‘সুপারম্যান’ তারকা হেনরি ক্যাভিলের নাম বন্ড হিসেবে প্রস্তাব করেছেন সর্বোচ্চ সংখ্যক মানুষ।
Published : 25 Feb 2025, 03:52 PM
জেমস বন্ড হিসেবে আপনি কাকে দেখতে চান? ড্যানিয়েল ক্রেইগ জামানা শেষে বহুল চর্চিত যে প্রশ্ন ঘুরপাক খাচ্ছে বন্ড ভক্তদের মধ্যে, সেই প্রশ্নটিই নতুন করে উসকে দিয়েছেন জিরোজিরোসেভেনের দায়িত্ব নেওয়া প্রযোজনা সংস্থা অ্যামাজন এমজিএম স্টুডিওর চেয়ারম্যান ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা জেফ বেজোস।
তিনি এক্সে তার ৬৮ লাখ ফলোয়ারের কাছে জানতে চেয়েছিলেন,‘নতুন বন্ড হিসেবে আপনাদের পছন্দ কে?’
বিবিসিও সেই পছন্দের পাত্রের নাম খোঁজার চেষ্টা করেছে।
বেজোসের প্রশ্নের উত্তরে ‘সুপারম্যান’ তারকা হেনরি ক্যাভিলের নাম বন্ড হিসেবে প্রস্তাব করেছেন সর্বোচ্চ সংখ্যক মানুষ। এবং ক্যাভিল নিজেও বন্ড হতে তার আগ্রহের কথা অতীতে প্রকাশ করেছিলেন।
২০০৬ সালে 'ক্যাসিনো রয়্যালের’ জন্য যখন ক্রেইগকে বেছে নেওয়া হয়েছিল, তখন ক্যাভিলই ছিলেন দ্বিতীয় সেরা।
'ক্যাসিনো রয়্যাল’ সিনেমার পরিচালক মার্টিন ক্যাম্পবেল বছর দুই আগে এক সাক্ষাৎকারে বলেছিলেন বন্ড হিসেবে ক্যাভিল ভালো করতে পারতেন, যদি না ক্রেইগ জায়গাটা দখল করে নিতেন।
“সমস্যা আরেকটা আছে, ক্যাভিলকে বেশ তরুণ দেখায়।"
ছয় দশকের বেশি সময় ধরে ব্রিটিশ সিক্রেট সার্ভিসের এজেন্ট জেমস বন্ডের নিয়ন্ত্রণ ধরে রেখেছিল ইয়ন ফিল্মসের দুই প্রযোজক মাইকেল জি উইলসন ও বারবারা ব্রোকলি। দীর্ঘ ৬৩ বছর পর বন্ডের উপর সেই একচ্ছত্র নিয়ন্ত্রণ হারিয়েছে ইয়ন ফিল্মস।
এর কারণ গেল সপ্তাহের শেষ নাগাদ অ্যামাজন এমজিএম স্টুডিও ও ইয়ন ফিল্মসের মধ্যে একটি চুক্তি হয়েছে। ওই চুক্তির ফলে উইলসন ও ব্রোকলির হাতে এককভাবে বন্ডের সৃজনশীল নিয়ন্ত্রণ আর থাকছে না।
এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে উইলসন ও ব্রোকলি সহ স্বত্বাধিকারী হিসেবে থাকছেন এই ফ্র্যাঞ্চাইজির সঙ্গে। সিনেমার নতুন পর্বের সিদ্ধান্ত থেকে অভিনয়শিল্পী নির্বাচনসহ সৃজনশীল সব বিষয় নিয়ন্ত্রণ করবে অ্যামাজন এমজিএম।
সিনেমার নতুন পর্ব কবে আসবে, আগামী বন্ড কে হবেন, অন্যান্য অভিনয়শিল্পী কারা হচ্ছেন-সব কিছুর সিদ্ধান্ত নেওয়ার এখতিয়ার এখন অ্যামাজন এমজিএম স্টুডিওর হাতে।
১৯৬২ সালে শন কনেরি অভিনীত জেমস বন্ডয়ের প্রথম ছবি ‘ড. নো’ দিয়ে ব্রিটিশ গুপ্তচরকে প্রথম পর্দায় আনা হয়। আর ২০০৬ সালে ‘ক্যাসিনো রয়্যাল’ দিতে শুরু করে গত ১৫ বছরে অত্যন্ত ব্যবসাসফল পাঁচটি জেমস বন্ড সিনেমায় অভিনয় করার পর ব্রিটিশ স্পই চরিত্রটিকে ২০২১ সালে বিদায় জানান ড্যানিয়েল ক্রেইগ। ২০২১ সালের শেষের দিকে ‘নো টাইম টু ডাই’ মুক্তির মধ্য দিয়ে তার বন্ড অধ্যায় শেষ হয়।
