বাংলাদেশ চলচ্চিত্র উন্নয়ন কর্পোরেশনের (বিএফডিসি) শুক্রবার সকাল ৯টা থেকে বিকাল ৬টা ১০ মিনিট পর্যন্ত ভোট দিয়েছেন চলচ্চিত্র শিল্পীরা।
শিল্পী সমিতির নির্বাচনের প্রধান নির্বাচন কমিশনার পীরজাদা শহিদুল হারুন সাংবাদিকদের বলেন, মোট ৪২৮ ভোটারের মধ্যে ৩৬৫টি ভোট পড়েছে।
তিনি বলেন, “আমরা এখনই ব্যালট গণনা শুরু করব। যত দ্রুত সম্ভব গণনা শেষ করে ফলাফল জানানো হবে।”
এবারের নির্বাচনে দুটি প্যানেল প্রতিদ্বন্দ্বিতা হয়েছে। তার মধ্যে মিশা সওদাগর-জায়েদ খান প্যানেল সবশেষ দুই মেয়াদে শিল্পী সমিতির নেতৃত্বে ছিল; তৃতীয়বারের মতো নির্বাচনে অংশ নিয়েছেন তারা।
আরেক প্যানেলে সাধারণ সম্পাদক পদের প্রার্থী অভিনেত্রী নিপুণ আক্তারকে নিয়ে সভাপতি পদে লড়ছেন ইলিয়াস কাঞ্চন।
দুই প্যানেল ও স্বতন্ত্র প্রার্থী মিলিয়ে মোট ২২ পদের জন্য ৪৪ জন প্রার্থী নির্বাচন করছেন।
দুয়েকটি অভিযোগ ছাড়া মোটামুটি সুষ্ঠু পরিবেশেই ভোট দিয়েছেন শিল্পীরা; ভোটার সংখ্যা ছিল ৪২৮টি।
নির্বাচনের দুপুর জায়েদ খানের বিরুদ্ধে ‘ভোটারদের টাকা দেওয়ার’ অভিযোগ তুলেছিলেন নিপুণ; যা জায়েদ খান অস্বীকার করেছেন। প্রধান নির্বাচন কমিশনার পীরজাদা শহিদুল হারুন সাংবাদিকদের বলেন, বিষয়টি নিয়ে লিখিত কোনো অভিযোগ তারা পাননি।
এর আগে সকালে এফডিসিতে ঢুকতে গিয়ে বাধার মুখে পড়েছেন শিল্পী সমিতি ছাড়া বাকি ১৭ সংগঠনের সদস্যরা; বিষয়টি নিয়ে বাংলাদেশ চলচ্চিত্র পরিচালক সমিতির সভাপতি সোহানুর রহমান সোহান এফডিসির মূল ফটকের সামনে প্রতিবাদ করেন।
এর বাইরে প্রার্থীদের খোশমেজাজেই দেখা গেছে এফডিসিতে; ভোটারদের সঙ্গে কুশল বিনিময়ের ফাঁকে প্রার্থীদের নিয়ে সমস্বরে গানও গাইতে দেখা গেছে ইলিয়াস কাঞ্চনকে।
সভাপতি প্রার্থী মিশা সওদাগর বলেন, “কাঞ্চন ভাইয়ের সঙ্গে নির্বাচন করতে পেরে আমি সম্মানিত। তিনি অত্যন্ত ভালো মানুষ, ভালো অভিনেতা। তবে আমি জয়ের ব্যাপারে ৬০ ভাগ আশাবাদী।”
মিশা সওদাগরের বক্তব্য ধরে ইলিয়ান কাঞ্চন জানান, তিনি ভোটের ফলাফলে বিশ্বাসী।
“শিল্পীরা সবাই খুব ভালো অভিনয় করে। যারা ভালো অভিনয় করে, তাদের ব্যাপারে আগেই কিছু বলতে চাই না। আমি ভোটের ফলাফলে বিশ্বাসী।”
নির্বাচনী পরিবেশ নিয়ে ভোটাররাও সন্তোষ প্রকাশ করেছেন; অন্যান্য বছরের তুলনায় এবার এফডিসিতে ভিড় কম ছিল। নির্বিঘ্নে ভোট দিতে পেরেছেন বলে জানান শিল্পীরা।