‘ব্যানফ মাউন্টেইন ফিল্ম ফেস্টিভালে’ দেখান হয় এসব সিনেমা।
Published : 06 Dec 2024, 10:10 PM
বিশ্বের নানা প্রান্ত ঘুরে রাজধানী ঢাকায় হয়ে গেল পর্বতারোহণসহ দুঃসাহসিক কিছু ঘটনা নিয়ে তৈরি স্বল্পদৈর্ঘ্যের চলচ্চিত্র প্রদর্শনী ‘ব্যানফ মাউন্টেইন ফিল্ম ফেস্টিভাল’।
শুক্রবার এ উৎসবে দেখানো হয় নয়টি স্বল্পদৈর্ঘ্য সিনেমা। বাংলাদেশে এবার উৎসবটি হয়েছে একাদশ বারের মত।
রাজধানীর বাংলামোটরে বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্রে বিকেল সাড়ে ৪টায় শুরু দুই ঘণ্টার উৎসবের প্রথম অংশে দেখানো হয় চারটি সিনেমা।
মাউন্টেন বাইকিংয়ের উপর সাত মিনিট দৈর্ঘ্যের 'ফুয়েগু' সিনেমা দিয়ে প্রদর্শনী শুরু হয়। এরপর দেখানো হয় ২৬ মিনিট দৈর্ঘ্যের 'ইন্টারনাল ফ্লেম'। যেটি নির্মিত হয়েছে পর্বতারোহণ, বেইজ জাম্পিংকে কেন্দ্র করে।
৯ মিনিট দৈর্ঘ্যের 'হাউ ডিড উই গেট হেয়ার', ৪ মিনিট দৈর্ঘ্যের 'নো ওয়ে' সিনেমা দিয়ে শেষ হয় প্রথম অংশের প্রদর্শনী।
একদিনের উৎসেরব দ্বিতীয় অংশে ১০ মিনিটের বিরতি শেষে শুরু হয় বিশ্বের সবচেয়ে কঠিন পর্বতারোহণের পথের উপর নির্মিত ২৩ মিনিট দৈর্ঘ্যের তথ্যচিত্র 'রিল রক: ডিএনএ' দিয়ে।
এরপর দেখানো হয় 'টু পয়েন্ট ফোর', যেটি লিও হোল্ডিং নামের এক ব্যক্তি এবং তার স্ত্রী ও দুই সন্তানকে নিয়ে নরওয়ের জাতীয় পর্বতে আরোহনের ঘটনার ওপর বানানো তথ্যচিত্র।
এরপর প্রদর্শনীর পর্দায় জায়গা করে নেয় 'সাউন্ডস্কেপ' ও 'দ্য অ্যাসেনশন সিরিজ: মরাগ স্কেল্টন' সিনেমা।
৫ মিনিট দৈর্ঘ্যের 'দ্য অ্যাসেনশন সিরিজ: মরাগ স্কেল্টন' সিনেমাটি নির্মিত হয়েছে মরাগ স্কেলটন নামের একজন বধির অভিযাত্রীকে নিয়ে; যিনি তার সীমাবদ্ধতাকে অতিক্রম করে বরফের মধ্যে অভিযান চালান।
'ড্রাইভিং সুইপ' সিনেমা দিয়ে দ্বিতীয় অংশের প্রদর্শনী শেষ হয়৷
ব্যানফ মাউন্টেইন ফিল্ম ফেস্টিভালের বাংলাদেশের সমন্বয়ক মুনতাসির মামুন গ্লিটজকে বলেন, সীমিত পরিসরে এ উৎসব আয়োজন করা হলেও ভালো সাড়া পেয়েছেন। প্রতি বছর যে ধরনের দর্শক হয় তার থেকে বেশি দর্শক হয়েছে এবারের আয়োজনে। এই উৎসবের খুব প্রচারণা হয় না। সেই তুলনায় ধারণ ক্ষমতার বেশি দর্শক এসেছে।
‘অ্যাডভাঞ্চার’ সিনেমাগুলোর প্রতি আগ্রহ করে তুলতে এ উৎসবের আয়োজনের কথা তুলে ধরে মামুন বলেন, “এখন তো ভ্রমণটাই অ্যাডভেঞ্চার। সবারই বের হওয়া উচিত, বিভিন্ন ট্র্যাকে যাওয়া উচিত। এই ধরনের সিনেমা নির্মাণ করা উচিত। আমরা সিনেমা দেখার জন্য কোনো টিকেট সিস্টেম রাখি না। মূলত পর্বতারোহণ, রক ক্লাইম্বিং, স্কিইং, কায়াকিং, স্নোবোর্ডিং ইত্যাদি বিষয়গুলোতে মানুষের আগ্রহ তৈরি করতেই এই উৎসবের আয়োজন করা।"
১৯৭৬ সাল থেকে চলে আসা এ উৎসব ৪০টি দেশের প্রায় ৮০০টি শহরে বসে। অ্যাডভাঞ্চার ফিল্ম ফেস্টিভ্যাল হিসেবে এটি বেশ জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে।
কানাডাভিত্তিক সংগঠন ব্যানফ সেন্টার আয়োজিত এ উৎসবে দেখানো হয় পর্বতারোহণ, সাইক্লিং, রক ক্লাইম্বিং, স্কিইংসহ নানান রোমাঞ্চকর বিষয়ক পুরস্কারপ্রাপ্ত সিনেমা।
ঢাকায় এ আয়োজনের সার্বিক দায়িত্ব পালন করছে স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন কেওক্রাডং বাংলাদেশ। পৃষ্ঠপোষকতা করেছে বহুজাতিক কোম্পানি ইউলিভার বাংলাদেশের ব্রান্ড ‘ক্লিয়ার’।