পর জেমস বন্ডের নতুন সিনেমা হবে এই সিরিজের ২৬তম সিনেমা।
২০২২ সাল থেকে নতুন বন্ড খুঁজতে আঁটঘাট বেঁধে নামেন উইলসন ও ব্রোকলি, যদিও তার কোনো ফলাফল আসেনি।
ক্রেইগের বিদায়ের পর সে সময় বন্ড ফ্যাঞ্চাইজির পক্ষ থেকে বলা হয়েছিল, দুটি শর্তে কোনো নড়চড় নেই। সেগুলো হল বন্ডের বয়স এবং উচ্চতা। নতুন বন্ডকে ৩০ থেকে ৩২ বছর বয়সী হতে হবে, যাতে দীর্ঘসময় তাদের সঙ্গে সেই অভিনেতা থাকতে পারেন। এছাড়া আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হল উচ্চতা। নতুন বন্ডের উচ্চতা কম হলেও হতে হবে ৫ ফুট ১০ ইঞ্চি।
এছাড়া নির্মাতারা চাইছিলেন, বন্ড হয়ে যে অভিনেতাই আসুন না কেন, তাকে আগামী অন্তত এক থেকে দেড় দশক বন্ড হয়ে থাকতে হবে। অভিনেতার অভিনয় গুণ এবং যাবতীয় শর্ত পূরণ হলে তবেই নতুন বন্ডের নাম ঘোষণা করা হবে।
উইলসন ২০২২ সালে এক সাক্ষাৎকারে বলেছিলেন, “মনে রাখা দরকার, বন্ড কিন্তু একজন সৈনিক। সে যুদ্ধে লড়েছে। হয়তো এসএএসে ছিল কিংবা অন্য কোনো স্পেশাল ইউনিটে।”
কেভিলের ভাষ্য, “বন্ড হতে আমার ভালোই লাগবে। এটা ভেবেই আমি দারুণ রোমাঞ্চিত।"
এখন উইলসনের ভাষ্য, বর্তমানে বন্ড হতে ৪২ বছর বয়স ক্যাভিলের জন্য একটু বেশি বয়স হয়ে গিয়েছে।
“বিশেষ করে তাকে যদি পরপর কয়েকটি সিনেমার জন্য ভাবা হয়।"
বেজোসের প্রশ্নে বন্ড চরিত্রে টম হার্ডি, অ্যারন টেলর-জনসন ও ইদ্রিস এলবার নাম এসেছে।
ব্রিটিশ সিক্রেট সার্ভিসের এজেন্টের এই কালজয়ী চরিত্রের জন্য ৩৪ বছর বয়সী অ্যারন টেলর-জনসন প্রস্তাব পেয়েছেন বলে গুঞ্জন উঠেছিল।
তবে প্রযোজনা সংস্থা বা অভিনেতার মুখ থেকে ওই খবরের সত্যতা জানা যায়নি ।
সিনেমা সমালোচকরা ধারণা করছেন অভিনেতা জনসন বন্ড দৌড়ে পিছিয়ে পড়তে পারেন গত বছরে তার 'ক্র্যাভেন' সিনেমার ভরাডুবির কারণে।
বাজিকরদের হিসেবে গেল শুক্রবার পর্যন্ত বন্ড চরিত্রের জন্য সেরা পছন্দের অভিনেতা ছিলেন জেমস নর্টন।
বাফটা অ্যাওয়ার্ডের লাল গালিচায় ৩৯ বছর বয়সী নর্টন বলেছিলেন, “খবরটা অদ্ভুত বিভ্রান্তিকর এবং মজারও বটে।”
তিনি ২০১৯ সালে মুক্তি পাওয়া জনপ্রিয় সিনেমা ‘লিটল উইম্যান’ এ অভিনয় করেন। এছাড়া কিছুদিন আগে আমেরিকার থিয়েটারেও কিছু কাজ শুরু করেছেন।
এই অভিনেতা ‘ম্যাকমাফিয়া’, ‘হ্যাপি ভ্যালি’সহ কয়েকটি জনপ্রিয় টিভি সিরিজেও অভিনয় করেছেন।
অ্যামাজন কী তরুণ বন্ডে ঝুঁকবে?
