শিশু ঘুমাতে না চাওয়ার কারণ

না ঘুমাতে চাওয়ার অনেক কারণ থাকতে পারে। তবে সঙ্গে কান্না জুড়লে কিছু বিষয় খেয়াল করা দরকার।

লাইফস্টাইল ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 11 August 2020, 06:52 AM
Updated : 11 August 2020, 06:52 AM

পরিবারে নতুন সদস্যের জন্ম নিঃসন্দেহে অনেক বড় একটা খুশির ঘটনা। তবে তাকে লালনপালনের ঝক্কিও কিন্তু কম নয়। ছোট্ট সোনামনি না ঘুমালে, কান্না করতে থাকলে তা পুরো পরিবারের ঘুম হারাম করার জন্য যথেষ্ট। আর শিশু কেনো কাঁদছে তা বুঝলে না পারলে সমাধানের উপায় পাওয়া মুশকিল হয়ে দাঁড়ায়।

শিশুর রাতে না ঘুমাতে না চাওয়ার কারণটা সহজ। নবজাতক রাতে একটানা আট ঘণ্টা ঘুমানোতে অভ্যস্ত নয়। এমনকি তার অর্ধেকটা সময়ও তাকে শান্তিতে ঘুম পাড়িয়ে রাখা কঠিন কাজ। তবে কান্না করার ব্যাপারটা ভিন্ন।

নবজাতকের রাতে না ঘুমানো বা অবিরাম কান্না করার কয়েকটি কারণ স্বাস্থ্য-বিষয়ক একটি ওয়েবসাইটে প্রকাশিত প্রতিবেদনের আলোকে জানানো হল।

শিশুর শরীর ২৪ ঘণ্টার সময়চক্রে অনভ্যস্ত

প্রতিটি পরিণত মানুষের দিনরাতের, কাজ আর বিশ্রামের সময়ের নিজস্ব চক্র আছে। সেই চক্রে বাঁধা পড়লে বা নতুন চক্রে অভ্যস্ত হতে হলে প্রাপ্তবয়স্কদেরও কষ্ট হয়।

নবজাতকের কোনো সময়চক্র এখনও গড়ে ওঠেনি, সবে মাত্র সে অভ্যস্ত হতে শুরু করেছে। বিশেষজ্ঞরা বলেন, দিনরাতের ২৪ ঘণ্টার সঙ্গে মানিয়ে নিতে নবজাতকের ১২ সপ্তাহ পর্যন্ত সময় লাগতে পারে।

এই সময়ের মধ্যে শিশুকে দিনে ঘুম পাড়ানোর পরিমাণ ধীরে ধীরে কমাতে পারেন, যাতে সে রাতে লম্বা সময় ঘুমায়। প্রয়োজনে তাকে দিনের আলোতে খেলতে নিয়ে যেতে পারেন, যাতে দিন ও রাতের তফাৎ অনুভব করা সহজ হয়।

শিশু হয়ত ক্ষুধার্ত

শিশুর মনের ভাব প্রকাশের মাধ্যম এখনও গড়ে উঠেনি। তাই তার চিৎকার, কান্না, জ্বালাতন ইত্যাদি থেকেই তার চাহিদাগুলো বুঝে নেওয়া ছাড়া আমাদের কোনো গতি নেই।

শুধু ঘুমের সময় নয়, যেকোনো সময়ই তার কান্না বা চিৎকারের কারণ হতে পারে ক্ষুধা কিংবা তৃষ্ণা। শিশুর পাকস্থলি ছোট তাই তাকে একসঙ্গে বেশি খাবার খাওয়ানো যায় না। ফলে খাওয়ানোর কয়েক ঘণ্টা পরেই তার আবার ক্ষুধা লাগা অস্বাভাবিক নয়।

তাই ঘুমের সময় কান্না করলে তাকে খাওয়ানোর চেষ্টা করে দেখতে পারেন।

শিশু যদি ক্লান্ত হয়

নবজাতক দিনে লম্বা সময় না ঘুমালে ক্লান্ত হয়ে পড়ে। এমন সময় ঘুমানোর অনুকূল পরিবেশ না পেলে সে জ্বালাতন করবে, চিৎকার বা কান্না করবে। এসময় চোখে ঘুমভাব আছে কি-না তা পরীক্ষা করতে হবে। যদি থাকে তবে ঘুমানোর অনুকূল পরিবেশ তৈরি করে দিতে হবে। 

অস্বস্তি হলে

ঘরের তাপমাত্রা খুব বেশি কিংবা খুব কম হলে প্রাপ্তবয়স্কদেরই অনেকসময় ঘুমাতে সমস্যা হয়। স্বাভাবিকভাবেই নবজাতকেরও তাই হবে, তারা বরং আরও বেশি সংবেদনশীল হবে। ফলে ঘুমাতে পারবেনা। আবার তার ডায়পারটা হয়ত ভেজা বা নোংরা, কিংবা হয়ত খুব আঁটসাঁট হয়ে আছে। এমন আরও অনেক অস্বস্তি তার ঘুমের বাধা হতে পারে। সেগুলো সমাধান আপনাকেই করতে হবে।

হয়ত আপনার সঙ্গে আরও খেলতে চায়

হ্যা, এমনটাও হতে পারে। হয়ত কোনো সমস্যাই নেই, বরং আপনার সন্তান আরও বেশি আপনার সান্নিধ্য চায়, আদর পেতে চায়। এসময় আপনার আদরও তাকে ঘুম পাড়াবে। বুকে জড়িয়ে ধরে রাখা, শরীরে হাত বোলানো- মোটকথা আপনার স্পর্শই এসময় সবচাইতে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়।

ছবি: রয়টার্স।

আরও পড়ুন