পপকর্ন কিংবা পোড়ানো ভু্ট্টার দানা খেতে যেমন মজা তেমনি পুষ্টিগুণে ঠাঁসা।
Published : 23 Dec 2022, 05:07 PM
শীতের সময় রাস্তাঘাটে কয়লায় পোড়ানো ভুট্টা বিক্রি করতে দেখা যায়।
সেই পোড়ানো ভুট্টার দানা খুঁটে খুঁটে খেতে যেমন বেশ লাগে তেমনি নিজের অজান্তেই স্বাস্থ্যের উপকার করে ফেলছেন।
কারণ এতে রয়েছে আঁশ, ভিটামিন এবং সামান্য পরিমাণে প্রোটিন।
লস অ্যাঞ্জেলেসের পুষ্টিবিদ মাশা ডেভিস রিয়েলসিম্পল ডটকম’য়ে প্রকাশিত প্রতিবেদনে বলেন, “ভুট্টা যত কম প্রক্রিয়াজাত করে খাওয়া হবে ততই মিলবে পুষ্টিগুণ। সেটা হতে পারে পোড়ানো, সিদ্ধ কিংবা রোস্ট করা।”
ভুট্টায় রয়েছে দ্রবণীয় আঁশ
একটি মাঝারি আকারের ভুট্টাতে প্রায় দুই গ্রাম আঁশ থাকে। যা দ্রবণীয় আঁশ। ফলে দেয় পেটভরা সুখকর অনুভূতি। সেই সঙ্গে অন্ত্রের স্বাস্থ্যকর ব্যাক্টেরিয়া তৈরিতে ভূমিকা রাখে।
যদিও ভুট্টা স্টর্চ-ধর্মী সবজি, অর্থাৎ অন্যান্য সবজির তুলনা এর কার্বোহাইড্রেইটস’য়ের মাত্রা বেশি। তারপরও দ্রবণীয় আঁশ থাকায় দেহে কার্ব শোষিত হয় ধীরে। ফলে রক্তের শর্করার মাত্রা হঠাৎ বেড়ে যায় না, আর দ্রুত খিদা লাগার হাত থেকে বাঁচায়।
উদ্ভিজ্জ প্রোটিনের উৎস
সালাদ, পাস্তা, নুডুলস বা অন্যান্য খাবারে ভু্ট্টা যোগ করা মানে, খাবারের সঙ্গে প্রোটিনও যোগ হচ্ছে। যদিও পরিমাণে কম, তিন গ্রাম প্রোটিন মেলে মাঝারি আকারের ভুট্টায়।
যারা উদ্ভিজ্জ খাবারের দিকে ঝুঁকছেন তাদের জন্য ভুট্টা হতে পারে প্রোটিনের উৎস।
চোখের স্বাস্থ্য ভালো রাখতে
দৃষ্টিশক্তির জন্য যদিও গাজরকে প্রাধান্য দেওয়া হয়। তবে এক্ষেত্রে ভুট্টাও পিছিয়ে নেই। এই সবজির হলুদাভ অংশে থাকে লুটিন এবং জিয়াক্সানথিন। এই দুই ক্যারোটিনয়েডস বিভিন্ন যান্ত্রিক পর্দা থেকে নির্গত নীল আলো (ব্লু লাইট) থেকে চোখ রক্ষা করে, দৃষ্টিশক্তি বাড়ায় এমনকি বয়সের সঙ্গে দৃষ্টিক্ষয়ের ঝুঁকিও রোধ করে।
পটাসিয়াম ও ম্যাগনেসিয়ামের উৎস
সাধাণত এক ‘সার্ভিং’ পরিমাণ ভুট্টা থেকে দৈনিক চাহিদার ৬ শতাংশ পটাসিয়াম এবং ৯ থেকে ১২ শতাংশ ম্যাগনেসিয়ামের চাহিদা পূরণ হতে পারে।
এই দুই ইলেক্ট্রোলাইটসের মধ্যে পটাসিয়াম দেহ আর্দ্র রাখার পাশাপাশি স্নায়ু তন্ত্রে সংকেত পাঠাতে, হাড় শক্ত ও রক্তচাপ কমিয়ে রাখতে সাহায্য করে।
ম্যাগনেসিয়াম স্নায়ুতন্ত্রের কাজ উন্নতিতে, রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে এবং স্ট্রোক ও হৃদরোগের ঝুঁকি কমাতে ভূমিকা রাখে।
রয়েছে ভিটামিন সি এবং বি
ভুট্টাকে একই সঙ্গে সবজি এবং শষ্য। তাই এতে যেমন থাকে খনিজ উপাদান তেমনি থাকে ভিটামিন।
এক কাপ ভুট্টা থেকে পাওয়া যায় দৈনিক চাহিদার ১৭ শতাংশ ভিটামিন সি। রোগ-প্রতিরোধ ক্ষমতা, কোলাজেন উৎপাদন ও লৌহ শোষণে সাহায্য করে এই অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট।
এছাড়া দৈনিক চাহিদার ২৪ শতাংশ থায়ামিন এবং ১৯ শতাংশ ফোলেইট পাওয়া যাবে এক কাপ ভুট্টায়।
দুইটাই বি ভিটামিন্স, যা কার্বোহাইড্রেইটস থেকে শক্তি রূপান্তরে কাজে লাগে।
গর্ভের শিশুর সাধারণ বৃদ্ধি ও জন্মকালিন ক্রুটি হওয়ার ঝুঁকি কমাতে বিশেষভাবে ফোলেইট গ্রহণ করতে বলা হয়।
আরও পড়ুন: