মানানসই ‘টপস’ আর দৈহিক গঠন বুঝে স্কার্ট পরলে দেখতে লাগবে বেশ।
Published : 19 May 2015, 04:52 PM
গরমে আরামদায়ক পোশাক হিসেবে নতুন প্রজন্মের কাছে বেশ জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে স্কার্ট। পাশ্চাত্য ফ্যাশন হলেও আমাদের দেশীয় পোশাক হিসেবেও স্থান করে নিয়েছে। লম্বা এবং মাঝারি দৈর্ঘ্যের স্কার্ট বর্তমান ফ্যাশনে বেশ জনপ্রিয়।
ঘরের পোশাক হিসেবে বেশ আরামদায়ক হলেও বর্তমানে ইউনিভার্সিটি, বন্ধুদের আড্ডা, অনুষ্ঠান ইত্যাদিতেও স্কার্ট বেশ মাননাসই পোশাক হিসেবে স্থান করে নিয়েছে।
প্রকৃতির ঋতু বদলের সঙ্গে পোশাক বাছাইয়েও আসে পরিবর্তন। তীব্র গরমে যাদের অনেকটা সময় বাইরে কাটাতে হয় তাদের জন্য প্রয়োজন আরামদায়ক পোশাক। এই বিষয় মাথায় রেখেই তরুণীরা বর্তমানে স্কার্ট-টপস বা শার্ট বেছে নিচ্ছেন।
হাল ফ্যাশনে স্কার্টের জনপ্রিয়তা এবং স্কার্ট পরার ক্ষেত্রে লক্ষণীয় বিষয়গুলো নিয়ে কথা বলেন দেশীয় ফ্যাশন ঘর ‘মায়াসির’য়ের কর্ণধার মাহিন খান।
সামনে একটু উঁচু আর পেছনে ঝোলানো, স্কার্টের কলিগুলো কিছুটা উঁচুনিচু ইত্যাদি বেশ জনপ্রিয়তা পাচ্ছে। মডেল: জাকিয়া উর্মি।
আমাদের দেশীয় সংস্কৃতির সঙ্গে পা পর্যন্ত লম্বা স্কার্টই বেশি মানানসই।
‘লং’ বা ‘সেমি লং’ স্কার্টের সঙ্গে ‘শর্ট টপস’ বা মাঝারি আকারের ফতুয়া বেশ মানানসই। চাইলে মানানসই টি-শার্ট বা শার্টও পরা যেতে পারে স্কার্টের সঙ্গে।
মাহিন খান বলেন, “আমাদের পারিপার্শ্বিক পরিস্থিতির সঙ্গে মানিয়ে ‘ফুল লেন্থ’ স্কার্ট বেছে নেওয়া যেতে পারে। কুচি দেওয়া বা কলি স্টাইলের স্কার্টগুলো বেশ ভালোলাগে দেখতে। লেহেঙ্গার মতো লম্বা ও ঘের দেওয়া স্কার্টগুলোর সঙ্গে মানানসই টপস পরলে দেখতেও বেশ ফ্যাশনেবল লাগে।”
স্কার্টের সঙ্গে পছন্দ অনুযায়ী শর্ট বা মাঝারি আকারের টপস বেছে নেওয়ার পরামর্শ দেন মাহিন খান।
তিনি বলেন, “স্কার্টের সঙ্গে ছোট ফতুয়া ধরনের টপস দেখতে বেশ ভালো লাগে। তবে একটু মোটা যারা তাদের জন্য কিছুটা লম্বা বা হিপের নিচ পর্যন্ত যায় এমন টপস বেছে নেওয়া উচিত। এতে দেখতে ভালো লাগবে।”
গরমে স্কার্টের কাপড় হিসেবে লিলেন ও সুতি কাপড়ই বেশি আরামদায়ক। মডেল: জেনিফার ডি. প্যারিস।
ভয়েল বা আদ্দি-কাপড়ের স্কার্ট ভালো হয় মডেল: জাকিয়া উর্মি এবং জেনিফার ডি. প্যারিস।
