গর্ভাবস্থায় ঠোঁটের কালো দাগ দূর করার উপায়

গর্ভাবস্থায় ত্বকে নানান পরিবর্তন আসে।

লাইফস্টাইল ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 13 Sept 2022, 12:32 PM
Updated : 13 Sept 2022, 12:32 PM

শারীরিক পরিবর্তনের পাশাপাশি ঠোঁট শুষ্ক হয়ে যাওয়ার প্রবণতাও দেখা যায়।

গর্ভের বিকাশমান শিশুর চাহিদা মেটাতে এই সময়ের মধ্যে শরীরের অতিরিক্ত তরল এবং রক্ত তৈরি হয়। ত্বক প্রসারিত হওয়ার সাথে সাথে ত্বকের টানভাব আসে এবং আর্দ্রতাও হ্রাস পায়।

টাইমসঅবইন্ডিয়া ডটকম’য়ে প্রকাশিত প্রতিবেদনে ভারতের ‘স্কিনসেল’য়ের প্রতিষ্ঠাতা শিভাম চাকরালা বলেন, “অনেক সময়ে এসবের মাত্রা গর্ভবতী নয় এমন মহিলাদের তুলনায় সর্বোচ্চ ৫০ শতাংশ বেশি হতে পারে।”

এছাড়াও রক্তে শর্করার মাত্রা বৃদ্ধির ফলে বৃক্ক অতিরিক্ত কাজ করতে পারে। ফলে ঘন ঘন প্রস্রাব এবং পানিশূন্যতা দেখা দেয়। ফলে ঠোঁট এবং ত্বক শুষ্ক হতে পারে।

গর্ভাবস্থায় ঠোঁটের কালো দাগ দূর করার উপায় সম্পর্কেও জানান তিনি।

নিরাপদ উপকরণ ব্যবহার

লিপবামে যত উপকরণ কম তত বেশি নিরাপদ। গর্ভাবস্থায় কিছু উপাদান এড়িয়ে চলা উচিত। হাইপোঅ্যালার্জেনিক (অ্যালার্জিক রাসায়নিক ছাড়া) এবং সুগন্ধি-মুক্ত লিপচ্যাপ এবং বাম ব্যবহার করা ভালো।

গর্ভাবস্থায় ঠোঁটের শুষ্কতা কমাতে প্রাকৃতিক উপকরণ রয়েছে এমন লিপবাম লেবেল দেখে কিনে ব্যবহার করা প্রয়োজন।  

নারিকেল তেল

এটা প্রাকৃতিক ময়েশ্চারাইজার এবং উপশমকারক যা পাতলা ঠোঁটের আর্দ্রতা বজায় রাখতে সহায়তা করে। ব্যথানাশক এবং প্রদাহনাশক উপাদান সমৃদ্ধ হওয়াতে এই তেল শুষ্ক ঠোঁটের জন্য উপকারী।

মধুর মোম

এটা মধুর চাক থেকে সংগ্রহ করা হয়। আর আর্দ্রতা ধরে রাখতে সহায়তা করে। এটা শুষ্ক বাতাস থেকে পাতলা ঠোঁটকে সুরক্ষিত রাখতে পারে।

পেট্রোলিয়াম জেলি

আর্দ্রতা কমে যাওয়া রোধ করতে পেট্রোলিয়াম জেল ভালো কাজ করে। এটা ত্বকের শুষ্কতা ও জ্বালাপোড়া কমাতে এবং ঠোঁটকে আর্দ্র রাখে।

কোকোয়া বাটার

কোকোয়া’র বীজ থেকে তৈরি হয় কোকোয়া বাটার। এর অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট কোষের ক্ষয় কমাতে সহায়তা করে।

জোজোবা তেল

এতে থাকা ভিটামিন বি ও ই ত্বককে সতেজ করে তোলে। জোজোবা তেলের আরোগ্যকারী উপাদান প্রাকৃতিক সানস্ক্রিন হিসেবেও কাজ করে। ফলে সূর্যের আলো থেকে ঠোঁটকে সুরক্ষিত রাখতে পারে।

আর্গন তেল

এই ভেষজ তেলে রয়েছে ফ্যাটি অ্যাসিড, ভিটামিন ই এবং এ। এটা শুষ্ক ঠোঁটকে আর্দ্র ও কোমল করে। নারিকেল ও আর্গন তেল একসঙ্গে মিশিয়ে ব্যবহার করলে ভালো ফলাফল পাওয়া যায়।