ক্ষুদমন্দা থেকে শারীরিক ও মানসিক সমস্যা দেখা দিতে পারে।
Published : 10 Jul 2023, 07:10 PM
পৃথিবীর অধিকাংশ মানুষই বাড়তি ওজন কমাতে ব্যস্ত। তবে এমন অনেকেই আছেন যাদের ক্ষুধা বা খাবারের চাহিদা কম। ফলে তাদের ওজনও স্বাভাবিকভাবেই কম থাকে।
ক্ষুধা মন্দার ফলে খাবারের ইচ্ছা একেবারেই কমে যায় যা মানসিক ও শারীরিক অসুস্থতার কারণ হতে পারে। ওজন ও ক্ষুধা কমের ফলে দেহে পুষ্টির ঘাটতি দেখা দেয়।
এই বিষয়ে হেল্খ শটস ডটকমে প্রকাশিত প্রতিবেদনে ভারতের ‘উজালা সিগ্নাস গ্রুপ অব হসপিটাল’য়ের প্রতিষ্টাতা ডা. সুচিন বাজাজ বলেন, “নিয়মিত পুষ্টির ঘাটতি ফলে নানান জটিলতা দেখা দেয়। এক্ষেত্রে পুষ্টি বিশেষজ্ঞের পরামর্শ গ্রহণ করা উপকারী।”
ওজন বাড়াতে প্রাকৃতিকভাবে ক্ষুধা বাড়ানোর উপায় সম্পর্কেও জানান তিনি।
তবে খাদ্যাভ্যাস ও জীবনযাত্রায় উল্ল্যেখযোগ্য পরিবর্তন আনার আগে বিশেষজ্ঞের পরামর্শ গ্রহণ করা প্রয়োজন। এখানে সাধারণ কয়েকটি কৌশল সম্পর্কে জানানো হল।
অল্প ও ঘন ঘন খাওয়া
বাজাজের মতে, “দিনে তিনবেলা ভারী খাবারের চেয়ে বরং অল্প করে ঘন ঘন খাবার খাওয়া ভালো। এতে ভারীভাব কমে এবং সহজেই ক্যালরির মাত্রা বাড়ানো যায়।”
অনেকেই মনে করে থাকেন, তিন বেলা ভারী খাবার খাওয়ার ফলে ওজন বাড়াতে সহায়তা করে। তবে যারা ক্ষুধা মন্দায় ভুগছেন ভারী খাবারের ফলে তাদের ক্ষুধার অনুভূতি আরও কমে যায়, ফোলাভাব দেখা দেয়।
তাই একবারে বেশি না খেয়ে অল্প পরিমাণে খাওয়া উপকারী।
পুষ্টিকর খাবার খাওয়া
পুষ্টিকর ও উচ্চ ক্যালরি সমৃদ্ধ খাবার যেমন- বাদাম, বীজ, বাদামের মাখন, জলপাইয়ের তেল, শস্য, চর্বিহীন প্রোটিন, দুধের তৈরি খাবার এবং স্বাস্থ্যকর চর্বি খাওয়া উপকারী
প্রোটিন সমৃদ্ধ খাবার যোগ করা
পেশি গঠন ও পুনর্গঠনের জন্য প্রোটিন উপকারী। প্রোটিনের ভালো উৎস যেমন- চর্বিহীন মাংস, পোল্ট্রি, মাছ, ডিম, ডাল, দুধের তৈরি খাবার এবং ভেষজ প্রোটিন যেমন- টফু ও টেম্ফ ইত্যাদি খাওয়ার পরামর্শ দেন তিনি।
আর্দ্র থাকা
সারাদিন পর্যাপ্ত পানি পান হজমে সহায়তা করে। আর্দ্র থাকা সার্বিক স্বাস্থ্য ও ক্ষুধা-ভাবের ওপর প্রভাব রাখে।
নিয়মিত শরীরচর্চা করা
বাজারের মতে, “শারীরিকভাবে নিজেকে ব্যস্ত রাখা ক্ষুধাভাব বাড়ায়। পেশি বাড়াতে শক্তিবর্ধক ব্যায়াম শুরু করা প্রয়োজন।”
ব্যায়াম হজম কার্যক্রম বাড়ায় ফলে ক্ষুধা বাড়ে। এছাড়াও ব্যায়ামের ফলে ক্লান্তি দেখা দেয়। তাই শক্তি যোগাতে খাবারের চাহিদা বাড়ে।
খাবার গ্রহণের পরিমাণ লিপিবদ্ধ করা
খাদ্য-ডায়েরি মেনে চলা উচিত। এর ফলে ক্যালরি গ্রহণের মাত্রা সম্পর্কে নিশ্চিত হওয়া যায় এবং প্রয়োজন অনুযায়ী সমন্বয় করা যায়।
আরও পড়ুন