ভারত-নিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরে তিন দশকের বেশি সময় পর সিনেমা হলের বাইরে ঝুলছে হাউজফুলের নোটিশ; একশর বেশি দেশে সম্প্রতি মুক্তি পাওয়া চলচ্চিত্র ‘পাঠান’ এর যে ঝড় চলছে, তারই আঁচ লেগেছে ‘ভূ-স্বর্গে’।
কাশ্মীরের প্রধান শহর শ্রীনগরের আইনক্স মাল্টিপ্লেক্সে ঝোলানো হয়েছে হাউজ ফুল বোর্ড, স্পাই থ্রিলার পাঠান দেখতে আসা দর্শকের উপচে পড়া ভিড়ে উচ্ছ্বসিত সিনেমা হল মালিকরা।
বৃহস্পতিবার আইনক্স হল কর্তৃপক্ষ টুইটে হাউজফুলের নোটিস শেয়ার করে বলেছে, “আজ পাঠান উন্মাদনা জাতিকে আঁকড়ে ধরেছে। ৩২ বছর পর কাশ্মীর উপত্যকায় মূল্যবান ‘হাউসফুল’ সাইন ফিরিয়ে আনার জন্য কিং খানের কাছে কৃতজ্ঞ! ধন্যবাদ শাহরুখ খান।”
টিকেট বুকিং সাইট ‘বুক মাই শো‘-তে দেখা গেছে- শুক্রবার দুপুর আড়াইটা থেকে সন্ধ্যা ৬টা নাগাদ ছয়টি শো এর মধ্যে পাঁচটির টিকেট হয় ‘বিক্রি শেষ’, না হয় ‘প্রায় শেষ’ লেখা উঠছিল।
সংবাদমাধ্যম লাইভ মিন্ট লিখেছে, পাঠান ও শাহরুখ খানকে ‘অসাধারণ ভালবাসা’ দেখিয়েছে কাশ্মীর। আরেকটি টুইটে আইনক্স জানিয়েছিল, পাঠান শো এর প্রথমদিন ২৫ জানুয়ারি সব শোতেই হাউজফুল ছিল।
বিশ্বব্যাপী মোট ৮ হাজার পর্দায় দেখানো হচ্ছে পাঠান। বড় পর্দা ছাড়াও ওটিটিতে মুক্তি পাবে সিনেমাটি। চলতি বছরের এপ্রিলে ‘অ্যামাজান প্রাইম ভিডিও’তে দেখা যাবে।
সিদ্ধার্থ আনন্দ পরিচালিত পাঠান হিন্দি, তামিল, তেলেগুসহ কয়েকটি ভাষায় মুক্তি দেওয়া হয়েছে বুধবার। শাহরুখ খান আর দীপিকা পাড়ুকোন ছাড়াও সিনেমায় খল চরিত্রে রয়েছে জন আব্রাহাম।
টাইমস অব ইন্ডিয়া বলেছে, মাত্র দুই দিনে ভারতের বক্স অফিসে ১২৫ কোটি রূপি ও বিশ্বব্যাপী ২১৫ কোটি রূপি ব্যবসা করেছে সিনেমাটি।
১৯৯০ দশকের শুরুর দিকেও ভারতের একমাত্র মুসলিমপ্রধান অঞ্চল কাশ্মীরের কেবল শ্রীনগরেই ১০টির মতো সিনেমা হল ছিল। শান্ত মনোরম তৃণমভূমি আর ছবির মতো সুন্দর দৃশ্যপটের জন্য এই এলাকায় বলিউডের অসংখ্য ছবির শুটিং হয়েছে। কিন্তু ১৯৮০-র দশকের শেষদিকে ভারতীয় শাসনের বিরুদ্ধে শুরু হওয়া সশস্ত্র বিদ্রোহ হলগুলো বন্ধ করতে বাধ্য করে।