কীভাবে বুঝবেন সম্পর্ক শেষ করতে হবে?

কোনো সম্পর্কই শতভাগ সাবলীল নয়। তবে প্রেম বা ভালোবাসার সম্পর্কে যদি চড়াই-উতরাই চলতেই থাকে তবে সেটা দুজনের জন্যই শেষ করে দেওয়া মঙ্গল।

লাইফস্টাইল ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 19 March 2018, 07:26 AM
Updated : 19 March 2018, 07:26 AM

কী ধরনের লক্ষণ দেখে বুঝবেন এই সম্পর্ক শেষ করে দেওয়া সুখকর। সম্পর্কবিষয়ক একটি ওয়েবসাইটে এই বিষয়ের ওপর প্রকাশিত প্রতিবেদন অবলম্বনে এই আয়োজন।

​সম্পর্ক স্বার্থক করার জাদুকরী কোনো উপায় নেই। প্রতিটা সম্পর্কেই ছোটখাটো বিষয় নিয়ে ঝগড়া, মান-অভিমান হয়। এটা সমাধান করতে কখনও মানিয়ে নিতে হয় আবার কখনও মেনে নিতে হয়। তবে বিষয়গুলো যদি নিয়মিত চলতে থাকে তখন তা বেশ চিন্তার বিষয় হয়ে দাঁড়ায়। কারণ এটা শান্তি নষ্ট করে এমনকি সম্পর্কও নষ্ট করতে পারে ।

ভালোবাসার প্রকাশ নাই: দুজনের কেউ-ই কথায়, শারীরিক বা কোনো ভাবেই যখন সঙ্গীর প্রতি ভালোবাসা প্রকাশ করেন না। একান্ত সময়ে নিজেদের ভালোবাসা উপভোগ করছেন না অথবা ফিসফিস করে মিষ্টি ভালোবাসার কথা বলছেন না। এমনকি দুজনে পাশাপাশি বসে অলস সময় কাটানোর পরেও সঙ্গীর সঙ্গে কথা বলার মতো কোনো কিছু খুঁজে পাচ্ছেন না; কিংবা দুজনে মিলে আদর্শ কোনো সময় কাটাচ্ছেন না। তাহলে বুঝতে হবে এটা সম্পর্কের মানসিক দূরত্বে ইঙ্গিত করছে। আর তা আর বেশিদূর আগানো সম্ভব নয়।

দুজনের জীবনের লক্ষ্য আলাদা: সম্পর্কের শুরুতে দুজনের আদর্শ, মতামত বা জীবনের লক্ষ্য এক থাকলেও এখন তা আলাদা যেমন- একজন চাচ্ছেন জীবন গুছিয়ে নিতে বা সন্তান নিতে, অন্যদিকে সঙ্গী বিয়ে বা সংসার গোছানো নিয়ে খুব একটা উৎসাহী নয়। অথবা একজন চাকরি নিয়ে বাইরে যেতে চান কিন্তু অন্যজন নিজ শহরেই থাকতে চান। যখন এসব বিষয় নিয়ে দুজনের মাঝেই ভিন্ন জীবনাদর্শ দেখা দেবে তখন দোটানা নিয়ে থাকা বেশ কঠিন। এইসময় জোড়াতালি দিয়ে সম্পর্ক চালিয়ে যাওয়ার চেয়ে শেষ করে দেওয়াই ভালো।

আপনিও আর আগের মতো নেই: সম্পর্কের শুরুর মতো আপনি আর আগ্রহী নন। সারাদিনের খুঁটিনাটি আগের মতো আর সঙ্গীর সঙ্গে সহভাগিতা করেন না। অথবা সঙ্গীর সারাদিনের কাজ সম্পর্কে আপনি জানার আগ্রহ পান না। এটা আপনাদের দুজনের মাঝে যোগাযোগের দূরত্ব বাড়াচ্ছে। তাছাড়া আপনি বন্ধু বা আত্মীয়দের সঙ্গে নিজের মনের কথা প্রকাশ করতে বেশি পছন্দ করেন। কারণ আপনার ধারণা হয়ে গিয়েছে, সঙ্গী আপনাকে আর বোঝে না।

আপনি মনে করেন যে সম্পর্ক আপনাকে খারাপের দিকে নিয়ে যাচ্ছে: সঙ্গী আপনাকে আপনার মৌলিক বিষয়গুলো থেকে পরিবর্তন করতে চায়। সঙ্গীকে খুশি রাখতে সবসময়ই নিজের সাধ্যের বাইরে গিয়ে অনেক কিছু করতে হয়। সঠিক সঙ্গীর সঙ্গে সম্পর্কে জড়ালে মানিয়ে নেওয়ার জন্য দুজনকেই সামান্য কিছু পরিবর্তিত হতে হয়। এটা একটা দ্বৈত প্রচেষ্টা। তার মানে এই নয় যে একজন অন্যজনকে ভালো রাখার জন্য পুরোটাই বদলে যেতে হবে। দুজনেরই একে অপরের প্রতি সুন্দর দৃষ্টিভঙ্গি বজায় রাখার জন্য প্রচেষ্টা চালিয়ে যেতে হবে।

সমস্যা কখনই শেষ হয় না: সম্পর্কে সবসময়ই ঝামেলা লেগে থাকে, শেষ কবে দুজনে এক সঙ্গে ভালো ছিলেন সেটাও মনে করতে পারেন না। তাছাড়া, সম্পর্কের ভবিষ্যত নিয়ে দ্বিতীয়বার ভাবছেন এবং যে সমস্যাগুলো আপনাদের মাঝে ধীরে ধীরে বাসা বাঁধছে তা দূর করতেও আপনি আগ্রহী নন। পরে সঙ্গীকে ছাড়া থাকার বিষয়েও আপনি খুব একটা উদ্বিগ্ন নন। সম্পর্কে এই লক্ষণগুলো আপনাদের আবেগগত বিচ্ছিন্নতা ইঙ্গিত করে এবং এমন পরিস্থিতিতে আপনাদের আলাদা থাকাই মঙ্গলজনক।

আরও পড়ুন