মনের মতো মানুষ পাওয়ার পরও সম্পর্ক গড়তে গিয়ে ভয় পাওয়ার নানান কারণ থাকতে পারে।
Published : 27 May 2019, 01:39 PM
জীবনসঙ্গীর মাঝে যে গুণগুলো থাকা জরুরি তার সবগুলোই আছে এমন একজনকে পেয়েছেন, তার সঙ্গে খুব ভালো বোঝাপড়া। দুজনেই সম্পর্ক সামনে এগিয়ে নিতে চান, এমন পরিস্থিতিতে তার প্রেমে পড়াটা কতটা কঠিন?
হয়ত একদমই না, তবে কারও ক্ষেত্রে এমন পরিস্থিতিও প্রেমের সম্পর্কের ভীতি দূর করতে যথেষ্ট নয়।
এর পেছনে নানান কারণ থাকতে পারে। পুরানো সম্পর্কের ভাঙ্গন, প্রতিশ্রুতিবদ্ধ হওয়ার ভয়, সম্পর্কের বাঁধনে আটকা পড়ে যাওয়ার আতঙ্ক ইত্যাদি।
এই অবস্থায় নিজেকেই প্রশ্ন করুন আসলে কী চান?
সম্পর্কবিষয়ক একটি ওয়েবসাইটে প্রকাশিত প্রতিবেদন অবলম্বনে এখানে জানানো হল কোন বিষয়গুলো সম্পর্কে নিজেকে প্রশ্ন করা উচিত।
প্রেমে পড়ায় বাধা কোথায়?
কোনো বিষয়ে একবার একটি মনোভাব তৈরি হয়ে গেলে তা পরিবর্তন করা অত্যন্ত জটিল। তবে কেনো ওই মনোভাব তৈরি হয়েছিল তা খুঁজে বের করতে পারলে বিষয়টি সহজ হতে পারে। একইভাবে প্রেমের সম্পর্কের ক্ষেত্রে নিজেকেই প্রশ্ন করতে হবে, প্রেমে পড়তে আপনাকে কোন বিষয়টি বাধা দিচ্ছে? উত্তর যদি অতীতের বাজে অভিজ্ঞতা হয় তবে তা থেকে বের হয়ে আসার জন্য নিজেকে সময় দিতে হবে। সম্পর্কের পিছুটান কিংবা অনিশ্চিত ভবিষ্যত যদি ভয়ের কারণ হয় তবে ভরসা বাড়াতে হবে। ভবিষ্যতে কি হবে তা কেউ বলতে পারে না, তাই ভবিষ্যতের আতঙ্কে বর্তমানকে জলাঞ্জলি দেওয়ার কোনো মানে হয় না।
ভবিষ্যতের আকাঙ্ক্ষা কি?
ভালোবাসার সম্পর্কের প্রতি ভীতি তৈরি হয় যখন বয়স কম কিংবা মাত্রই বাজে অভিজ্ঞতার শিকার হয়েছেন। জীবনটা একাই কাটিয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলেন অনেকেই। মনে রাখতে হবে, এসময় আপনার পাশে আছে আপনার বন্ধুবান্ধব ও পরিবার। আশপাশে আন্তরিক মানুষ থাকলে এই নেতিবাচক মনোভাব তৈরি হওয়াটা সহজ। তবে এই পরিবার, বন্ধুবান্ধব তো সারাজীবন থাকবে না। তখন কি আপনি একা জীবন কাটাতে পারবেন? মানসিকভাবে আপনি কি প্রস্তুত?
সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে ভেবে দেখেছেন তো?
জীবনের গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্তগুলোর নেপথ্যে অনেকগুলো গুরুত্বপূর্ণ বিষয় ভূমিকা পালন করে। একাকী জীবন পার করাও এমনই একটি গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত। তাই যেকোনো সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে সাতপাঁচ ভেবে নিতে হবে। অনেকসময় আমরা দ্রুত সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলি, যার ফলাফল শুভ হয়না।
প্রেম না করেই কি আতঙ্কিত?
নিজে প্রেম দরিয়ায় ডুব না দিয়েই আশপাশের কাছের মানুষের বাজে অভিজ্ঞতা দেখেই মনের দরজা বন্ধ করে দেওয়াটা একেবারেই অন্যায়। মনে রাখতে হবে প্রত্যেকের অভিজ্ঞতা ভিন্ন, আরেকজনের সঙ্গে যা হয়েছে আপনার সঙ্গেও তেমনটা হবে একথা ভিত্তিহীন। তাই আগে প্রেমের দরিয়ায় ডুব দিতে হবে, তারপরই বুঝতে পারবেন জীবন রঙিন নাকি বিভীষিকাময়।
আলোচনার সুযোগ কি হয়েছে?
প্রেমের সম্পর্ক নিয়ে যে আতঙ্কে ভুগছেন, তা নিয়ে কারও সঙ্গে কি কথা বলেছেন? তা হতে পারে কোনো বিশেষজ্ঞ কিংবা অত্যন্ত কাছের বন্ধু। তৃতীয় ব্যক্তির সঙ্গে আলোচনার মাধ্যমে নিজের চিন্তাগুলোর নিরপেক্ষ বিশ্লেষণ পাবেন। অনেকসময় সব ভয় মূলত আমাদের কল্পনাসৃষ্ট। আর সঠিক মানুষের সঙ্গে আলোচনা সেই অবাস্তব ভয় কাটাতে সাহায্য করে।
ইতিবাচক মনোভাব
ভালোবাসা সবসময়ই মধুর। সকল ভালোবাসার সম্পর্কের সমাপ্তি সুখকর না হলেও যতদিন ভালোবাসা ছিল, জীবন আনন্দময় ছিল। ভালোবাসা পেতে হলে সম্পর্কের প্রতি আমাদের ইতিবাচক মনোভাব থাকা জরুরি। ভালোবাসাকে অবজ্ঞা করলে, ভালোবাসার মানুষগুলোও দূরে সরে যাবে। তাই ইতিবাচক মনোভাব বজায় রাখুন, ভালোবাসার জন্য মনের দরজা খুলে দিন।
ছবি: রয়টার্স।
আরও পড়ুন-