মিতব্যয়ী হওয়ার অভ্যাস গড়ে নিতে পারেন বর্তমান পরিস্থিতি থেকে।
Published : 31 Mar 2020, 11:47 AM
শুধু দেশের নয়, পুরো পৃথিবীর এই সংকটপূর্ণ পরিস্থিতিতে আতঙ্কিত না হয়ে ভাবুন এই ঘরে থাকার ভালো দিকগুলো সম্পর্কে।
মানুষের মাথায় প্রথমেই আসবে খরচের বিষয়টা। দ্রব্যমূল্য বাড়তি একথা অস্বীকার করার সুযোগ নেই। তবে ঘরে থাকার কারণে প্রতিদিনের অসংখ্য ছোট খরচ আপনার কমে গেছে।
জীবনযাপন-বিষয়ক একটি ওয়েবসাইটে প্রকাশিত প্রতিবেদনের আলোকে জানানো হল এমনই কিছু খরচ সম্পর্কে।
যাতায়াত খরচ: ‘লকডাউন’য়ের কারণে দেশের সকল অফিস, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, বিনোদন কেন্দ্র, যানবাহন বন্ধ। প্রয়োজনীয় সদাই কেনা ছাড়া বাইরে যাওয়াও নিষেধ। তাই যাতায়াত খরচ আপনার নেই বললেই চলে। প্রতিদিন অফিস যাতায়াত, সামাজিক অনুষ্ঠানে যাওয়া, আড্ডায় যোগ দেওয়া ইত্যাদি কারণে বিভিন্ন জায়গায় যেতে আপনার যে অর্থ খরচ হত তার কিছুই কিন্তু নেই। এই যাতায়াত খরচে কত টাকা সাশ্রয় হচ্ছে তার হিসাব করাও কিন্তু হতে পারে ঘরে বসে সময় কাটানোর একটি উপায়।
কেনাকাটা: দেশের কোনো শপিং সেন্টার খোলা নেই। বাজার, মুদি দোকান, ফার্মেসি ইত্যাদি ছাড়া সব ধরনের দোকানই বন্ধ। ফলে জামাকাপড়, জুতা, ব্যাগ ইত্যাদি কেনার সুযোগ নেই মোটেও। আর যেহেতু আপনি ঘর থেকেই অফিস করছেন তাই পরিপাটী পোশাক পরারও প্রয়োজন নেই। ফলে এই কেনাকাটার খরচও বেঁচে যাচ্ছে।
রেস্তোরাঁর বিল: রাজধানীর মানুষগুলোর জন্য অন্যতম বিনোদনের উৎস রেস্তোরাঁ। যেখানে পাড়ার চায়ের দোকানগুলোও বন্ধ সেখানে রেস্তোরাঁ খোলা পাওয়ার তো প্রশ্নই আসে না। ঘরে বসে পিৎজা, বার্গার, বিরিয়ানির কথা মনে পড়লেও উপায় নেই। ঘরে রান্না করা খাবারই আপনার একমাত্র ভরসা। স্বল্প পরিসরে হোম ডেলিভারি হয়ত দিচ্ছে কিছু রেস্তোরাঁ, তবে ভাইরাসের আতঙ্কে সেটাতেও আপনি আগ্রহ পাচ্ছেন না। এতে আপনার স্বাস্থ্যের যেমন উন্নতি হওয়া সম্ভব তেমনি পকেটেরও উন্নতি হচ্ছে। শুধু রেস্তোরাঁ কেনো, আশপাশের চায়ের দোকান বন্ধ থাকাতেই কিন্তু প্রতিদিনের অনেকটা খরচ কমে যাচ্ছে আপনার।
অপ্রয়োজনীয় খরচ: পকেটে বাড়তি পয়সা থাকুন আর না থাকুক, অপ্রয়োজনীয় কেনাকাটার দোষে সবাই দোষী। এই অপ্রয়োজনীয় কেনাকাটার বস্তুগুলো মানুষ ভেদে ভিন্ন এবং একটা সময় পরে সবাই বুঝতে পারেন ওটার প্রয়োজন ছিলনা। কিন্তু কেনা তো হয়েই গেছে। এই ‘লকডাউন’য়ে ঘরে বসে থাকার কারণে সেগুলোও কিন্তু হচ্ছে না, ফলে খরচ কমছে।
খরচ সামলানো ব্যাপারে এই সময়টা সবাইকেই কিছু না কিছু শিখিয়ে যাচ্ছে। প্রয়োজনীয়-অপ্রয়োজনীয় খরচগুলো চিহ্নিত হচ্ছে। পরিস্থিতি স্বাভাবিক হওয়ার পরও এই শিক্ষা জীবনে কাজে লাগাতে পারলে আর্থিক টানাপোড়েন নিয়ন্ত্রণ আরও সহজ হবে।
আরও পড়ুন