উপহার দিতে বা নিজের জন্য- পাদুকা কেনার আগে মাথায় রাখুন কিছু বিষয়
Published : 31 Mar 2024, 05:59 PM
উপহার হিসেবে অন্যকে জুতা কিনে দেওয়াটা বেশ কঠিন ব্যাপার। কারণ ডিজাইন পছন্দের চাইতেও পায়ের সঠিক মাপ বুঝে জুতা কিনতে হয়।
তাই সম্ভব হলে যাকে উপহার দিতে যাচ্ছেন তাকে সঙ্গে নিয়েই বাজারে যাওয়া ভালো। তবে সেটা সম্ভব না হলে জুতা কেনার কিছু সাধারণ নিয়ম খেয়াল রাখার পরামর্শ দেওয়া হয় ইউএই ভিত্তিক পাদুকা ব্র্যান্ড ক্লার্ক’য়ের ওয়েবসাইটে।
কোন মাপের জুতা পরে সেটা জানা।
চওড়া নাকি সরু ধরনের জুতা পরে সেটা জানা।
কোন ধরনের স্টাইল পছন্দ? সমসাময়িক নাকি ঐতিহ্যবাহী।
কোন ধরনের উপাদানের জুতা পরতে পছন্দ করেন।
এসব বিষয় ছাড়াও নারী, পুরুষ ও শিশুদের জুতা উপহার দেওয়ার ক্ষেত্রে আরও কিছু বিষয় আলাদা করে মাথায় রাখতে হয়।
নারীদের জন্য: নারীদের জুতার বাহারি নকশার যেমন কমতি নেই তেমনি রয়েছে নানান ধরনের হিলের পাদুকা। তবে কোনো নারীকে জুতা উপহার দেওয়ার ক্ষেত্রে উঁচু হিলের জুতা না কেনাই হবে বুদ্ধিমানের কাজ। কারণ এই ধরনের জুতা অনুষ্ঠান বা পার্টি ছাড়া পরা হয় না।
তাই লোফার্স, স্লিপার্স, মাঝারি বা হালকা হিলের জুতা বেছে নিতে হবে। এছাড়া উপরের বিষয়গুলো মাথায় রাখতে হবেই।
পুরুষদের জন্য: ছেলেদের জন্য জুতা কেনা তুলনামূলক সহজ। কারণ তারা নির্দিষ্ট কয়েকটি ডিজাইনের মধ্যেই সীমাবদ্ধ থাকেন। এছাড়া পোশাক, কী কাজ করেন সেসব বিষয় মাথায় রেখে জুতা বাছাই করতে হয়।
যারা বেশি দৌড়াদৌড়ির কাজ করেন তাদের স্নিকার্স বা হাঁটার জন্য উপযোগী জুতা দেওয়া যেতে পারে। আর যারা অফিসে বসে কাজ করেন বেশি তাদের জন্য চামড়ার জুতা হতে পারে মনের মতো উপহার।
শিশুদের জন্য: নারীদের মতো শিশুদের জুতার নকশারও কোনো সীমাবদ্ধতা নেই। তাদের জন্য কেনা যেতে পারে চলচ্চিত্রের বিভিন্ন জনপ্রিয় চরিত্রের আদলে তৈরি জুতা। যেমন- মেয়ে শিশুর জন্য ‘সিন্ডারেলা শু’, ছেলে শিশুর জন্য ‘স্পাইডার-ম্যান শু’।
এছাড়া যারা একটু বড়, স্কুলে যাওয়া শুরু করেছে তাদের জন্য- স্কুল ও বেড়ানো দুই জায়গাতেই যাওয়া যায় এরকম ধরনের জুতা উপহার দেওয়া যেতে পারে।
শিশুদের ক্ষেত্রে সবসময় বয়স, বেড়ে ওঠার সময় ইত্যাদি বিষয় মাথায় রাখতে হয়। কারণ তারা দ্রুত বড় হয়। এক্ষেত্রে এক সাইজ বড় জুতাও উপহার হিসেবে কেনা যেতে পারে, যাতে পরের বছরেও পরতে পারে।
