মঞ্চ নির্মাণ করা হয় ইছামতি নদীর তীরে প্রত্ননিদর্শন ইদ্রাকপুর কেল্লার সামনে।
Published : 22 Jul 2023, 11:56 PM
তিন দশকের নিয়মিত ম্যাগাজিন অনুষ্ঠান ‘ইত্যাদি' এবার ধারণ করা হয়েছে মুন্সীগঞ্জে; যাতে দেখা যাবে ওই জেলার সন্তান ফেরদৌস ওয়াহিদ, তাহসান ও বালামকে।
আগামী শুক্রবার রাত ৮টার বাংলা সংবাদের পর বিটিভি ও বিটিভি ওয়ার্ল্ডে একযোগে অনুষ্ঠানটি প্রচারিত হবে। এতে জনপ্রিয় এই তিন সংগীত শিল্পীর পরিবেশনাও রয়েছে।
বরাবরের মতো হানিফ সংকেতের রচনা, পরিচালনা ও উপস্থাপনায় অনুষ্ঠানটি নির্মাণ করার কথা সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে ফাগুন অডিও ভিশন।
নির্মাতা প্রতিষ্ঠানটি জানায়, এবারের পর্বের মঞ্চ নির্মাণ করা হয়েছে ইছামতি নদীর তীরে প্রত্ননিদর্শন ইদ্রাকপুর কেল্লার সামনে, পুকুরের মাঝখানে। কেল্লার আদলে তৈরি করা হয়েছে দৃষ্টিনন্দন ভাসমান মঞ্চ। গত ১৪ জুলাই ধারণ করা অনুষ্ঠানটির মঞ্চ দূর থেকে দেখে মনে হচ্ছিল কেল্লার সামনে আর একটি ভাসমান কেল্লা।
ফাগুন অডিও ভিশন জানিয়েছে, এবারের অনুষ্ঠানে একটি নতুন গান পরিবেশন করেছেন মুন্সীগঞ্জের সন্তান শিল্পী তাহসান। গানটির কথা লিখেছেন কবির বকুল; সুর ও সংগীতায়োজন করেছেন সাজিদ সরকার।
এছাড়া আবদুল আলীমের গাওয়া একটি গান নতুন সংগীতায়োজনে গেয়েছেন সৈকত শিশু- জাহিদ, বাদশা আর শাহজাহান। গানটির সংগীতায়োজন করেছেন আকাশ মাহমুদ।
রয়েছে মুন্সীগঞ্জ জেলাকে নিয়ে একটি পরিচিতিমূলক গানের সঙ্গে স্থানীয় শতাধিক নৃত্যশিল্পীর নাচ। পদ্মাপাড়ে ধারণ করা গানটির কথা লিখেছেন কবির বকুল, সুর করেছেন হানিফ সংকেত, সংগীতায়োজন করেছেন মেহেদি। কণ্ঠ দিয়েছে পুলক ও তানজিনা রুমা। নৃত্য পরিচালনা করেছেন মনিরুল ইসলাম মুকুল।
দর্শকপর্বের নিয়ম অনুযায়ী, ধারণস্থান মুন্সীগঞ্জকে ঘিরে প্রশ্নোত্তরের মাধ্যমে উপস্থিত দর্শকের মাঝখান থেকে চারজন দর্শক নির্বাচন করা হয়। দ্বিতীয় পর্বে নির্বাচিত দর্শকদের সঙ্গে একটি পর্বে অংশ নেন নন্দিত শিল্পী ফেরদৌস ওয়াহিদ এবং বর্তমান প্রজন্মের শিল্পী বালাম; যাদের বাড়িও মুন্সীগঞ্জে।
নির্বাচিত দর্শক ও আমন্ত্রিত শিল্পীরা গেয়েছেন ফেরদৌস ওয়াহিদের একটি জনপ্রিয় গান এবং তার প্রয়াত চার বন্ধু আজম খান, ফিরোজ সাঁই, ফকির আলমগীর ও পিলু মমতাজের একটি করে জনপ্রিয় গানের অংশবিশেষ।
এবারের অনুষ্ঠানে নিরাপদ খাদ্য সম্পর্কে সবার সচেতনতা বাড়াতে একটি ছোট্ট নাটিকা প্রচার করা হবে। এতে অভিনয় করেছেন মীর সাব্বির, শাহেদ আলী ও শামীম আহমেদ।
রয়েছে মুন্সীগঞ্জের ঐতিহ্যে পরিণত হওয়া টিনের ঘর নিয়ে একটি অনুসন্ধানী প্রতিবেদন। তুলে ধরা হয়েছে বরগুনার তালতলী উপজেলার একটি গ্রামের চার বোনের জীবনচিত্র।
অনুষ্ঠানে মুন্সীগঞ্জের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নিয়ে যাদু প্রদর্শন করেন প্রবাসী যাদুশিল্পী ফারহানুল ইসলাম, যিনি ব্রাউন ম্যাজিক নামে পরিচিত। কানাডা প্রবাসী এ শিক্ষক দেশের কোনও টেলিভিশন পর্দায় এই প্রথম যাদু দেখাবেন।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, মুন্সীগঞ্জ মঞ্চে যথারীতি সমসাময়িক বিভিন্ন প্রসঙ্গ নিয়ে রয়েছে নানি-নাতির কথার মাতামাতি। নিয়মিত অন্যান্য পর্বসহ রয়েছে বিভিন্ন সমসাময়িক ঘটনা নিয়ে নাট্যাংশ।
টেলিভিশনে ‘বিকৃত উচ্চারণ’ এবং ‘ভাষা ব্যঙ্গ’, ভিউ দিয়ে শিল্পীর মান বিচার, সততার শিক্ষা, অনলাইন যেখানে অফলাইন, তৈল বনাম ভাগ্যগুণ, কৃষকের কথা, অপ্রিয় সত্যসহ বিভিন্ন বিষয়ের উপর রয়েছে বেশ কয়েকটি নাট্যাংশ।
এবারের ইত্যাদিতে অংশ নেওয়া অন্য শিল্পীদের মধ্যে আছেন-সোলায়মান খোকা, জিয়াউল হাসান কিসলু, মাসুম বাশার, সুভাশিষ ভৌমিক, জিল্লুর রহমান, শবনম পারভীন, মিলি বাশার, আমিন আজাদ, কামাল বায়েজিদ, বিণয় ভদ্র, ইকবাল হোসেন, নিপু, বিলু বড়ুয়া, সুজাত শিমুল, মুকিত জাকারিয়া, তারিক স্বপন, আনোয়ার শাহী, সাবরিনা নিসা, নজরুল ইসলাম, সুবর্ণা মজুমদার, জামিল হোসেন, আবু হেনা রনি, আনোয়ারুল আলম সজল, সাজ্জাদ সাজু, জাহিদ শিকদার, বেলাল আহমেদ মুরাদ, রবিন চৌধুরী, বাহার, মতিউর রহমান, রিমু রোজা খন্দকার।
এবারও ইত্যাদির শিল্প নির্দেশনা ও মঞ্চ পরিকল্পনায় ছিলেন মুকিমুল আনোয়ার মুকিম। পরিচালকের সহকারী হিসাবে ছিলেন রানা সরকার ও মোহাম্মদ মামুন।