দাঁত মাজা উপকারী। বেশি মাজলে আবার ক্ষতি হওয়ার সম্ভাবনাও থাকে।
Published : 11 Feb 2025, 06:54 PM
ভালো থাকতে স্বাস্থ্যকর অভ্যাস গড়া উচিত। তবে যে কোনো কিছু অতিরিক্ত করাও আবার ভালো ফল বয়ে আনে না।
স্বাস্থ্যকর অভ্যাসও এর ব্যতিক্রম নয়।
যুক্তরাষ্ট্রের স্বাস্থ্য-ব্যবস্থাপনা বিষয়ক প্রতিষ্ঠান ‘হেনরি ফোর্ড হেল্থ’য়ের পুষ্টিবিদ কেলি নোহল বলেন, “ভালো বিষয় যে সবসময় উপকার বয়ে আনে। তবে বেশি ভালো আবার ভালো না।”
এরকমই কয়েকটি স্বাস্থ্যকর অভ্যাসের উদাহরণ দিয়েছেন তিনি প্রতিষ্ঠানের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত প্রতিবেদনে।
বেশি ভিটামিন গ্রহণ করা
প্রতিদিন ‘মাল্টিভিটামিন’ ওষুধ সেবন করা আদৌ প্রয়োজন আছে কি-না, সেটা নিয়ে বিতর্ক রয়েছে।
এদের মধ্যে শক্তিশালী ভিটামিনগুলো আবার হিতে বিপরীত ঘটাতে পারে।
নোহল বলেন, “দৈনিক চাহিদার চারগুন ভিটামিন সেবন ক্যান্সার সৃষ্টি করতে পারে। কারণ দীর্ঘদিন প্রয়োজনের বেশি ভিটামিন গ্রহণ করলে কোষের স্বাভাবিক বৃদ্ধির ভারসাম্য নষ্ট হয়।”
তাই যারা নিয়মিত ‘মাল্টিভিটামিন’ সেবন করেন তাদের উচিত এমন ওষুধ বেছে নেওয়া যা দৈনিক ভিটামিন চাহিদার বেশি ভিটামিন সরবরাহ না করে।
অতিরিক্ত দাঁত ব্রাশ
দুবেলা ব্রাশ করা উপকারী। তবে কিছু মানুষ আছেন যারা প্রতিবেলা খাওয়ার পর দাঁত ব্রাশ করেন, যা ক্ষতিকর।
প্রয়োজনের বেশি দাঁত ব্রাশ করলে দাঁতের ‘এনামেল’য়ের আস্তর ক্ষয়ে যায়। মাড়ি ভেতরের দিকে ঢুকে যেতে পারে।
দুই কারণেই দেখা দিতে পারে দাঁত ও মাড়ির রোগ।
দাঁত মাজার ক্ষেত্রে সবসময় নরম ‘টুথব্রাশ’ ব্যবহার করা উচিত। আলতো চাপে ছোট ঘষায় দাঁত ব্রাশ করতে হবে।
‘টুথব্রাশ’ ছড়িয়ে যেতে থাকলে বুঝতে হবে বেশি চেপে দাঁত ব্রাশ করা হচ্ছে।
অতিরিক্ত ভোজ্য আঁশ গ্রহণ
খুব কম মানুষই দৈনিক ভোজ্য আঁশের চাহিদা পুরণ করতে পারেন। তবে এখানেও কিছু স্বাস্থ্য সচেতন মানুষ আছেন যারা অতিরিক্ত ভোজ্য আঁশ গ্রহণ করে উপকারের বদলে স্বাস্থ্য ঝুঁকি ডেকে আনেন।
অতিরিক্ত ভোজ্য আঁশ পেটে গ্যাস ও ফোলাভাব তৈরি করে। তাই আঁশ গ্রহণের মাত্রা বাড়ানোর ক্ষেত্রে ধৈর্য্য রাখতে হবে। অল্প অল্প করে খাদ্যাভ্যাসে আঁশের পরিমাণ বাড়াতে হবে।
বেশি ঘুমানো
ব্যস্ত এই সময়ে হয়ত অনেকেই পর্যাপ্ত ঘুমানোর সময় পান না। তবে কিছু মানুষ ঘুমের ঘাটতি পূরণ তো করছেনই, বরং অতিরিক্ত ঘুমিয়ে ফেলছেন।
কর্মব্যস্ত মানুষগুলোর এদের প্রতি হিংসা হলেও প্রকৃতপক্ষে বেশি ঘুমানো মানুষগুলো বিপদ ডেকে আনছেন নিজেদের ক্ষেত্রে।
আবার ছুটির দিনে বেশি ঘুমিয়ে পুরো সপ্তাহের ঘুমের ঘাটতি মেটানোর চিন্তাটা স্বাস্থ্যকর নাও হতে পারে।
নোহল বলেন, “যারা দিনে নয় ঘণ্টার বেশি ঘুমান, তাদের ‘আলৎঝাইমার’স’ রোগে আক্রান্ত হওয়া আশঙ্কা বেড়ে যায় দ্বিগুন।
অতিরিক্ত ব্যায়াম করা
শারীরিক পরিশ্রমের অভাবে ওজন বাড়ে। আক্রান্ত হয় নানান রোগে।
আবার সুঠাম, পেশিবহুল দেহ পাওয়ার লক্ষ্যে অনেকেই বাড়াবাড়ি করে ফেলেন।
প্রতিবার শরীরচর্চায় শরীরের ওপর যে ধকল যায় সেটা মেরামত করার জন্য শরীরকে সময় দেওয়া অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
তবে শরীরচর্চার গুরুত্ব নিয়ে মানুষ যতটা সচেতন, শরীরের ক্ষয়পূরণ নিয়ে ততটা সচেতনতা নেই বললেই চলে।
তাই লম্বা সময় শরীরচর্চা করার পর পর্যাপ্ত বিশ্রাম নিশ্চিত করতে হবে।
অন্যথায় আহত হওয়ার সম্ভাবনা বাড়ে। উপকারের বদলে ঘটতে পারে স্বাস্থ্যহানি।
প্রতি সপ্তাহে দুয়েক দিন ব্যায়াম থেকে বিরত থাকতে হবে। প্রতিদিন ব্যায়াম না করে বিশৃঙ্খলভাবে বিরতিও দেওয়া যেতে পারে।
আরও পড়ুন