পোশাকে মনের মতো নকশা করতে চাইলে চলে যেতে পারেন ঢাকার নিউমার্কেট।
Published : 14 Jun 2015, 02:41 PM
বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই সুতি কাপড় বেছে নেওয়া হয় ব্লক ও বাটিকের জন্য। তাই গরমেও বেশ স্বস্তি পাওয়া যায়।
রাজধানীর নিউমার্কেটের দ্বিতীয় ও তৃতীয় তলায় রয়েছে ব্লক ও বাটিকের দোকান। এখান থেকে কেনা যাবে পছন্দসই শাড়ি, থ্রি-পিস ও চাদর। তবে কেউ চাইলে নিজের পছন্দ মতো এইসব দোকানে অর্ডার দিতে পারেন।
নিউমার্কেটের তৃতীয় তলায় এম.আর ব্লক অ্যান্ড বাটিক দোকানের কারীগর ও বিক্রেতা মো. আনোয়ার হোসেন জানান, এখানে ব্লকের কামিজের দাম সাড়ে ৪শ’ থেকে ৫শ’ টাকা এবং আফসান ব্লকের দাম পরবে ৭শ’ টাকা। বাটিকের থ্রি-পিসের দাম সাড়ে ৫শ’ টাকা। হ্যান্ডপেইন্টের থ্রি-পিস ৭শ’ টাকা। শাড়ির দাম ৬শ’ থেকে ৭শ’ টাকা। তবে কাজ ভেদে দামের পার্থক্য হবেই।
বাটিকের চাদরের দাম সাড়ে ৫শ’ টাকা। এখানে হ্যান্ড পেইন্টসহ ব্লক ও বাটিকের থ্রি-পিস, শাড়ি, ও চাদরের অর্ডারও নেওয়া হয়।
জোছনা ব্লক প্রিন্ট ও বুটিক দোকানের বিক্রেতা পায়েল বলেন, এখানে ব্লকের থ্রি-পিস পাওয়া যাবে সাড়ে ৪শ’ থেকে ১ হাজার ২শ’ টাকায়। বাটিকের থ্রি-পিস ৫শ’ থেকে সাড়ে ৬শ’ টাকা।
মিতু ব্লক প্রিন্ট ও বুটিক দোকানে পাওয়া যাবে চুমকি বসানো বাটিকের থ্রি-পিস দাম ৭শ’ টাকা এবং সাধারণ বাটিকের থ্রি-পিস ৫শ’ টাকা।
বাটিকের কামিজে সুতার কাজ করা এবং জর্জেটের ওড়না এমন থ্রি-পিস মিলবে সাড়ে ৬শ’ থেকে সাড়ে ৭শ’ টাকায়।
এছাড়াও এখানে পাওয়া যাবে ব্লক ও বাটিকের শাড়ি। সাধারণ বাটিকের শাড়ির দাম ৭শ’ টাকা এবং চুমকি বসানো শাড়ির দাম ৯শ’ টাকা।
এসব দোকানে নকশা ও রং বলে অর্ডার দিলে ১৫ দিনের মধ্যে পাওয়া যাবে ব্লক ও বাটিকের শাড়ি। একই শাড়িতে ব্লক ও বাটিকের কাজ করাতে চাইলে দাম একটু বেশি পড়বে। আর শাড়িতে যদি একরঙা ব্লকের কাজ করাতে চান তবে খরচ পরবে ২শ’ থেকে আড়াইশ টাকা। তবে এক্ষেত্রে কাপড় ও রং আপনাকে সরবারহ করতে হবে।
বাজার ঘুরে দেখা যায়, ব্লকের কামিজ সাড়ে ৪শ’ থেকে সাড়ে ৮শ’ টাকার মধ্যে পাওয়া যাবে। একই কামিজে ব্লক ও বাটিকের কাজ থাকলে দাম হবে একটু বেশি।
দ্বিতীয় তলায় সিঁড়ি প্রান্তে পাওয়া যাবে বাটিকের গজ কাপড়। প্রতি গজ কাপড়ের দাম পরবে ১শ’ থেকে ১২০ টাকা, জানালেন বিক্রেতা হুমায়ুন কবির।
সুমাইয়া ফেব্রিক্স দোকানের বিক্রেতা মিঠু জানান, এখানে ব্লকের উপর সুতা কাজ করা থ্রি-পিসের দাম ৫শ’ টাকা এবং মান ভেদে বাটিকের থ্রি-পিসের দাম সাড়ে ৩শ’ থেকে সাড়ে ৬শ’ টাকা।
নিউমার্কেটের দ্বিতীয় তলায় রয়েছে পুরুষদের জন্য বাটিকের পসরা। এখানে পাওয়া যাবে বাটিকের পাঞ্জাবি, ফতুয়া ও শার্ট এবং ছোটদের জন্য ফতুয়া। দাম ও মাপ ভেদে ১শ’ থেকে দেড়শ’ টাকা। বড়দের ফতুয়ার দাম ৩শ’ টাকা বলে জানান তাসনিয়া এন্টারপ্রাইজের বিক্রেতা।
এইসব দোকানে দুই হাত বহরের বাটিকের কাপড় বিক্রি হয় প্রতি গজ ১শ’ টাকায়।
নিউমার্কেটের দ্বিতীয় ও তৃতীয় তলা ছাড়াও নিচ তলায় ও গাউছিয়া মার্কেটের বিভিন্ন দোকানে পাওয়া যাবে ব্লক, বাটিক ও হ্যান্ড পেইন্টের থ্রি-পিস, গজ কাপড়, শাড়ি ও চাদর। তবে নিজ পছন্দ অনুযায়ী অর্ডার দিতে হলে যোগাযোগ করতে হবে ওই সকল দোকানে।
গার্হস্থঅর্থনীতি কলেজে একজন ছাত্রী আয়েশা সিদ্দিকা বলেন বাটিকের কম দাম আর আরামদায়ক। এজন্য তিনি নিয়মিত বাটিক প্রিন্টের কাপড় ব্যবহার করে থাকেন।
তাই সামনের ঈদের নিজের পছন্দ মতো নকশার পোশাক পরতে চাইলে দেরি না করে চলে যেতে পারেন ঢাকার নিউমার্কেটের এসব দোকানে। সাশ্রয়ী দামে নিজস্ব নকশায় সাজিয়ে নিন আপনার পোশাক।
ছবি: তানভীর আহমেদ/বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম