ইংরেজি, স্প্যানিশ, হিন্দি, তামিল, তেলেগুসহ বেশ কিছু ভাষায় ৩ ঘন্টা ১৫ মিনিট দৈর্ঘৈর এই সিনেমাটি মুক্তি পেতে যাচ্ছে ১৬ ডিসেম্বর।
Published : 09 Dec 2022, 09:55 PM
বহুল প্রতিক্ষীত সিনেমা ‘অ্যাভাটার: দ্য ওয়ে অব ওয়াটার’র ওয়ার্ল্ড প্রিমিয়ার অনুষ্ঠিত হল যুক্তরাজ্যের লন্ডনে।
২০০৯ সালে মুক্তি পাওয়া সর্বোচ্চ আয়করী সিনেমা অ্যাভাটারের সিক্যুয়েল এটি।
বিবিসি জানিয়েছে, জমকালো অনুষ্ঠানে পরিচালক জেমস ক্যামেরনের সঙ্গে লিসেস্টার স্করায়ের নীল গালিচায় যোগ দিয়েছিলেন স্যাম ওয়ার্থিংটন, জো সালদানা, সিগোর্নি ওয়েভার ও কেট উইন্সলেটের মত তারাকারা।
অনুষ্ঠানে সিগোর্নি ওয়েভার বলেন, “সিনেমায় আছে সুলি পরিবারের গল্প। তবে মূল বিষয় মানবিকতা, পরিবেশ, মানুষের লোভ লালসার বিরুদ্ধে সম্মিলিত যুদ্ধ বার্তা।“
২০০৯ সালে ‘অ্যাভাটার’ মুক্তির পরই এর সিক্যুয়েল আনার ঘোষণা দিয়েছিলেন নির্মাতা জেমস ক্যামেরন। তার প্রথম পরিকল্পনা ছিল চারটি সিক্যুয়েল তিনি আনবেন অ্যাভাটারের।
এর মধ্যে সিনেমার দৃশ্য ধারণ নিয়ে জটিলতা হয়েছে সাত বার। মুক্তির তারিখও পিছিয়েছে কয়েক দফা। অবশেষে দর্শকদের ১৩ বছরের অপেক্ষার পালা শেষ হচ্ছে ১৬ ডিসেম্বর।
ইংরেজি, স্প্যানিশ, হিন্দি, তামিল, তেলেগুসহ বেশ কিছু ভাষায় ৩ ঘন্টা ১৫ মিনিট দৈর্ঘ্যের এ সিনেমাটি মুক্তি পেতে যাচ্ছে।
সিনেমাটির গল্প লিখেছেন জেমস ক্যামেরন, সেইসাথে তিনি পরিচালক ও প্রযোজকও। সহ-প্রযোজক জন ল্যান্ডু।
এবারে নতুনদের মধ্যে আরও আছেন মিশেল ইয়ো, ক্লিফ কার্টিস, জোয়েল ডেভিড মুর, এডি ফ্যালকো এবং জেমাইন ক্লেমেন্ট।
স্টিফেন ল্যাং ‘খল’ চরিত্রে কর্নেল কোয়ারিচ হয়ে প্রত্যাবর্তন করছেন। যিনি আবারও একটি না’ভিকে পুনরুজ্জীবিত করছেন এবং নেইতিরি সঙ্গী জেক সুলির সঙ্গে বিরোধে জড়িয়েছেন।
কোয়ারিচের ষড়যন্ত্র থেকে প্যানডোরাকে বাঁচানোর নতুন যুদ্ধ ঘিরে আবর্তিত হয়েছে ‘অ্যাভাটার: দ্য ওয়ে অব ওয়াটার’ এর গল্প।
চলতি মাসেই সিনেমাটির দুটি ট্রেইলার প্রকাশ পেয়েছে। সিনেম্যাটোগ্রাফি আর ভিজ্যুয়াল ইফেক্টের চমকে না’ভিদের জাদুকরী জগৎ জীবন্ত হয়ে উঠেছে সেখানে।
‘প্যানডোরা’ নামের কাল্পনিক সেই গ্রহ থেকে অ্যাভাটারের দ্বিতীয় কিস্তির গল্পকে নির্মাতা জেমন ক্যামেরন নিয়ে যাচ্ছেন সাগরের তলদেশে। নীল বর্ণের না’ভিরা নিজেদের আবাসভূমি রক্ষায় সেখানে লড়ছে পানির নিচে।
তাই সিনেমার শুটিং শুরুর আগে পানির নিচে দম ধরে রাখার কৌশল রপ্ত করতে বিশেষজ্ঞদের কাছে প্রশিক্ষণ নিতে হয়েছে অভিনয় শিল্পীদের।
এদিকে, ধারণা করা হ্চ্ছে মুক্তির প্রথম সপ্তাহেই ‘অ্যাভাটার’র সিক্যুয়েল সিনেমাটি তুলে নেবে কমপক্ষে দেড়শো মিলিয়ন ডলার, এমনকি সেটি বেড়ে ১৭৫ মিলিয়ন ডলার পর্যন্তও পৌঁছাতে পারে।
১৩ বছর আগে অ্যাভাটারের প্রথম কিস্তি যখন পর্দায় আসে, তখন সেটি প্রথম সপ্তাহে আয় করে ৭৭ মিলিয়ন ডলার। শেষপর্যন্ত বিশ্বব্যাপী ২ দশমিক ৭ বিলিয়ন আয় করেছিল সিনেমাটি।
অ্যাভাটার ২: চোখ ধাঁধানো ট্রেইলারে নতুন যুদ্ধের বার্তা
অ্যাভাটার ২ আরও আবেগময়: ক্যামেরন