে প্রাকৃতিক উপাদান।”
দ্রুত শক্তি বাড়াতে এই ধরনের কৃত্রিম পানীয়তে বিভিন্ন ধরনের উপাদান থাকে। যেমন- ক্যাফিন, জিংসেন, টরিন, গুয়ারানা, কার্নাটাইন, কোলিন, ভিটামিন (বি, সি, এ, ডি), ইলেক্ট্রোলাইটস (সোডিয়াম, পটাসিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম এবং ক্যালসিয়াম), চিনি ইত্যাদি।
“এতসব উপাদানের ভিড়ে, দেহের ক্লান্তি দূর করতে মাত্র দুটি উপাদান বেশি কাজ করে; একটা হল ক্যাফিন। অন্যটি কার্বোহাইড্রেইট”- বলেন জেনটাইল।
আর বেশিরভাগ সময় এসব উপাদানের সঠিক সমন্বয় থাকে না বলে, প্রাথমিকভাবে দ্রুত দেহের ক্লান্তি দূর করলেও একটু পরেই অবসাদ কাজ করে।
ক্যাফিনের মাত্রা দ্বিগুন না করা
অতিরিক্ত মানেই যে ভালো কিছু হবে, ক্যাফিনের ক্ষেত্রে এই কথাটা অন্তত খাটে না। অতিমাত্রায় ক্যাফিন গ্রহণ করলে রক্তচাপ ও হৃদস্পন্দন বৃদ্ধি পায়। ফলে আরও বেশি ক্লান্ত বোধ হয়।
অ্যালকোহলের সাথে ক্যাফিন না মেশানো
মনে হতে পারে বিষয়টা অনেক উত্তেজনাকর।
তবে জেনটাইল বলেন, “অ্যালকোহলের সাথে কফি মিশিয়ে পান করলে দেহ আরও পানিশূন্য হয়ে যায়। ফলে দেহে অতিরিক্ত চাপ পড়ে। বাড়ায় অনিয়মিত হৃদস্পন্দনের ঝুঁকি।
তাই ক্লান্তি ঝরাতে বেছে নিতে হবে প্রাকৃতিক উপাদনের পানীয়।
পানি
অনেক সময় শুধু পানি পানেই কাটতে পারে ক্লান্তি। হালকা পানিশূন্যতা দেহ-মনে অবসাদ তৈরি করে। এক্ষেত্রে এটি বড় গ্লাসের পানি পানই যথেষ্ট হতে পারে।
আর ডাবের পানি পান করতে পারলে মিলবে ইলেক্ট্রোলাইটস, যা দেহের ক্লান্তিভাব কাটাতে খুবই কার্যকর।
চকলেট মিল্ক
মনে হতে পারে পানীয়টা মজার। তবে এটা শক্তির মাত্রা বাড়াতে কাজ করে।
জেনটাইল বলেন, “দুধ এমনিতেই আর্দ্রতা রক্ষা করতে পারে। যা পানিশূন্যতার কারণে হওয়া ক্লান্তিবোধ কাটাতে কার্যকর ভূমিকা রাখে। এরসাথে অল্প ক্যাফিন ও চিনি মিশ্রণ দ্রুত শক্তি বাড়াতে সাহায্য করে।”
এছাড়া কোকোয়া’তে রয়েছে ফ্লাভানয়েডস যা প্রদাহরোধী উপাদান।
গ্রিন টি
যদি মধ্যবেলার পর থেকে অল্প ক্যাফিন গ্রহণ করতে হয়, তবে গ্রিন টি হতে পারে উত্তম পছন্দ। এতে ক্যাফিন ছাড়াও মিলবে অ্যামিনো অ্যাসিড ‘এল-থিয়ানাইন’, যা দেহের ঝিমানিভাব কাটাতে সাহায্য করে।
মাচা
বর্তমানে এই পানীয় বা চা’য়ের বেশ কদর দেখা যাচ্ছে।
জেনটাইল বলেন, “ঝিমুনিভাব কাটাতে আরও ক্যাফিন দরকার? তবে বেছে নিতে পারেন মাচা চা।”
এটা গ্রিন টি’র গুঁড়া। সাথে থাকে উচ্চমাত্রায় ‘কনসানট্রেড’ করা ক্যাফিন এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট।
স্মুদি
যদি উপাদান স্বাস্থ্যকর হয় তবে স্মুদি শক্তি বর্ধক হিসেবে উপকারী পানীয় হতে পারে। এজন্য দই ও ফল মিশিয়ে তৈরি করা সাধারণ কার্বোহাইড্রেইটস সমৃদ্ধ স্মুদি শক্তির আধার হিসেবে কাজ করবে।
এরসাথে কোকো পাউডার বা মাচা’র গুঁড়া মেশালে মিলবে অতিরিক্ত উদ্যম।
আরও পড়ুন
তিনবেলা যে খাবারে বাড়বে হৃদযন্ত্রের শক্তি