অতিরিক্ত স্মার্টফোন ব্যবহার থেকে মানসিক সমস্যা

স্মার্টফোন ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে অতিরিক্ত সময় কাটানোর কারণে দেখা দিতে পারে মানসিক চাপ। তা আবার গড়াতে পারে আত্মহত্যার দিকেও।

লাইফস্টাইল ডেস্কআইএএনএস/বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 10 Feb 2020, 12:23 PM
Updated : 10 Feb 2020, 12:23 PM

‘কানাডিয়ান মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশন জার্নাল (সিএমএজে)’ শীর্ষক জার্নালে এক গবেষণায় এই তথ্য জানানো হয়।

কিশোর-কিশোরীদের স্মার্টফোন ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহার কীভাবে নিয়ন্ত্রণ করা যায় সে বিষয়ে এই গবেষণায় দিক নির্দেশনা দিয়েছেন গবেষকরা। যা অনুসরণ করবেন বাবা-মা, শিক্ষকরা। পাশাপাশি ঘুম, পড়াশোনা, কাজ, সামাজিকতা রক্ষা, ব্যক্তিগত সম্পর্ক রক্ষা ইত্যাদি সম্পর্কেও পরামর্শ দিয়েছেন গবেষকরা।

গবেষণার প্রধান, কানাডার ‘টরোন্টো ওয়েস্টার্ন হসপিটাল’য়ের এলিয়া অ্যাবি-জাওডি বলেন, “সম্পর্ক, নিজের যত্ন, ঘুম, পড়াশোনা ইত্যাদির ওপর স্মার্টফোন ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের কুপ্রভাব মোচন করতে চিকিৎসক, শিক্ষক, পরিবারের সদস্য প্রত্যেকেরই একত্রিত হয়ে এগিয়ে আসতে হবে।”

“আজকের কিশোর-কিশোরীরা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছাড়া যেন পৃথিবীর স্বাদ পায়না। অনলাইনে জীবনের বিভিন্ন দিক তুলে ধরা তাদের জন্য অত্যন্ত জরুরি একটি বিষয়। তবে ইন্টারনেটের কারণে পৃথিবীর বিশাল তথ্যশালা হাতের মুঠোয় থাকার গুরুত্বও অস্বীকার করা যাবে না।”

চিকিৎসকদের প্রতি গবেষকদের পরামর্শ ছিল, তারা যেন কিশোর-কিশোরীদের স্মার্টফোন ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের অত্যধিক ব্যবহার থেকে বিরত রাখার চেষ্টা করেন। তবে একেবারে বর্জন করার কথাও যেন না বলেন। বাবা-মায়েরও উচিত হবে সন্তানদের সঙ্গে এই দুই অনুষঙ্গের ব্যবহার নিয়ে সতর্ক থাকা এবং এদের ক্ষতিকর প্রভাব নিয়ে আলোচনা করা।

যুক্তরাষ্ট্রের এক জরিপ অনুযায়ী সেই দেশের ৫৪ শতাংশ কিশোর-কিশোরী মনে করেন তারা স্মার্টফোনে প্রয়োজনের চাইতে বেশি সময় নষ্ট করেন। এদের মধ্যে অর্ধেক কিশোর-কিশোরী স্বীকার করেছেন তাদের স্মার্টফোন ব্যবহার কমানোর চেষ্টা করছেন।

গবেষকরা বলেন, “আশার কথা হল, তরুণ প্রজন্ম স্মার্টফোন আর সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের মাত্রাতিরিক্ত ব্যবহারের ক্ষতিকর প্রভাব বুঝতে পারছেন এবং তা থেকে পরিত্রাণের পেতে পদক্ষেপ নিচ্ছেন।”

ছবি: রয়টার্স।

আরও পড়ুন