বয়সের সঙ্গে মানসিক উন্নতি হয়। তবে শিশুদের উন্নত মানসিক অবস্থায় গড়ে তুলতে কিছু বিষয় খেয়াল রাখা উচিত।
বৃদ্ধির মানসিকতা হল যখন আমরা বুঝতে পারি যে, বয়স নির্বিশেষে সময় ও প্রচেষ্টার মাধ্যমে আমরা আরও বিচক্ষণ ও দক্ষতা হয়ে উঠতে পারি।
শিশুর মাঝেও এই মনোভাব সৃষ্টি করা জরুরি। প্রচেষ্টার মাধ্যমে যে বুদ্ধিমত্তা ও কাজের ক্ষমতা বাড়ানো যায় এটা শিশু বুঝতে পারলে সে নিজেকে প্রস্তুত করতে পারে।
দক্ষতা সহজাত ও অপরিবর্তনীয়- এমন ধারণা ভুলতে এই বিশ্বাস শিশুর মাঝে গড়ে তোলা উপকারী।
শিশুকে যা শেখাতে হবে
টাইমসঅবইন্ডিয়া ডটকম’য়ে প্রকাশিত প্রতিবেদনে ভারতের ‘ম্যাকুন্স প্লে স্কুল’য়ের সহকারী প্রতিষ্ঠাতা, শিক্ষাবিদ বিজয় কুমার আগারওয়াল বলেন, “শিশুদেরকে চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করা এবং বিফল হওয়া থেকে শিক্ষা গ্রহণ করা শেখাতে হবে। এতে সে লক্ষ্য অর্জনে উদ্বুদ্ধ হবে।”
বাস্তবসম্মত লক্ষ্য নির্ধারণ করে দেওয়া এবং ‘বৃদ্ধির মানসিকতার’ মডেলের ব্যবস্থা করা শিশুকে ঘরে ও বাইরে সফল হওয়ার জন্য প্রস্তুত করে তোলে।
তিনি বলেন, “শুরু করার ক্ষেত্রে অভিভাবক বা প্রশিক্ষকদের জন্য ‘গ্রোথ মাইন্ড সেট’ মডেল তৈরি করা বেশ জটিল। যদি তারা সকল ছাত্রদের মধ্যে কেবল একজনকে নিয়ে শুরু করতে চান।”
শিশুকে বৃদ্ধির মানসিকতা শেখানো ও উৎসাহিত করার কয়েকটি উপায় সম্পর্কে জানানো হল।
দুই ধরনের মাইন্ডসেটের সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দেওয়া
আগারওয়ালের মতে, “প্রথমত ও প্রধানত শিশুকে বৃদ্ধি ও স্থির মানসিকতার মধ্যে পার্থক্য বুঝতে দিতে হবে। এই দুইয়ের মধ্যে কোনটা তাদের জন্য সবচেয়ে ভালো সেটা এবং কীভাবে কিছু পরিবর্তন বাস্তবায়ন করা যায় তা বিবেচনা করার জন্য পরিস্থিতি কল্পনা করতে সহায়তা করা যেতে পারে।”
প্রচেষ্টা ও ফলাফল সম্পর্কে বোঝা
অনেক চেষ্টার পরেও কঠিন বা তার অপছন্দনীয় কাজের ফলাফল যদি আশানুরূপ ভালো না হয় তাহলে শিশুকে তার প্রচেষ্টার জন্য ধন্যবাদ দিন এবং হাল ছেড়ে না দিয়ে পরবর্তিকালে আরও ভালো করার জন্য অনুপ্রেরণা দিতে হবে।
ব্যার্থতাকে ইতিবাচকভাবে বোঝানো
শিশু কোনো কাজে বিফল হলে তাকে বকা ঝকা বা অপমানিত না করে বরং তার ভুলগুলো ইতিবাচকভাবে ধরিয়ে দিতে হবে। তার শক্তি, ত্রুটি এবং সম্ভাব্য উন্নতির বিষয়গুলো তার সামনে তুলে ধরার মাধ্যমে কীভাবে সে পরিবর্তিতে সফল হতে পারে তার ভিন্ন ভিন্ন কৌশল দেখিয়ে দেওয়া শিশুর মানসিক বৃদ্ধিতে সহায়তা করে।
মনে রাখতে হবে
আগারওয়াল বলেন, “স্থির মানসিকতার মানুষেরা সাধারণত নতুন জিনিসে চেষ্টা করার ঝুঁকি এড়িয়ে যান। এর মাধ্যমে বৃদ্ধি আটকে যায় এবং খারাপের আশঙ্কায় নতুন অনেক সুযোগ গ্রহণ থেকে বিরত থাকেন।”
নতুন চ্যালেঞ্জ গ্রহণের ইচ্ছা ও শেখার আগ্রহ- এই দুই বিষয় বৃদ্ধির মানসিকতা দিয়ে গঠিত হয়। তবে মনে রাখতে হবে, এই মানসিকতা সৃষ্টি হতে কিছুটা সময় নেয়।
আরও পড়ুন