আর ঈদ উপলক্ষ্যে দেশি বিদেশি বিভিন্ন ব্র্যান্ডের জুতা তৈরির প্রতিষ্ঠানদের থাকে নানান আয়োজন। যেমন ধরা যাক আন্তর্জাতিক ব্র্যান্ড বাটা’র কথা।উপহার হিসেবে কাউকে পাদুকা দিতে বা নিজের জন্য- তাদের ঈদ কালেকশন ২০২৪- থেকে হাজারেরও বেশি নতুন ডিজাইনের জুতা বেছে নেওয়া সম্ভব হবে। আধুনিক স্টাইলিশ জুতা ছাড়াও বাটা’র রয়েছে ‘ক্লাসিক’ ফ্যাশনের জুতা যা ট্রেন্ডের বাইরে দাঁড়িয়ে থাকাদের জন্য বরাবরই আদর্শ। আর পরিবর্তশীল ফ্যাশন দুনিয়ার সাথে তাল মিলিয়ে পরিবারের বয়োজ্যেষ্ঠদের কথা মনে রেখে বাটা নিয়ে এসেছে আরামদায় অনন্য সব ডিজাইনের পাদুকা। ঈদে ভিড় এড়িয়ে কেনাকাটার সুবিধার জন্য বাটা’র অনলাইন স্টোরের সুবিধা গ্রহণ করতে পারেন Batabd.com ভিজিট করেই।
এছাড়া নিজের জন্য জুতা কেনার আগে বেশ কিছু বিষয় মাথায় রাখা উচিত
পায়ের জুতার মাপ সবসময়ই সমান থাকে, অনেকের মধ্যেই এমন বদ্ধমূল ধারণা দেখা যায়। আর এ ধারণা থেকে অনেকেই ভুল মাপের জুতা কেনেন।
বয়সের সঙ্গে সঙ্গে এবং ওজন পরিবর্তনের কারণে মেয়েদের পায়ের মাপেও পরিবর্তন আসে।
ব্রিটিশ ট্যাবলয়েড ফিমেলফার্স্ট ডটকম-এর এক প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, বেশ কিছু ভুল ধারণার কারণে মেয়েরা হিলজুতা কিনতে ভুল করে থাকেন। বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই ‘আনফিট’ হিল কিনেন।
প্রতিবেদনে হিল বা জুতা কেনার আগে তিনটি বিষয় খেয়াল রাখার বিষয়ে জোর দেওয়া হয়।
- বেশিরভাগ মেয়েই মনে করেন, নতুন জুতা একটু টাইট কেনাই ভালো। কারণ জুতা পুরান হলে কিছুটা ঢিলা হয়ে যাবে। আর এ ধারণা থেকে অনেকেই কিছুটা টাইট জুতা কিনে থাকেন। দেখা গেছে, বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই সেই জুতাজোড়া অতটা আরামদায়ক হয় না। তাই সবসময় সঠিক পায়ের মাপে জুতা কিনতে হয়।
তাছাড়া সাধারণত বেশিরভাগেরই একটি পা কিছুটা বড় থাকে। তাই জুতা কেনার সময়, যে পা’টি বড় সেটার মাপে জুতা কিনতে হয়।
- কখনোই সকালে জুতা বা হিলজুতা কেনা উচিত নয়। কারণ দিন শেষে পা কিছুটা ফুলে যায়। তাই দিন শেষে বা বিকালে জুতা কেনা হলে, সঠিক মাপের জুতা কেনা যায়।
অনেকেই আছেন যারা হিল ছাড়া হাঁটতেই পারেন না। সারাদিন এবং সব জায়গাতেই তারা হিল পরতেই বেশি পছন্দ করেন। তবে ফ্যাশনেবল হলেও হিল পরা একেবারেই ভালো নয়। খুব অল্প সময়ের জন্য হলেও হিল পায়ের এবং মেরুদণ্ডের অনেক ক্ষতি করে থাকে।
