রবীন্দ্রনাথ বাংলাদেশের অনেক কষ্টের অর্জন: রেজওয়ানা

রবীন্দ্রসঙ্গীত শিক্ষায় কর্মশালা পুরোপুরি কাজ করে বলে তিনি মনে করেন না রেজওয়ানা চৌধুরী বন্যা।

গ্লিটজ ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 16 March 2024, 08:33 AM
Updated : 16 March 2024, 08:33 AM

এক রক্তক্ষয়ী সংগ্রামের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশ যে জাতীয় সংগীত পেয়েছে, তাতে রবীন্দ্রনাথকেও অর্জন করা হয়েছে। তাই রবীন্দ্রনাথ ও রবীন্দ্রসংগীতের মর্যাদা বাংলাদেশে অনেক বেশি বলে মনে করেন শিল্পী রেজওয়ানা চৌধুরী বন্যা।

তিনি বলেন, “রবীন্দ্রনাথ আমাদের কাছে সব রকম সংগ্রামের অস্ত্র।”

কলকাতার বাংলা দৈনিক আনন্দবাজারকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে রবি ঠাকুরের গানকে বাঁচিয়ে রাখার প্রয়াসে করণীয়, রবীন্দ্রনাথের গানের হাল-হকিকত নিয়ে কথা বলেন বন্যা।

গান শেখার ক্ষেত্রে কর্মশালা কতটা জরুরি প্রশ্নে বন্যা বলেছেন, রবীন্দ্রসঙ্গীত শিক্ষায় কর্মশালা পুরোপুরি কাজ করে বলে তিনি মনে করেন না।

“একটা গান শিখে, তা নিয়ে চর্চা করা যায়, এইটুকুই। গান গুরুমুখী বিদ্যা। এখন সবাই দ্রুত সব কিছু শিখতে চায় বলে শিল্পের ক্ষেত্রে কর্মশালার প্রয়োজনীয়তা আরও বেড়েছে।“

ফেইসবুক, ইউটিউবসহ সোশাল মিডিয়ায় এক মিনিটের গান, গানের রিলের বিষয়টি কেমনভাবে তিনি দেখেন জানতে চাইলে বলেন, “আমি কর্মে, মননে পুরনোপন্থি। এখন গতির সময়। দ্রুত গতি। সেখানে অস্থির মানুষ এক মিনিটের গান শুনে হয়তো আনন্দ পাচ্ছেন। কিন্তু এতে আমার মনে হয় না শিল্পীর স্থায়িত্ব তৈরি হচ্ছে। এক মিনিটের গানে, রিলে অনেক চমক আছে। মানুষ শুধু গান কেন, যে কোনো কিছুতেই চমক চাইছে। জানি না, সকলে আমার সঙ্গে একমত হবেন কি না।”

বন্যার ভাষ্য, “রবীন্দ্রনাথের গানের মর্যাদা ঠুনকো কোনো বিষয় নয়। যারা রবীন্দ্রনাথকে ধারণ করেন, তাদের আশ্রয় রবীন্দ্রনাথ, এ আমি আমার জীবন দিয়ে উপলব্ধি করেছি।“

রবীন্দ্রনাথের গানকে পেশা হিসেবে নেওয়া যায় কিনা জানতে চাইলে বন্যার উত্তর, “গান এমনই জিনিস, সেটা পেশা হিসেবে নেওয়া যাবে কি না, তা উপরওয়ালা নির্ধারণ করেন। এটা গান গাওয়ার মানের উপর নয়, ভাগ্যের উপর নির্ভর করে। তবে আগের থেকে রবীন্দ্রনাথের গান গেয়ে এখন জীবিকা অর্জন সহজতর। সারা পৃথিবীতে এই গানের এত প্রচার, এত শ্রোতা। তবে ভাগ্য সহায় না হলে কিছুই হবে না।”

বন্যা বলেছেন মন খারাপের সময়ে ‘তোমার অসীমে’, ‘আমার মাথা নত করে দাও’, ‘দুঃখ আমার অসীম পাথার’ গানগুলো তাকে আশ্রয় দেয়।