Published : 30 Apr 2025, 02:41 PM
ভারোত্তলন, ডাম্বেলস ব্যবহার কিংবা রেজিসট্যান্স ব্যান্ড দিয়ে ব্যায়ামের ফলে শক্তি বাড়ে আর পেশি সুগঠিত হয়। এই জানা কথার বাইরে আরেকটি উপকার মেলে এই ধরনের ব্যায়াম থেকে।
আর সেটা হল হাড়ের শক্তি বৃদ্ধি পায়। আর শক্তিশালী হাড় থাকলে বয়সের সঙ্গে হাড় ভঙ্গুর রোগ হওয়ার সম্ভাবনাও কমে।
এই তথ্য জানিয়ে ‘হার্ভার্ড হেল্থ পাবলিশি’য়ে প্রকাশিত প্রতিবেদনে আরও জানানো হয়, হাড়ভঙ্গুর রোগের মধ্যে সবচেয়ে মারাত্মক হল পশ্চাৎদেশের হাড়ের ফাঁটল। প্রায় ১০ জনের মধ্যে ছয় জনের এই রোগে ভুগতে দেখা যায়। আর এটা সম্পূর্ণভাবে নিরাময় যোগ্য নয়।
বয়সের পরিবর্তন, অলস জীবন এবং পর্যাপ্ত পুষ্টির অভাবে হাড়ের ক্ষয় বাড়ে। আর বয়স চল্লিশের পর থেকে প্রতি বছর এক শতাংশ করে হাড়ের ক্ষয় হয়। ফলে বয়সের সঙ্গে হাড় ভাঙার সম্ভাবনা বাড়ে। আর এটা বোঝার সহজ উপায় হল- জুতার ফিতা বাঁধতে গিয়ে নিচু হলে হাড়ে চাপ অনুভব করা।
তবে ভালো খবর হল, গবেষণায় দেখা গেছে শক্তিবর্ধক ব্যায়াম হাড়ক্ষয় কমায়, এমনকি হাড় গঠনেও ভূমিকা রাখে। যা কিনা বয়সের সঙ্গে হাড়ের সমস্যা সমাধানে কার্যকর প্রভাব রাখে।
দেখা গেছে অ্যারোবিক ব্যায়াম, যেমন- হাঁটা, দৌড় বা সাঁতার অর্থাৎ যেসব শরীরচর্চায় হৃদস্পন্দন দ্রুত হয় সেসবের চাইতে শক্তিবর্ধক ব্যায়ামে হাড়ের উপকার বেশি।
শক্তিবর্ধক ব্যায়ামের কটিদেশ, মেরুদণ্ড ও কব্জির হাড়ের ওপর জোর দেওয়া হয়। আর এই অংশের হাড়গুলোই সবচেয়ে আগে ভঙ্গুর রোগে আক্রান্ত হতে পারে।
এজন্য অভিজ্ঞ ব্যায়াম প্রশিক্ষকের পরামর্শে সময় থাকতেই শক্তিবর্ধক ব্যায়াম বা ‘স্ট্রেন্থ টেইনিং’ করার পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা।
আরও পড়ুন
যে সময় ব্যায়াম করলে চর্বি কমবে দ্রুত