পরিষ্কার করার পরও স্নানের ঘরে ময়লাভাব না কাটার নানান কারণ থাকতে পারে।
Published : 20 Mar 2024, 01:58 PM
বাথরুম বা গোসলের ঘর যদি ভালো মতো পরিষ্কার না থাকে, তবে সেটা ব্যবহার করেও শান্তি পাওয়া যায় না।
আর নিয়মিত ধোয়ামোছার পরও যদি বাথরুমে ময়লাভাব থেকে যায়, তবে সেটার কারণ হয়ত স্বয়ং আপনি।
নিজেই যখন নোংরা হওয়ার কারণ
“প্রায় সময় না হলেও, গোসলখানা নোংরা হওয়ার প্রাথমিক কারণ আপনি নিজে”- রিয়েলসিম্পল ডটকম’য়ে প্রকাশিত প্রতিবেদনে এভাবেই মন্তব্য করেন নরওয়ে ভিত্তিক ‘পরিষ্কারক ও রিসাইকেল্ড মাইক্রোফাইবার’ তৈরির প্রতিষ্ঠান ‘নরওয়েক্স’য়ের পণ্য উন্নয়ন ব্যবস্থাপক কোর্টনি ল্যান্ড্রি।
এই বিশেষজ্ঞ বলেন, “সাবানের সাথে ত্বকের তেল মেশে। সেই সাবানের ফেনা গোসলের সময় পানিতে ধুয়ে গেলেও এর সাথে করে বয়ে চলা দেহের তেল, ময়লা, মরা চামড়া বাথরুমের কোণায় কোণায় জমে। এছাড়া গোসলের জায়গটা বেশিরভাগ সময় ভেজা থাকে, যে কারণে ছত্রাক ও ব্যাক্টেরিয়া জন্মানোর জন্য উপযুক্ত পরিবেশ পায়।”
আর গোসলের ক্ষেত্রে ব্যবহার করা নানান প্রসাধনীও বাথরুমে জমে ময়লাভাব তৈরি করে।
যথেষ্ট পরিমাণে পরিষ্কার না করা
ওপরের কারণগুলোর জন্য নিয়মিত বাথুরুম পরিষ্কার করতে হয়। না হলে ময়লা জমতেই থাকে। যে কারণে পরে ঠিক মতো পরিষ্কার হয় না।
ল্যান্ড্রি বলেন, “সাধারণত সবাই সপ্তাহে একবার বাথরুম বা টয়লেট পরিষ্কার করেন। তবে গোসলের সময় প্রতিদিন যদি প্রাথমিকভাবে পরিষ্কার রাখার চর্চাটা করা যায় তাহলে পরে বেশি খাটনি দিতে হয় না।”
যেমন- সাবানের ফেনা ভালো মতো নিষ্কাশণ করা, বেসিন ধোয়া। কমোড দুয়েক দিন পরপর ঘষামাজা করা।
“আসলে সময়ের অভাবে এসব করা হয় না নিয়মিত। তবে কয়েকদিন পরপর পরিষ্কারের রুটিন চালিয়ে গেলে বাথরুম ঝকঝকে রাখা যায় সহজে”- পরামর্শ দেন ল্যান্ড্রি।
সঠিক সরঞ্জাম ব্যবহার না করা
ল্যান্ড্রি বলেন, “বিশ্বাস করুন, আপনার হাতের মুঠোয় থাকা ওই ছোট্ট স্পঞ্জের টুকরা বাথরুম পরিষ্কারের জন্য যথেষ্ট নয়।”
এজন্য তিনি সঠিক মাপের ব্রাশ ব্যবহারের পরামর্শ দেন।
বাথটাব, কমোড বা প্যান ঘষার জন্য ত্রিভুজাকৃতি বা গোলাকার ব্রাশ ব্যবহার করতে হয়। বেসিনের চারপাশ, পানির কল পরিষ্কারের জন্য দরকার ছোট ব্রাশ ও মাইক্রোফাইবার। বাথরুমের মেঝে পরিষ্কারের জন্য চাই চওড়া ব্রাশ।
এছাড়া গোসলের পর মেঝে যাতে ভেজা না থাকে সেজন্য রাবারের ব্রাশ দিয়ে টেনে পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা করতে হবে।
সঠিক পরিষ্কারক ব্যবহার না করা
সাধারণ সাবানের গুঁড়া দিয়ে গোসলখানা পরিষ্কার করলে লাভ হয় না।
এক্ষেত্রে যেই পরিষ্কারকই ব্যবহার করা হোক না কেনো- পণ্যের গায়ে ‘বাথরুম’, ‘টয়লেট’, ‘টাইলস’, ‘বাথটাব’ লেখা আছে কি-না সেসব খেয়াল করতে হবে।
ছত্রাক ও ছাতা পড়ার সমস্যা সমাধানে নির্দিষ্ট মানের পণ্য বাছাই করতে হবে।
এছাড়া কম খরচে সবচেয়ে ভালো মতো পরিষ্কারের জন্য ব্লিচিং পাউডার ব্যবহারের পরামর্শ দেন, ল্যান্ড্রি।
ছবি: পেক্সেল্স ডটকম
আরও পড়ুন