সুঅভিনয়, নাচ আর হিট সিনেমা- শব্দগুলো বলিউডের যে নায়িকার নামের সঙ্গে জড়িয়ে আছে, সেই মাধুরী দীক্ষিত এবার বাস্তবে আসতে চলেছেন জনপ্রতিনিধির ভূমিকায়।
আনন্দবাজার বলছে, ভারতীয় জনতা পার্টির নেতাদের সঙ্গে ইদানিং যোগাযোগ বেড়েছে মাধুরী ও তার স্বামী মার্কিন নাগরিক ও প্রবাসী ভারতীয় ডা. শ্রীরাম নেনের।
কয়েকদিন আগে বিশ্বকাপের সেমিফাইনাল ম্যাচের গ্যালারিতে বিজেপি নেতা আশিস শেলারের সঙ্গে দেখা যায় মাধুরীকে। এরপর থেকে খবর উড়ছে ২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচনে ভোটে দাঁড়াতে চলেছেন মাধুরী।
এদিকে মাধুরীর এক ঘনিষ্ঠজন বলেছেন, রাজনীতিতে পা দিলে লোকসভা ভোটে নয়, রাজ্যসভাতে দেখা যাবে মাধুরীতে।
তবে মাধুরীর দিক থেকে এখনও আনুষ্ঠানিক কোনো ঘোষণা আসেনি।
১৯৮৮ সালে তেজাব সিনেমায় ‘এক দো তিন’ গানের সঙ্গে নেচে মাধুরী যে ঝড় তুলেছিলেন, তারপর আর পেছনে ফিরতে হয়নি তাকে।
তবে ১৯৮৪ সালে 'অবোধ' সিনেমা দিয়ে বলিউডে পা রাখার পরের চার বছর তাকে টিকে থাকার সংগ্রামই করতে হয়েছিল।
'তেজাব' হিট হওয়ার পর মাধুরীর মধ্যে নতুন মধুবালাকে খুঁজে পেয়েছিল ভারতের দর্শকরা। তারপর 'হাম আপকে হ্যায় কৌন’, ‘কোয়লা’, ‘দিল তো পাগল হ্যায়’, ‘খলনায়ক’-এর মত বহু সুপারহিট সিনেমা দিয়ে গেছেন তিনি, আর নাচের ক্ষেত্রে হয়ে উঠেছিলেন অদ্বিতীয়া।
১৯৯৯ সালে যুক্তরাষ্ট্র প্রবাসী ভারতীয় চিকিৎসক শ্রীরাম নেনেকে বিয়ে করার কিছু দিন পর অভিনয়ে বিরতি দিয়েছিলেন লিউডের ‘ধক ধক গার্ল’। বিয়ের পরপরই কয়েকটি সিনেমা করেছিলেন মাধুরী; সন্তান হওয়ার পর
ফের বিরতি দেন অভিনয়ে।
তবে দুই সন্তান বড় হওয়ার পর আবার অভিনয়ে ফিরেছেন মাধুরী। ২০১১ সালে মুম্বাই ফেরার পর একটি চলচ্চিত্র প্রযোজনা সংস্থাও গড়ে তুলেছেন।
কয়েকটি চলচ্চিত্রে অভিনয়ের পর গত বছর ওয়েব সিরিজ দিয়ে ওটিটিতে পা রাখেন মাধুরী।
দীর্ঘ ক্যারিয়ারে একাধিকবার তিনি সেরা অভিনেত্রীর পুরস্কার জিতেছেন। পাশাপাশি হিন্দি চলচ্চিত্রে অনবদ্য ভূমিকার জন্য ২০০৮ সালে ভারত সরকারের চতুর্থ সর্বোচ্চ বেসামরিক পুরস্কার হিসেবে তাঁকে পদ্মশ্রী পুরস্কারে ভূষিত করা হয়। তবে বর্তমানে মাধুরী অভিনয়ে খুব একটা নিয়মিত নন।