লা লিগা
দিনের পরের ম্যাচে জিরোনার বিপক্ষে বার্সেলোনা পয়েন্ট হারালে শিরোপা নিশ্চিত হয়ে যাবে কার্লো আনচেলত্তির দলের।
Published : 04 May 2024, 10:15 PM
নিয়মিতদের অধিকাংশকে ছাড়া প্রথমার্ধে আক্রমণে ভুগল রেয়াল মাদ্রিদ। বিরতির পর অবশ্য নজরকাড়া পারফরম্যান্স উপহার দিল তারা। কাদিসকে উড়িয়ে লিগ শিরোপা পুনরুদ্ধারের খুব কাছে পৌঁছে গেল কার্লো আনচেলত্তির দল।
সান্তিয়াগো বের্নাবেউয়ে শনিবার লা লিগার ম্যাচটি ৩-০ গোলে জিতেছে স্পেনের সফলতম দলটি।
দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতে চমৎকার গোলে দলকে এগিয়ে নেন ব্রাহিম দিয়াস। বদলি নামার পরপরই ব্যবধান বাড়ান জুড বেলিংহ্যাম। শেষ সময়ে তৃতীয় গোলটি করেন হোসেলু।
এই জয়ে দ্বিতীয় স্থানে থাকা বার্সেলোনার চেয়ে ১৪ পয়েন্টে এগিয়ে গেল রেয়াল। দিনের পরের ম্যাচে জিরোনার বিপক্ষে বার্সেলোনা পয়েন্ট হারালে চার ম্যাচ বাকি থাকতেই শিরোপা নিশ্চিত হয়ে যাবে মাদ্রিদের দলটির।
৩৪ ম্যাচে রেয়ালের পয়েন্ট হলো ৮৭। ৩৩ ম্যাচে বার্সেলোনার ৭৩, জিরোনার ৭১ পয়েন্ট।
আগামী বুধবার চ্যাম্পিয়ন্স লিগ সেমি-ফাইনালের ফিরতি লেগে বায়ার্ন মিউনিখের বিপক্ষে গুরুত্বপূর্ণ লড়াই। তাই গত সপ্তাহে বায়ার্নের সঙ্গে ২-২ ড্র হওয়া প্রথম লেগের একাদশ থেকে কাদিসের বিপক্ষে ১০টি পরিবর্তন আনেন রেয়াল কোচ আনচেলত্তি। জায়গা ধরে রাখেন শুধু নাচো ফের্নান্দেস। চোট কাটিয়ে মৌসুমে প্রথমবার রেয়ালের গোলপোস্টে দাঁড়ান থিবো কোর্তোয়া।
অবনমন অঞ্চলে থাকা কাদিসের বিপক্ষে তৃতীয় মিনিটে একটি হাফ-চান্স পান হোসেলু। ফ্রান গার্সিয়ার ক্রসে ছুটে গিয়ে স্লাইডে প্রতিপক্ষ ডিফেন্ডারের চাপে ঠিকমতো পা ছোঁয়াতে পারেননি স্প্যানিশ ফরোয়ার্ড। একাদশ মিনিটে অনেকটা দূর থেকে এদের মিলিতাওয়ের নেওয়া বুলেট গতির শট ফিরিয়ে দেন কাদিস গোলরক্ষক।
মাঝে রেয়াল সেভাবে পরিষ্কার সুযোগ তৈরি করতে পারেনি। প্রথমার্ধের শেষ দিকে ভালো একটি সুযোগ পায় কাদিস। তবে কর্নারে গনসালো এসকালান্তের হেড লক্ষ্যে থাকেনি।
দ্বিতীয়ার্ধের পঞ্চম মিনিটে বড় সুযোগ হারান কাদিসের ক্রিস রামোস। সঙ্গে লেগে থাকা রেয়ালের এক খেলোয়াড়কে পেছনে ফেলে বল ধরে বক্সে ঢুকে পড়েন তিনি, সামনে একমাত্র বাধা গোলরক্ষক, এগিয়ে এসে তার প্রচেষ্টা ফিরিয়ে দেন কোর্তোয়া।
সেখান থেকেই পরক্ষণে এগিয়ে যায় রেয়াল। লুকা মদ্রিচের পাস বক্সের বাইরে পান ব্রাহিম। তাকে ঘিরে তখন প্রতিপক্ষের চার ফুটবলার। সামনে থাকা একজনের বাধা এড়িয়ে একটু জায়গা বানিয়ে ডান পায়ের শটে ঠিকানা খুঁজে নেন স্পেনে জন্ম নেওয়া মরক্কোর উইঙ্গার।
এই মৌসুমে সব প্রতিযোগিতা মিলিয়ে রেয়ালের হয়ে ৪১ ম্যাচে ব্রাহিমের গোল হলো ১০টি, সঙ্গে অ্যাসিস্ট আছে ৫টি।
৬৬তম মিনিটে আর্দা গিলেরকে তুলে বেলিংহ্যামকে মাঠে নামান আনচেলত্তি। দারুণভাবে কাজে লেগে যায় এই পরিবর্তন।
দুই মিনিট পরই ব্যবধান দ্বিগুণ করেন বেলিংহ্যাম। মদ্রিচকে বক্সের ঠিক বাইরে পাস দিয়ে ভেতরে ঢুকে পড়েন তিনি। সামনে প্রতিপক্ষের দুজন থাকায় মদ্রিচ পাস দেন পাশে থাকা ব্রাহিমকে। এই সতীর্থের পাসে ছয় গজ বক্সের সামনে থেকে প্রথম স্পর্শে শটে বল জালে পাঠান বেলিংহ্যাম।
রেয়ালে অভিষেক মৌসুমে সব প্রতিযোগিতা মিলিয়ে ৩৮ ম্যাচে ইংলিশ মিডফিল্ডারের গোল হলো ২২টি, সঙ্গে অ্যাসিস্ট ১০টি।
৭৩তম মিনিটে ব্রাহিমের জায়গায় নামানো হয় ভিনিসিউস জুনিয়রকে। ১০ মিনিট পর এই ব্রাজিলিয়ান ফরোয়ার্ডের ক্রসে কাছ থেকে মিলিতাওয়ের হেড দারুণভাবে এক হাতে ফিরিয়ে দেন গোলরক্ষক
চার মিনিট যোগ করা সময়ের দ্বিতীয় মিনিটে বেলিংহ্যামের ক্রসে হোসেলুর হেড গোলরক্ষকের হাত ছুঁয়ে পোস্টে লাগে। পরের মিনিটে প্রতিপক্ষের রুবেন আলকারাসের শট ঠেকান কোর্তোয়া। এরপরই প্রতি-আক্রমণে তৃতীয় গোল পেয়ে যায় রেয়াল।
মাঝমাঠ থেকে ভিনিসিউসের বাড়ানো বল ধরে বক্সে ঢুকে পড়েন নাচো। গোলরক্ষক এগিয়ে আসায় তিনি পাস দেন অন্য পাশে। ফাঁকা জালে বল পাঠান হোসেলু। আরেকবার উদযাপনে মাতে রেয়াল।
৩৪ ম্যাচে ২৬ পয়েন্ট নিয়ে ১৮ নম্বরে আছে কাদিস।