রংপুর জেলা আদালতে বিচারপ্রার্থী ও সাক্ষীদের বিশ্রামাগার ন্যায়কুঞ্জ শেডের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
Published : 23 May 2024, 07:00 PM
প্রত্যেক নাগরিক যেন রাষ্ট্রের কাছে ন্যায়বিচার পায় সেটা সংবিধানে বলা হয়েছে; তাই ন্যায়বিচার পাওয়া মানুষের মৌলিক অধিকার বলে মন্তব্য করেছেন প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসান।
বৃহস্পতিবার সকালে রংপুর জেলা আদালতে বিচারপ্রার্থী ও সাক্ষীদের বিশ্রামাগার ন্যায়কুঞ্জ শেডের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
প্রধান বিচারপতি বলেন, “ন্যায়কুঞ্জ বিচারপ্রার্থী ও সাক্ষীদের নিরাপদ আশ্রয়স্থল। বিচারপ্রার্থী মানুষ আদালতে এসে বিশ্রামের জায়গা না পেয়ে কষ্টের শিকার হন। সেই কষ্ট লাঘবে ন্যায়কুঞ্জ তৈরি করা হয়েছে। এখানে বসে বিচারপ্রার্থীরা বিশ্রাম নিতে পারবেন।
“ন্যায়বিচার প্রাপ্তির প্রথম কাজটি করেন বিচারক। কিন্তু বিচারকাজ চলার সময় বিচারপ্রার্থীকে যদি ডেকে পাওয়া না যায় তাহলে বিচারকাজ শেষ করতে বিলম্ব হয়। সেজন্য বিচারপ্রার্থীরা যদি একটু আরামে, ভালোভাবে অবস্থান করতে পারেন তাই আজকের এই ন্যায়কুঞ্জ”, বলেন প্রধান বিচারপতি।
মামলার দীর্ঘসূত্রিতা লাঘবে জেলা জজের নেতৃত্বে অন্য বিচারকরা যেন আরও আন্তরিকতার সঙ্গে কাজ করেন সেই আহ্বান জানান ওবায়দুল হাসান।
এ সময় সুপ্রিম কোর্টের হাই কোর্ট বিভাগের বিচারপতি এ কে এম সাইফুর রহমান, রংপুরের জ্যেষ্ঠ জেলা ও দায়রা জজ ফজলে খোদা মোহাম্মদ নাজির, বিভাগীয় শ্রম আদালতের বিচারক জ্যেষ্ঠ জেলা ও দায়রা জজ ফজলুল করিম, মুখ্য বিচারিক হাকিম মো. সুরুজ মিয়া, রংপুর জেলা বারের সভাপতি আব্দুল মালেক, জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মোবাশ্বের হাসান, পুলিশ সুপার ফেরদৌস আলী চৌধুরী উপস্থিত ছিলেন।
উদ্বোধন শেষে প্রধান বিচারপতি বিচারকদের বিভিন্ন এজলাস ঘুরে দেখেন। পরে তিনি আদালত ভবনের হল রুমে বিচারকদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন।
এক হাজার বর্গফুটের ন্যায়কুঞ্জে নারী-পুরুষদের আলাদাভাবে ৭২টি বসার স্থান, মাতৃদুগ্ধ পান কক্ষ, পুরুষ ও নারীদের জন্য আলাদা বাথরুম, খাবার ক্যান্টিন, সুপেয় পানি এবং অগ্নিনির্বাপক ব্যবস্থা রয়েছে।
এ ছাড়া সার্বক্ষণিক নিরাপত্তা ব্যবস্থায় ব্যবহার করা হয়েছে সিসি ক্যামেরা।