Published : 28 May 2020, 01:00 PM
গাছের ডালে পাখি জাগে
যান্ত্রিকতায় যন্ত্র হয়ে ঘুরছি যখন ভন্ভন
পাখি দেখার সময় আমার ছিলো নাকি তখন?
চোখ থাকতে অন্ধ ছিলাম বন্ধ ছিলো মন
চারপাশ ভুলে ছিলাম সকল আপন জন।
করোনা ভয়ে আজকে যখন কাটছে ঘরে সময়
প্রতিক্ষণই লাগছে বিষাদ সময়ও এমন হয়?
নিজকে নিয়ে নিজে ছিলাম এক্কেবারে বিভোর
দিনের পরে দিন গিয়েছে হয়নি দেখা ভোর!
গাছে সবুজ পাতা আছে সেটাও ছিলাম ভুলে
এই করোনায় বন্দি করে চোখ দিয়েছে খুলে।
সারারাত ঘুম আসে না নিত্য উঠি প্রাতে
গাছের ডালে পাখি জাগে এখন আমার সাথে।
বাতাস এসে গাছের পাতায় ধরিয়ে মৃদু কাঁপন
আমার শরীর বুলিয়ে দিয়ে বলে আমিই আপন।
করোনাকাল বলছে যেনো হও রে আবার মানুষ
প্রকৃতিকে বাঁচিয়ে রাখায় ফিরিয়ে আনো হুঁশ।
কাক ও কোকিল
এই যে কাক বানায় বাসা কোকিল কি তা পারে?
চালাক কোকিল কাকের বাসায় বসে তো ডিম পাড়ে।
কাকরা বানায় বাসা আর কোকিল পাড়ে ডিম
বুঝতে এটা বোকা কাকে খায়তো হিমশিম।
উম্ দিয়ে বাচ্চা ফোটায় খাইয়ে করে বড়ো
তাদের মুখে ফুটে ভাষা গলায় কুহু স্বরও।
তারপরেও মায়ায় পুষে ওই ছানাদের কাকে
ঝড়-ঝঞ্ঝা বিপদ এলে আগলে ঠিকই রাখে।
জীবনভর চলছে এমন কাকরা পুষে কোকিল ছা
এই তো নতুন জানা হলো উচ্ছ্বাসে কই বাহ্ বা!
মা-রা সবাই এমনই হয় হয় না মায়ের তুলনা
বড় হয়ে কোকিল তুমি কাউয়া মাকে ভুলো না।
এই পাখিরা কোথায় ছিলো
এই শহরে পাখি আছে ছিলো না তো মনে
পাখি থাকে অনেক দূরে গাছ গাছালির বনে।
কিন্তু যখন এই সময়ে বন্দি আমি ঘরে
জানালা দিয়ে চেয়ে দেখি কত্ত পাখি ওরে!
ছোট্ট আমার উঠোনটাতে কিচিরমিচির করে
আনন্দেতে পুরো বাসা রাখছে তারা ভরে!
কী যে ভালো লাগছে এখন পাখির কূজন শোনে
দোয়েল শালিক ফিঙে চড়ুই কত্ত যাবো গোনে।
আসছে উড়ে যাচ্ছে উড়ে স্বাধীন চলাচল
এই পাখিরা কোথায় ছিলো আমায় তোরা বল?
এই পাখিদের বন্ধু হবো আসলে আবার সুদিন
পাখির তরে সময় দেবো শোধবো তাদের ঋণ।
হরেক রকম ফুল ফুটুক
করোনায় বন্দি থাকায় খুললো আমার চোখ
প্রকৃতি জাগছে আবার পাচ্ছি মনে সুখ।
দখিন হাওয়ায় গাছের শাখা নড়ছে এদিক ওদিক
ধোঁয়া ধুলো নেই বাতাসে সবই এখন ঠিক।
পাখিরা যে উড়তে পারে দেখছি চোখ খুলে
এতোদিন পাখির কথা ছিলাম কেনো ভুলে?
জানলা পাশে আজকে বসে টুনি এবং টোনা
মিষ্টি সুরে গাইছে গান হচ্ছে আমার শোনা!
রাস্তা জুড়ে হর্ন বাজিয়ে চলছে না তো গাড়ি
সবাই আছে ঘরের ভিতর শান্ত ঘর বাড়ি।
বিষে ভরা এই পৃথিবী শুদ্ধ হয়ে উঠুক
চারধার রঙিন হয়ে হরেক ফুল ফুটুক।
কিডস পাতায় বড়দের সঙ্গে শিশু-কিশোররাও লিখতে পারো। নিজের লেখা ছড়া-কবিতা, ছোটগল্প, ভ্রমণকাহিনী, মজার অভিজ্ঞতা, আঁকা ছবি,সম্প্রতি পড়া কোনো বই, বিজ্ঞান, চলচ্চিত্র, খেলাধুলা ও নিজ স্কুল-কলেজের সাংস্কৃতিক খবর যতো ইচ্ছে পাঠাও। ঠিকানা [email protected]। সঙ্গে নিজের নাম-ঠিকানা ও ছবি দিতে ভুলো না! |