শিশুর মনোযোগ বাড়ানোর উপায়

স্বাস্থ্যকর ও মজাদার খাবার শিশুর মস্তিষ্ক সচল রাখতে সাহায্য করে।

লাইফস্টাইল ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 12 Sept 2018, 09:45 AM
Updated : 12 Sept 2018, 09:45 AM

খাদ্যাভ্যাসে পর্যাপ্ত পুষ্টি উপাদান না থাকলে যে কোনো মানুষের সারাদিনে কার্যক্রম এলোমেলো হয়ে যায়। প্রাপ্তবয়স্করই যদি এই অবস্থা হয় তবে শিশু কিশোরদের কতটা সমস্যা হতে পারে!

তাই শিশু কিশোরদের সারাদিনের রুটিন মেনে চলায় সাহায্য করতে চাই স্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস। এজন্য নেওয়া যেতে পারে বিভিন্ন মজার ব্যবস্থা।

যেগুলো শিশুবিষয়ক একটি ওয়েবসাইটে পরামর্শগুলো দিয়েছেন ভারতীয় পুষ্টিবিদ সোনালি সাভারওয়াল।

শষ্যে ভরপুর সকালের নাস্তা: শিশু কিশোরদের মনোযোগের অভাব হওয়ার একটি বড় কারণ হল শরীরে শর্করার অভাব। আর এই অভাব মেটানোর অনন্য একটি উপায় হল সকালের নাস্তায় শষ্যজাতীয় খাবার খাওয়া। এখানে থাকতে পারে লাল-চাল কিংবা ভুট্টার বিভিন্ন পদ।

সময়ের অভাবে রান্না করা সম্ভব না হলে শষ্য ব্লেন্ড করে মিশিয়ে দিতে পারেন পানীয়তে। সকালের নাস্তায় শষ্যাজাতীয় খাবার থাকলে শিশুর দীর্ঘসময় পেট ভরা থাকবে। ফলে দুপুরের খাবারের আগ পর্যন্ত স্কুলের পড়াশোনা চালিয়ে যেতে সমস্যা হবে না।

ঘরে চিনি নিষিদ্ধ: সন্তান বাইরে কী খাচ্ছে তা পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব নয়। তাই ঘরের খাওয়ার উপর চাই কড়া নিয়ন্ত্রণ। এজন্য চিনির ক্ষতিকর দিকগুলো যাতে সবসময় তাদের চোখে পড়ে এমন ব্যবস্থা করতে পারেন। যেমন- কাগজে লিখে ফ্রিজের গায়ে এঁটে রাখা।

তবে হুট করে চিনি বন্ধ করা যাবে না, ধীরে ধীরে কমাতে হবে। যেমন- এক গ্লাস দুধে আপনার সন্তান যদি দুই টেবিল-চামচ চিনি খায় তবে ধীরে ধীরে তা দেড় চামচ এবং তারপর এক চামচে নামিয়ে আনতে হবে।

কিছু স্বাস্থ্যকর স্ন্যাকস: স্টার্চ বা স্নেহজাতীয় খাবার স্ন্যাকস বা হালকা খাবার হিসেবে অত্যন্ত কার্যকর। এরমধ্যে থাকতে পারে মিষ্টি আলু। সিদ্ধ করা মিষ্টি আলু দেখলে অনেক প্রাপ্তবয়স্ক মানুষই দুরে দুরে থাকে। শিশু কিশোরদের কথা তো বলাই বাহুল্য। তাই মিষ্টি আলু বেইক করে চিপস বানিয়ে নিতে পারেন।

কচু দেখেও নাক সিঁটকাতে পারে আপনার সন্তান। আর এখানেও চিপস পদ্ধতি কাজে লাগাতে পারেন।

মিষ্টি কুমড়া আরেকটি খাবার যা বেশিরভাগ শিশু খেতে চায়না। এক্ষেত্রে মিষ্টি কুমড়ার তরকারি দিয়ে রুটির রোল বানিয়ে দিতে পারেন।

স্নেহজাতীয় খাবারের সুবিধা: ‘সেরোটোনিন’ হরমোনের একটি আদর্শ উৎস হল স্নেহজাতীয় খাবার। আর মন মেজাজ প্রফুল্ল রাখার দায়িত্বটা এই হরমোনের ঘাড়েই।

আরও পড়ুন