তাই সারাদিনের জন্য কাজে বের হলে হিল পরলেও সঙ্গে এক জোড়া ফ্ল্যাট জুতা রাখা ভালো। এতে কাজের সময় পায়ের হিল জোড়া খুলে ফ্ল্যাট জুতা পরে নিতে পারবেন।
ভালো চামড়ার জুতা চেনার উপায়
ভালোমানের পাদুকা কিনতে পারলে এবং ঠিক মতো যত্ন নিলে সেটা অনেকদিন টেকসই হয়। তাই জুতা কেনার সময় চামড়ার ‘টেক্সচার’, তলার ভেতরের অংশ এবং সেলাইয়ের মান দেখে নিন।
ভারতীয় অনলাইন বিপণিবিতান আলবের্তো তোরেসি’র পরিচালক ইশান সাচদেভা এবং অনলাইন প্রতিষ্ঠান ভোগানাও ডটকম’য়ের পরিচালক তাবি ভাটিয়া জানিয়েছেন ভালো চামড়ার জুতা চেনার পন্থা।
* আসল চামড়া চেনার সব চাইতে সহজ পদ্ধতি হল স্পর্শ। জুতায় চাপ দিলেই চামড়ায় পড়বে ভাঁজ তারপর সেটা উঠে আসবে। সেই সঙ্গে আসল চামড়ায় মিলবে প্রাকৃতিক এবং চকচকে অনুভূতি।
* আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ এবং লক্ষণীয় বিষয় হল জুতার সঠিক মাপ। অভিজ্ঞ কারিগরের হাতের তৈরি একজোড়া জুতা শুধু মাপেই সঠিক হবে না, বরং পায়ের একটি অংশে পরিণত হবে। আর মাপে সঠিক হলে জুতা টেকসই হওয়ার সম্ভাবনা বাড়বে। কারণ জুতায় ভাঁজ পড়া এবং আকৃতি নষ্ট হওয়ার আশঙ্কা থাকবে না।
* সুকতলা এবং সেলাই জুতার স্থায়িত্ব বাড়ানোর ক্ষেত্রে বেশি গুরুত্বপূর্ণ। ভালোমানের একজোড়া জুতার ভেতরে একটি করে বাড়তি শুকতলা থাকবে। নরম এই শুকতলার কারণে জুতার ভেতরে পায়ের পাতা স্থায়ীভাবে বসবে, ফলে পরে বেশি আরাম পাবেন।
শুকতলায় আসল চামড়া ব্যবহার করলে পায়ে দুর্গন্ধ হওয়ার আশঙ্কাও কমে।
* ভালো জুতা চেনার আরেকটি দিক হল এর গন্ধ। আসল চামড়ার জুতায় বিশেষ একটি গন্ধ থাকবে যা শুধু চামড়া থেকেই আসা সম্ভব। আর চামড়ার জুতায় কোনো রাসায়নিক দ্রব্য কিংবা প্লাস্টিকের গন্ধ থাকবে না।
* জুতা কেনার আগে এর তলা ভালোভাবে পরীক্ষা করা জরুরি। রাবার, চামড়া ইত্যাদি বিভিন্ন উপকরণে তৈরি হয় জুতার তলা বা ‘সোল’। দীর্ঘসময় হাঁটার উপযোগী করতে বিশেষ ধরনের হালকা তলার জুতাও রয়েছে। ভালো জুতার তলা উপরের অংশের সঙ্গে সেলাই করা থাকবে, আঠা দিয়ে জোড়া দেওয়া নয়। আর আসল চামড়ার জুতার তলা যে কোনো সময় পরিবর্তন করা সম্ভব।
* জুতার কেনার সময় ডিজাইনের নান্দনিকতা এবং রুচিশীলতার দিকে নজর রাখতে হবে। হাতে তৈরি এবং রং করা জুতা কেনার ক্ষেত্রে রং এবং সেলাইয়ের গুণগত মান দেখে নিতে হবে। সেলাই হতে হবে পরিচ্ছন্ন এবং যতটা সম্ভব চোখের আড়ালে থাকবে।
