রোগীর ভাই সেজে আরেক ব্যক্তি দিয়েছিলেন কিডনি।
Published : 07 Aug 2023, 08:52 PM
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের সুপার স্পেশালাইজড হাসপাতালে কিডনি প্রতিস্থাপনে অনিয়ম হলেও তাতে প্রতিষ্ঠানটির কোনো সংশ্লিষ্টতা ছিল না।
তদন্তে এটাই পাওয়া গেছে বলে সোমবার বিএসএমএমইউর এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে দাবি করা হয়।
বিএসএমএমইউ সুপার স্পেশালাইজড হাসপাতালে গত ১৭ জুলাই প্রথম কিডনি প্রতিস্থাপন করা হয়। ওই কিডনি প্রতিস্থাপনে দাতার মিথ্যা পরিচয় দেওয়ার অভিযোগ ওঠে।
সংবাদ মাধ্যমে খবর আসে, পিরোজপুরের যে ব্যক্তির কিডনি প্রতিস্থাপন করা হয়, তার ছোট ভাই সুসেন রায় এই কিডনি দিয়েছিলেন বলে জানিয়েছিল বিএসএমএমইউ। তবে কিডনি দানকারী ব্যক্তি সুসেন রায় নন, সুমিত হাওলাদার নামে অন্য ব্যক্তি।
সংবাদ প্রকাশের পর বিএসএমএমইউর হেপাটোবিলিয়ারি, প্যানক্রিয়াটিক অ্যান্ড লিভার ট্রান্সপ্ল্যান্টেশন সার্জারি বিভাগের অধ্যাপক মো. মহছেন চৌধুরীকে প্রধান করে চার সদস্যের তদন্ত কমিটি হয়।
সোমবারেরর সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, তদন্ত কমিটি কিডনিদাতা, গ্রহীতা, তাদের আত্মীয়-স্বজন, বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন কর্মকর্তা, কিডনি প্রতিস্থাপন দলের প্রধান, কিডনি প্রতিস্থাপনে গঠিত মেডিকেল বোর্ডের প্রধানের বক্তব্য শুনেছে।
“এতে স্পষ্ট হয় দাতার মিথ্যা পরিচয়ের সাথে বিশ্ববিদ্যালয়ের কারও কোনো ধরনের সংশ্লিষ্টতা পাওয়া যায়নি।”
আদালতের সম্মতিপত্র মাধ্যমে কিডনিদাতা নির্বাচিত হওয়ার পর চিকিৎসকের কাজ অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে কিডনি প্রতিস্থাপন করা উল্লেখ করে বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, চিকিৎসকের পক্ষে তা যাচাইয়ের সুযোগ নেই।
“দাতা ও গ্রহীতা নিজেদের স্বার্থে এবং কিডনি গ্রহীতার নিজ জীবন বাঁচাতে মিথ্যার আশ্রয় নিয়েছেন, যেখানে বিশ্ববিদ্যালয়ের কারও কিছু করার কোনো সুযোগ ছিল না।”
কিডনিদাতা এবং গ্রহীতা দুজনই সুস্থ হওয়ায় তাদের হাসপাতাল থেকে ছুটি দেওয়া হয়েছে বলেও বিজ্ঞপ্তিতে জানান হয়েছে।