শেষ বৈশাখে এসে প্রকৃতিকে রাঙিয়ে চারপাশে ফুটেছে রক্তলাল কৃষ্ণচূড়া আর হলুদ সোনালু। ঢাকা শহরের কয়েকটি যায়গায় লাল আর হলুদে রাঙিয়ে ফুল ডালে ডালে ফুটেছে ফুল দুটি।
Published : 05 May 2016, 05:03 PM
বৈশাখের এ আগুন ঝরা সময়ে কিছুটা প্রশান্তি পেতে ঢু মারতে পারেন কোনো কৃষ্ণচূড়া কিংবা সোনালুর তলায়।
কৃষ্ণচূার বৈজ্ঞানিক নাম ডেলোনিখ রেজিয়া। মূলত আগুন লাল ফুলের জন্য বৈশাখজুড়ে সবার নজর কাড়তে সক্ষম এ ফুল। ইংরেজী ফ্লেম ট্রি নামের এ ফুল পার্শ্ববর্তী দেশ ভারত ও পাকিস্তানে গুলমোহর নামে পরিচিত। সোনালুর ইংরেজী নাম গোল্ডেন শাওয়ার ফ্লাওয়ার। স্থানীয়ভাবে এ ফুল বানরলাঠি নামেও পরিচিত।
গ্রীষ্মকালীন এ ফুল বর্ষা পর্যন্ত ফুটতে দেখা যায় এদেশে। কটকটা হলুদ রংয়ের এ ফুল ঝারবাতির মতো থোকায় থোকায় ঝুলে ফুটে থাকে।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মলচত্ত্বর কৃষ্ণচূড়ার আরেক জগত। এছাড়া কলাভবনের সামনে বিশেষ করে গুরুদুয়ারা নানকশাহীর পেছনের গাছগুলোতে এ বছর ফুলের প্রাধান্য বেশি।
সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের রমনা কালি মন্দিরের আশপাশের গাছগুলোতেও আছে কৃষ্ণচূড়ার আধিক্য। এছাড়া রমনা পার্কের অস্তাচল গেট, ওসমানী উদ্যানের নগরভবনের সামনের দিকের প্রবেশপথেও আছে কৃষ্ণচূড়া।
ঢাকায় এ ফুলের আরেক জগত জাতীয় উদ্ভিদ উদ্যান। ন্যাশনাল বোটানিক্যাল গার্ডেন নামে পরিচিত মিরপুরের এ উদ্যানের ভেতরের গাছগুলোতে প্রচুর পরিমাণে ফুটেছে কৃষ্ণচূড়া। এছাড়াও ঢাকার ওয়ারী এলাকার বলধা গার্ডেন, পুরানো ঢাকার বাহাদুরশাহ পার্কেও ফুটেছে কৃষ্ণচূড়া।
সোনালু ফুলের জন্য বরাবরই বিখ্যাত জাতীয় সংসদ ভবনের পশ্চিম ও পূর্বপ্রান্ত। ঢাকার আসাদ গেইট কিংবা মনিপুরীপাড়া থেকে জাতীয় সংসদ ভবনের টানেলের দিকে যাওয়ার সড়কের উত্তর পাশের লাল ইটে বাঁধানো ফুটপাথ ছেয়ে ফুটেছে সোনালু।
গত কয়েক বছরের তুলনা জায়গাটিতে এ বছর ফুলটি অনেক বেশি ফুটেছে। সোনালু ফুলের আরেক রাজ্য ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কাজী মোতাহার হোসেন ভবনের সম্মুখভাগ। অ্যানেক্স বিল্ডিং নামে পরিচিত কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের বিপরীত পাশের এ জায়গায় সোনালু গাছ সংখ্যায় কম হলেও ডাল ভরা ফুল চোখে পড়ার মতো।
ঢাকার রমনা পার্কের ভেতরের গাছগুলিতেও ফুটেছে সোনালু। এছাড়া হাতিরঝিলে লাগানো ছোট ছোট সোনালু গাছগুলোতেও এ বছর ফুল ফুটেছে।
প্রয়োজনীয় তথ্য
কৃষ্ণচূড়া ও সোনালুর এ জগতে বেড়ানোর সবচেয়ে ভালো সময় ভোরবেলা। খুব ভোরবেলা গেলে গাছের তলায় লাল কিংবা হলুদে ঢাকা পাওয়া যাবে রাতের ঝরা ফুলে। বিকালেও জায়গাগুলোতে বেড়াতে যেতে পারেন।