* জুতার উপর কোনো কৃত্রিম বা প্লাস্টিকের আবরণ আছে কিনা তা দেখতে হবে। সাধারণত জুতায় বাড়তি দীপ্তি আনতে এই আবরণ দেওয়া হয়। যা পুরানো হয়ে গেলে চকচকে-ভাব হারায় এবং অনেকসময় উঠে আসে। জুতা স্পর্শ করেই এই আবরণ সনাক্ত করা সম্ভব।
অনলাইন থেকে জুতা কেনার আগে
গরম বা বৃষ্টি মাথায় নিয়ে এখন জামা, জুতা বা অনুষঙ্গ কিনতে বিভিন্ন শপিং সেন্টারে ঘুরে বেড়াতে হয় না। ঘরে বসেই অন্যান্য পণ্যের মতো জুতা কেনা যায়, তবে সেক্ষেত্রে কিছু বিষয় খেয়াল রাখতে হবে।
প্রসাধনী, গয়না বা পোশাক কেনার তুলনায় অনলাইনে জুতা অর্ডার করা কিছুটা ঝামেলার। কারণ এক্ষেত্রে পায়ের মাপের একটা বিষয় থাকে। সঠিক মাপ মতো জুতা অর্ডার করা না গেলে শেষে ঝামেলাই বাড়বে।
তাই অনলাইনে জুতা কেনার ক্ষেত্রে লাইফস্টাইলবিষয়ক একটি ওয়েবসাইটের প্রতিবেদনে কিছু পরামর্শ দেন ভারতীয় ব্র্যান্ড ‘ওসিডি’র সহকারী প্রতিষ্ঠাতা নেহা কুমথেকার।
অনলাইনে সঠিক মাপ বাছাই: দোকানে গিয়ে পায়ের মাপ মতো জুতা কেনার সুবিধা অনলাইনে নেই। নতুন কোনো ব্র্যান্ডের জুতা অনলাইনে প্রথমবার কিনতে গেলে ঝামেলায় পরতে হতে পারে। কেনার আগে অবশ্যই তাদের পায়ের মাপ সম্পর্কিত নির্দেশনা ভালোভাবে পড়ে নিন। প্রতিটি ব্র্যান্ডের পায়ের মাপ নেওয়ার নির্দিষ্ট পদ্ধতি উল্লেখ করা থাকে, সেই দিকগুলো অনুসরণ করে তবেই অর্ডার করুন।
নিয়মাবলী পড়ুন: প্রতিটি ব্র্যান্ডের আলাদা নিয়মকানুন থাকে, সেগুলো আগেই ভালোভাবে পড়ে নিন। পছন্দ না হলে বা মাপে না মিললে তা ফিরিয়ে দেওয়ার বা বদলে নেওয়ার সুবিধা আছে কিনা, সেক্ষেত্রে বিশেষ কোনো চার্জ বা ফি দিতে হবে কিনা এই বিষয়গুলো আগেই জেনে নিতে হবে।
পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই পরে দেখুন: জুতা হাতে পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই পায়ে পরে দেখুন। কারণ বেশি দেরি করলে মাপ ঠিক না হলে বদলে নেওয়ার সুযোগ হাতছাড়া হয়ে যেতে পারে। তাই মাপ ঠিক আছে কিনা তা হাতে পেয়েই যাচাই করুন। জুতার যেকোনো ধরনের ক্ষতি এড়াতে ঘরের মধ্যে প্রথমে পরে দেখুন। এতে জুতার সোলে ময়লা লেগে যাওয়ার ঝুঁকি থাকবে না এবং তা বদলে নিতেও কোনো সমস্যা হবে না।
