বিয়ের সময় দিলীপ কুমারের বয়স ছিল ৪৪ বছর, আর সায়রার ২২ বছর।
Published : 11 Dec 2022, 09:30 PM
বলিউডের প্রথম সুপারস্টার দিলীপ কুমারের সুপারহিট সিনেমা ‘মুঘল-ই-আজম’র প্রিমিয়ারে তাকে এক পলক দেখতে হাজির হয়েছিলেন ষোড়শী ভক্ত সায়রা বানু। কিন্তু সেই প্রদর্শনীতে দিলীপ কুমার না আসায় স্বপ্নের নায়কের দেখা পাননি তিনি।
পরে নিজেই নামেন সিনেমায়; নিজের দ্বিগুণ বয়সী দিলীপ কুমারকে বিয়েও করেন। তাদের এই বন্ধন টিকে ছিল সাড়ে ৫ দশক।
গত বছরের ৭ জুলাই দিলীপ কুমার সেই বাঁধন ছিড়ে পৃথিবী ছাড়লেও এখনও তার বিরহে কাতর স্ত্রী সায়রা।
শনিবার দিলীপ কুমারের জন্মশতবার্ষিকীর এক আয়োজনে গিয়ে সায়রা চোখের জলে বুক ভাসান বলে টাইমস অব ইন্ডিয়া জানিয়েছে।
কিংবদন্তি অভিনেতার ১০০তম জন্মবার্ষিকী স্মরণীয় রাখতে ফিল্ম হেরিটেজ ফাউন্ডেশন আয়োজিত চলচ্চিত্র উৎসব উদ্বোধন করেন সায়রা বানু।
অনুষ্ঠানে প্রয়াত স্বামীর ছবির সামনে দাঁড়িয়ে কান্নায় ভেঙে পড়েন প্রবীণ এই অভিনেত্রী।
অভিনেতার শেষ দিনগুলোর কথা স্মরণ করে তিনি বলেন, “এখনও আমার মনে হয়, যেন তিনি আমার পাশেই আরাম করে ঘুমোচ্ছেন। অসুস্থ থাকাকালীন দীর্ঘ সময় ধরে তিনি ঘুমাতেন। তারপর যখন চোখ খুলতেন, তা আমার কাছে কোনো উৎসবের থেকে কম ছিল না।”
দিলীপ কুমারের জন্ম ১৯২২ সালের ১১ ডিসেম্বর; পারিবারিক নাম ছিল ইউসুফ খান, সিনেমায় এসে তিনি দিলীপ কুমার নাম নেন।
মুঘল-ই-আজম, গঙ্গা যমুনা, রাম আউর শ্যাম, দেবদাস, নয়া দৌড়, ক্রান্তির মতো অসংখ্য ব্লকবাস্টার সিনেমা আসে দিলীপ কুমারের কাছ থেকে।
কামিনি কৌশল, মধুবালার সঙ্গে প্রেমপর্ব চুকিয়ে ১৯৬৬ সালে সায়রা বানুকে বিয়ে করেন দিলীপ কুমার। তখন দিলীপ কুমারের বয়স ছিল ৪৪ বছর, আর সায়রার ২২ বছর।
মধুবালা অধ্যায় চুকিয়ে সায়রা বানুর ‘কোহিনূর’ হয়েই ছিলেন দিলীপ কুমার
মাঝে সায়রা বানুর সঙ্গে সম্পর্কের টানাপড়েনের মধ্যে আসমা নামে আরেক পাকিস্তানি নারীকে জীবনে জড়ালেও সায়রার জীবনে ‘কোহিনূরহয়েই ফিরেছিলেন এই মহানায়ক।
দিলীপের অসুস্থতার সময়টার কথা স্মরণ করে সায়রা শনিবারের অনুষ্ঠানে বলেন, “ঘুম ভাঙার পর পাশ ফিরে সে দেখত আমাকে। সুন্দর তীক্ষ্ণ চোখে তাকিয়ে সবচেয়ে সুন্দর হাসিটি দিয়ে বলত- এখনও এখানে বসে রয়েছ তুমি সায়রা?
“আমি বলতাম, হ্যাঁ। আমি এখনও তোমার জন্য বসে আছি, যেন তোমাকে চোখ খুলতে দেখতে পারি। তুমি ঘুমিয়ে থাকলে পৃথিবী আমার কাছে অর্থহীন হয়ে যায়। তুমি জেগে উঠলে সমস্ত পৃথিবী জেগে ওঠে।”