মুখ মালিশে উজ্জ্বল ত্বক

মুখের ত্বক মালিশের মাধ্যমে বলিরেখা পড়ার সম্ভাবনা কমানো যায়।

লাইফস্টাইল ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 19 March 2023, 08:24 AM
Updated : 19 March 2023, 08:24 AM

উজ্জ্বল, তারুণ্যময় ত্বকের জন্য প্রয়োজন রক্ত সঞ্চালন বৃদ্ধি। মুখের ত্বক মালিশ করা রক্ত সঞ্চালনে সহায়তা করে।

মুখ মালিশ করা ত্বকে রক্ত সঞ্চালন বাড়ায় এবং মানসিক চাপ ও ক্লান্তিভাব কমিয়ে আরাম দেয়।

ভারতের অক্সিগ্লো কস্মেটিক’য়ের পরিচালক রাচিত গুপ্তা টাইমসঅবইন্ডিয়া ডটকম’য়ে প্রকাশিত প্রতিবেদনে বলেন, “ফেইস মাসাজ’ বা মুখ মালিশ করা ত্বকে কোলাজেনের উৎপাদন বাড়িয়ে উজ্জ্বল ও মসৃণ করতে সহায়তা করে। ত্বকের সূক্ষ্ম রেখা কমায়। ভালো ফলাফলের জন্য সপ্তাহে দুতিনবার মালিশ করা প্রয়োজন।”

তিনি আরও বলেন, দেহের অন্যান্য অংশের ত্বকের তুলনায় মুখের ত্বক অনেক বেশি নাজুক। তাই এর জন্য বাড়তি যত্ন ও সচেতনতার প্রয়োজন। ব্যস্ত জীবনযাত্রা মুখের ত্বককে ঢিলা ও নির্জীব করে প্রাকৃতিক উজ্জ্বলতা কেড়ে নেয়।”

ত্বকের বিবর্ণতা, নির্জীবভাব, ব্রণ, দাগ ছোপ, অকালে বলিরেখা ইত্যাদি কমাতে নিয়মিত প্রাকৃতিক জেল দিয়ে ত্বক মালিশ করা উপকারী। জেল নির্বাচনের ক্ষেত্রে ত্বকের সাথে মানানসই ও হালকা উপাদান বেছে নেওয়া ভালো।

নিয়মিত পাঁচ মিনিট মুখ মালিশ করা ত্বকে আমূল পরিবর্তন আনে, জানান তিনি।

পাঁচ মিনিট মালিশ করার ফলাফল

·        রক্ত সঞ্চালন বেড়ে ত্বকের প্রাকৃতিক উজ্জ্বলতা দেখা দেয়।

·        লিম্ফেটিক ফ্লুইডের মাধ্যমে ত্বকের টক্সিন বের হয়ে যায়।

·        নিয়মিত মালিশ করা ত্বকের বলিরেখা ও বয়সের ছাপ কমায়।

·        কোলাজেন উৎপাদনের মাধ্যমে ত্বকের স্থিতিস্থাপকতা বাড়ে এবং ঝুলে পড়াভাব কমে তারুণ্য ফুটে ওঠে।

·        তারুণ্যময় ত্বকের পাশাপাশি মুখ মালিশ করা ব্রণ ও ব্রণের দাগ কমাতেও সহায়তা করে।

·        পেশির চাপ কমানোর পাশাপাশি মানসিক চাপ কমিয়ে মন ভালো রাখতে সহায়তা করে।

মালিশ করার সঠিক উপায়

·        প্রথমে হাত ভালো মতো ধুয়ে নিতে হবে।

·        মুখ ধুয়ে আলতোভাবে মুছে নিতে হবে।

·        প্রাকৃতিক ‘ফেইস মাসাজ জেল’ মুখে মেখে নিতে হবে।

·        লোমকূপ উন্মুক্ত করতে ভাপ দিয়ে নিতে হবে।

·        ত্বকে আলতোভাবে চাপ দিয়ে গোলাকার গতিতে ঘুরিয়ে মালিশ করতে হবে। চাইলে রোলারও ব্যবহার করা যায়।

মনে রাখা দরকার

মালিশ করার সময়ে ত্বকে খুব বেশি চাপ প্রয়োগ করা যাবে না। চোখের চারপাশের ত্বক অনেক বেশি সংবেদনশীল হয়। তাই এখানে মালিশ করার গতি ধীর ও চাপ হালকা হওয়া প্রয়োজন।

মালিশ সবসময় নিচ থেকে ওপরের দিকে করতে হবে। একইভাবে কপাল থেকে গলা পর্যন্ত মালিশ করে নিতে হবে।

মালিশ করার জন্য অ্যালোভেরা জেল, অন্য কোনো ভেষজ, পুদিনা বা গোলাপের প্রাকৃতিক জেল বাছাই করা যেতে পারে। জেল ব্যবহার ত্বকে তৈলাক্ততা না এনেও আর্দ্রভাব বজায় রাখতে সহায়তা করে। জেল শুষ্ক, তৈলাক্ত ও মিশ্র সব ধরনের ত্বকের জন্যই উপযোগী।

জেল ব্যবহার ত্বকে আরামদায়ক অনুভূতি দেয়। এতে থাকা উপাদান ত্বকে সজীবতা ফুটিয়ে তোলে।

আরও পড়ুন-

Also Read: মেরুদণ্ডের রোগের লক্ষণ

Also Read: মুখ জুড়ে উজ্জ্বল আভা