পণ্য সম্পর্কে জেনে নিন: যে জুতাটি পছন্দ করেছেন সেটি অর্ডার করার আগে এর সম্পর্কে জেনে নিন। জুতা কি দিয়ে তৈরি, হিল কতখানি এই বিষয়গুলো মূলত নিচে একটি আলাদা অংশে উল্লেখ করা থাকে। তাই অর্ডার করার আগেই এই বিষয়গুলো খেয়াল করুন।
নিজের পছন্দ: সবারই নিজের জুতা বাছাইয়ের ক্ষেত্রে আলাদা পছন্দ থাকে। আবার কেউ কেউ বিশেষ ধরনের জুতা পরতে স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করেন। তাই অনলাইনে জুতা অর্ডারের আগে ভালোভাবে বুঝে নিন যেটি অর্ডার করছেন সেই জুতাটি আসলেও আপনার জন্য উপযুক্ত কিনা।
নতুন ব্র্যান্ডের ক্ষেত্রে: প্রথমবারের মতো কোনো ব্র্যান্ড অর্ডার করার ক্ষেত্রে এক জোড়া জুতাই অর্ডার করুন। এতে জুতার মান, কতটা আরামদায়ক, আকার ইত্যাদি বিষয় সম্পর্কে ধারণা পাওয়া যাবে। এক সঙ্গে বেশি জুতা অর্ডার করার পর যদি মনে হয় তা মনমতো হয়নি তখন আফসোস করতে হবে। তাই একজোড়া জুতা কিনেই শুরুটা করুন।
মূল্য পরিশোধের পদ্ধতি: কেনার আগে জেনে নিন কীভাবে মূল্য পরিশোধ করতে হবে। যদি অনলাইনে টাকা পরিশোধের প্রয়োজন হয় সেক্ষেত্রে কার্ড ব্যবহারের প্রক্রিয়াটি কতটা নিরাপদ সে সম্পর্কেও নিশ্চিত হন। এছাড়া অগ্রীম টাকা পরিশোধের ক্ষেত্রে তাদের পুরো পদ্ধতি কতটুকু নিরাপদ সে বিষয়গুলোও জেনে নিন।
অন্যদের মতামত জানার চেষ্টা করুন: প্রতিটি অনলাইন সাইটেই অর্ডার করার আগে তাদের রিভিউ এবং রেটিং দেখে নিন। কারণ এ থেকে তাদের পণ্যের মান সম্পর্কে ধারণা পাওয়া যাবে। অনলাইন রিভিউয়ের পাশাপাশি যারা অনলাইনে কেনাকাটা করেন তাদের সঙ্গে কথা বলেও পরামর্শ নিয়ে সিদ্ধান্ত নিন।
অনলাইনে পণ্য অর্ডার করার ক্ষেত্রে এক ধরনের অনিশ্চয়তা কাজ করে। অনেক ক্ষেত্রেই ছবির সঙ্গে মূল পণ্যের মিল থাকে না বা মান মনমতো হয় না। তাই সব বিষয় মাথায় রেখে তবেই অর্ডার করতে হবে। আর আগেই মান সম্পর্কে ধারণা নিয়ে তবেই সিদ্ধান্ত নিতে হবে।
জুতা ব্যবহারের ৬টি ভুল
পা ও কাজের ধরন বুঝে জুতা নির্বাচন করা উচিত। এর ফলে কাজ খুব সহজে ও আরামে সম্পন্ন করা যায়।
বিশ্বনন্দিত অভিনেত্রী মেরিলিন মনর’র বিখ্যাত উক্তি, “একজন মেয়েকে ঠিক জুতা দিলে, সে বিশ্ব জয় করতে পারবে।”
তিনি হয়ত এখানে দেখতে সুন্দর জুতার কথা বলেননি বরং হতে পারে পায়ের জন্য উপযোগী জুতার কথা বলেছেন।
মুম্বাইয়ের প্রসিদ্ধ শরীরচর্চা প্রশিক্ষক মুস্তাফা আহমেদ বলেন, “ব্যায়াম করার জন্য সব চেয়ে গুরুত্বপূর্ণ অংশ হচ্ছে জুতা। কেননা সারা শরীরের ভর পা তথা জুতার উপরে পড়ে।”