মাহিন খান বলেন, “এখনকার ফ্যাশনে পোশাকের ডিজাইনে বিভিন্ন কাট নিয়ে নতুনত্বের প্রচলন রয়েছে। স্কার্টের ক্ষেত্রেও এটি বেশ চোখে পড়ছে। সামনে একটু উঁচু আর পেছনে ঝোলানো, স্কার্টের কলিগুলো কিছুটা উঁচুনিচু ইত্যাদি বেশ জনপ্রিয়তা পাচ্ছে। অসম-কলির স্কার্ট পরলে দেখতে বেশ ভালো লাগে।”
স্কার্টের সঙ্গে টপস বাছাইয়ের ক্ষেত্রে দুটির রং এবং প্রিন্ট মানানসই কিনা সেই বিষয়ে বিশেষ লক্ষ রাখতে হবে। খেয়াল রাখতে হবে স্কার্ট এবং টপস দুটোই যেন একই ধরনের প্রিন্টের না হয়। পরামর্শ দিলেন মাহিন খান।
তিনি বলেন, “স্কার্ট যদি প্রিন্টের হয় তাহলে এক রঙা বা হালকা সুতার কাজ, ব্লক প্রিন্টের টপস বেছে নিতে হবে। আবার এক রঙা বা নিচে পাড় বসানো স্কার্টের সঙ্গে ভারি কাজ বা প্রিন্টের টপস বেশ ভালো লাগে।”
গরমে স্কার্টের কাপড় হিসেবে লিলেন ও সুতি কাপড়ই বেশি আরামদায়ক। ভয়েল বা আদ্দি-কাপড়ের স্কার্ট ভালো হয় বলে জানান, মাহিন খান।.
খেয়াল রাখতে হবে স্কার্ট এবং টপস দুটোই যেন একই ধরনের প্রিন্টের না হয়। মডেল: জেনিফার ডি. প্যারিস।
গরমে স্কার্টের কাপড় হিসেবে লিলেন ও সুতি কাপড়ই বেশি আরামদায়ক। মডেল: জাকিয়া উর্মি।
পছন্দমতো স্কার্ট পেতে বিভিন্ন ব্র্যান্ড এবং দেশীয় ফ্যাশন ঘরগুলো ঘুরে দেখা যেতে পারে। গুলশানের ক্যাটস আইয়ের আউটলেটে মাঝারি, ‘লং’, ‘সেমি লং’ ইত্যাদি ধরনের স্কার্ট পাওয়া যাবে। জর্জেট এবং গেঞ্জি কাপড় দিয়ে তৈরি করা হয়েছে স্কার্টগুলো।
ফ্যাশন হাউজ ‘যাত্রা’য় পাওয়া যাবে স্কার্ট। বিভিন্ন বিষয়ের উপর ভিত্তি করে পুরানো কাপড় ব্যবহার করে তৈরি হয় ‘যাত্রা’র স্কার্টগুলো। কাপড়ের উপর কাপড়ের ডিজাইন, আবার সঙ্গে পুতি বা ফিতা দেওয়া স্কার্টও পাওয়া যাচ্ছে।
‘আড়ং’য়ে পাওয়া যাবে ট্রাইবাল মোটিফ বা বিভিন্ন প্রিন্টের স্কার্ট। বাহারি রং, লেস এবং পাড় বসানো নানান ধরনের স্কার্টের ভিন্নতা পাওয়া যাবে আড়ংয়ের সবগুলো আউটলেটের ‘তাগা’য়।
ফ্যাশন ঘর ‘সাদাকালো’তেও রয়েছে সাদা ও কালো কম্বিনেশনের স্কার্ট। ‘মায়াসির’রে রয়েছে বিভিন্ন রং ও নকশার লং স্কার্ট।
ফ্যাশন হাউজ থেকে কিনতে স্কার্টের দাম পড়বে এক হাজার থেকে সাড়ে তিন হাজার টাকা।
স্কার্টের সঙ্গে পছন্দ অনুযায়ী শর্ট বা মাঝারি আকারের টপস মানানসই। মডেল: জাকিয়া উর্মি।
এসব শপিং সেন্টার থেকে স্কার্ট কিনতে গুনতে হবে ২শ’ থেকে দেড় হাজার টাকা।
চাইলে গজ কাপড় কিনে নিজের মনমতো ডিজাইনে বানিয়েও নেওয়া যেতে পারে স্কার্ট।
পোশাক: মায়াসির। ছবি: আসাদুজ্জামান প্রামানিক।