স্পোর্টস ও মেডিসিনের ভারতীয় বিশেষজ্ঞ ডা. পুষ্পেন্দর বাজাজের মতে, “প্রতিটি খেলা বা ব্যায়ামের ধরন ভিন্ন। তাই প্রতিটি কাজের জন্যই ভিন্ন ধরনের জুতা তৈরি করা হয়।”
ডা. বাজাজ বলেন, “ভালো ব্রান্ডের জুতা ব্যবহার করা উচিত। কেননা এরা নানা গবেষণার মাধ্যমে জুতা তৈরি করে থাকে। তবে যত ভালো ব্র্যান্ডের জুতাই ব্যবহার করা হোক না কেনো তা এক বছরের বেশি টেকেনা। যদি আপনি সপ্তাহে পাঁচবার দৌড়ান তবে প্রতি ছয় থেকে নয় মাস পর অথবা ৫০০ মাইল দৌড়ানোর পর জুতা পরিবর্তন করা উচিত। এবং যারা হাঁটেন তাদের এক বছরের বেশি জুতা ব্যবহার করা ঠিক না।”
শুধু হাঁটার জন্য নয় সারাদিন পায়ে আরামদায়ক অনুভূতি দিতে বাটা’র স্নিকার্স বেছে নেওয়া যেতে পারে। নারী ও পুরুষদের জন্য তাদের রয়েছে বাহারি ডিজাইনের হাঁটার জুতা।
পুরোনো জুতা পরে নতুন ব্যায়াম শুরু করা: নতুনভাবে ব্যায়াম শুরু করার ক্ষেত্রে পুরানো জুতা ব্যবহার না করা ভালো। অনেক সময় এটি আগের মতো ভালো কাজে নাও আসতে পারে।
সব জায়গায় একই জুতা না পরা: ব্যায়াম করার জুতা কেবল মাত্র ব্যায়াম করার সময়ই পরা উচিত। সব জায়গায় ব্যায়াম করার জুতা পরার ফলে ব্যায়ামের উপযোগী জুতাটি খুব তাড়াতাড়ি নষ্ট হয়ে যায়।
সব কাজের জন্যই আলাদা জুতা ব্যবহার: প্রত্যেকটি জুতার নির্দিষ্ট কাজ আছে। জিমের জন্য উপযোগী জুতা যে অন্য ক্ষেত্রের জন্যও সমান উপযোগী হবে তা ঠিক নয়। তাই যে কোনো কাজের গুরুত্ব বা তীব্রতা বুঝে সেই অনুযায়ী জুতা নির্বাচন করা উচিত।
যখন তখন জুতা পরিবর্তন না করা: ব্যায়াম করার জুতা সাধারণত এক বছর টেকে। বিশেষজ্ঞদের মতে, রানারদের (দৌড়বিদ) প্রতি ৫০০ মাইল পর জুতা পরিবর্তন করতে হয়। আপনার জুতা সপ্তাহে পাঁচ দিন ব্যায়ামের জন্য ব্যবহার করে থাকেন, তবে নিশ্চিন্তে তা এক বছর ব্যবহার করতে পারবেন।
একই মাপের জুতা পরা: প্রতি বছরেই জুতার মাপ পর্যবেক্ষণ করা উচিত। বলা হয়ে থাকে যে, বয়স বাড়ার সঙ্গে পায়ের মাপও বাড়তে থাকে।
ডিপার্টমেন্ট স্টোর থেকে জুতা কেনা: দর কষাকষির কথা বিবেচনা করে বহু-ব্র্যান্ড ভিত্তিক দোকান থেকে জুতা কেনা ঠিক নয়। খেলার সামগ্রী বিক্রি করে বা একটি নির্দিষ্ট ব্র্যান্ডের দোকান থেকে বিশেষজ্ঞের পরামর্শ অনুযায়ী জুতা কেনা উচিত। পা পর্যবেক্ষণ করে, এর জন্য কোন ধরনের জুতা ঠিক হবে তা নির্বাচন করা প্রয়োজন।