জেমস বন্ডকে নিয়ে লেখা বইয়ের লেখক ফেলা ও’কনেল জেমস বলেছিলেন বন্ড হতে হবে এমন একজনকে যাকে এক নজরে গ্রহণ করে নেবে দর্শকেরা, চিনে ফেলবে বলা যায়।
আকর্ষণীয় ও বুদ্ধিমত্তার ব্যক্তিত্বসম্পন্ন সেই পুরুষটিকে দীর্ঘ সময় ধরে সেলুলয়েডের পর্দা শাসন করতে হবে।
এবং সেই অভিনেতাকে অবশ্যই এমন একজন হতে হবে, যিনি উপস্থাপন করবেন ব্রিটিশ সংস্কৃতিকে।
এবারে প্রযোজনা সংস্থা বদলের পর লেখক ও’কনেল জেমস বলেছেন, তার বিশ্বাস অ্যামাজনও বন্ড হিসেবে ব্রিটিশ অভিনেতাকেই বেছে নেবেন।
কয়েকজন অভিনেতার নাম আসছে মন্তব্য করে ও’কনেল জেমস বলেন, "তাদের দেখে আমি ভাবি তারাতো বন্ড হিসেবে বয়সে একটু বেশি হয়ে গেছেন। আমি মনে করি অ্যামাজন এবার বয়স কমাবে। ত্রিশ ছুঁইছুঁই কাউকে নেবে।"
তিনি বিবিসিকে বলেন, "আমার ধারণা অ্যামাজন এবার আগের তুলনায় আরও তরুণ একজন অভিনেতাকে বেছে নেবে।“
টম হার্ডির নাম করে এই লেখক বলেন, " দারুণ হবেন, কিন্তু আমি বলছি না যে তিনি অনেক বয়সী, তবে হ্যাঁ, একটু বেশি বয়সী।"
'ব্রিটিশ ডিএনএ' বজায় রাখার পক্ষে
ইতিহাসে দু্ইবার বন্ড চরিত্রে ব্রিটিশ নন, এমন অভিনেতাকে নেওয়া হয়েছিল। তারা হলেন অস্ট্রেলিয়ার জর্জ ল্যাজেনবি ও আয়ারল্যান্ডের পিয়ার্স ব্রসনান।
তাই আয়ারল্যান্ডের কিলিয়ান মারফি, এডেন টার্নার বা অস্ট্রেলিয়ার জ্যাকব এলর্ডির মত তারকাদের সম্ভাবনাও একেবারে উড়িয়ে দিচ্ছে না বিবিসি।
অ্যামাজনের হাতে বন্ডের সৃজনশীল দায়িত্ব চলে যাওয়ায় অনেক সিনেমা সমালোচক মনে করছেন, ব্রিটিশ অভিনেতাকে বন্ড হিসেবে নেওয়ার রীতি এবার ধাক্কা খেতে পারে।
এক্ষেত্রে যুক্তরাষ্ট্রের অভিনেতা অস্টিন বাটলারের নাম বেশ শোনা যাচ্ছে।
লেখক ও'কনেল ন ব্রিটিশ অভিনেতা হ্যারিস ডিকিনসনের নাম প্রস্তাব করে বলেছেন, “এই তরুণ আপাদমস্তক ব্রিটিশ।”
ও'কনেল বলেন, “অ্যামাজনের কাছে প্রত্যাশা তারা যেন ব্রিটিশ ডিএনএ ধরে রাখে। সেটি না করলে বড় ভুল হবে। বিষয়টি উদ্বেগের হয়ে যাবে। তবে অ্যামাজন কী সিদ্ধান্ত নেয়, সেটা সময় বলে দেবে।”
এছাড়া 'চ্যালেঞ্জার্স' তারকা জোশ ও'কনর (৩৪), 'ব্যাবিলন' সিনেমা স্টুয়ার্ট মার্টিন (৩৯) ও 'হোয়াইট লোটাসে’ থিয়ো জেমসের (৪০) মত ব্রিটিশ অভিনেতাদের নাম বন্ডের জন্য প্রস্তাব করেছেন দর্শকরা।
এদের বাইরে ক্যালাম টার্নার, রিচার্ড ম্যাডেন, উইল পোল্টার ও নিকোলাস হোল্টের নামও উঠে এসেছে।
বন্ডকে পুরুষেই হতে হবে?
১৯৬২ সালে লেখক ইয়ান ফ্লেমিংয়ের সৃষ্ট বন্ড চরিত্র শন কনারি যখন পর্দায় আসেন, তখন থেকে এ চরিত্রের চুলের রং, চোখের রং ও উচ্চারণ পরিবর্তন হয়েছে।
তবে এ পর্যন্ত বন্ডের লিঙ্গ ও গাত্রবর্ণ কখনও বদলায়নি।
‘নো টাইম টু ডাই' সিনেমায় সংক্ষিপ্ত সময়ের জন্য লাশানা লিঞ্চ ‘জিরোজিরোসেভেন’ উপাধি পেলেও জেমস বন্ড চরিত্রটি পুরুষই ছিল।
২০২০ সালে প্রযোজক ব্রোকলি স্পষ্ট করে বলেছিলেন, "বন্ড যে কোনো বর্ণের হতে পারে, কিন্তু সে অবশ্যই পুরুষ।"
তার ভাষ্য ছিল তিনি কোনো পুরুষ চরিত্রকে নারীতে রূপান্তরিত করতে আগ্রহী নন।
ব্রোকলির কথায়, "নারীরা বন্ডের চেয়ে অনেক বেশি আকর্ষণীয় চরিত্র পাওয়ার যোগ্য।"
উইলসন ও ব্রোকলির সিদ্ধান্ত ছিল, বন্ডকে অবশ্যই ব্রিটিশ হতে হবে, এই রীতির বাইরে যাওয়া চলবে না।
'ব্রিজারটন' অভিনেতা রেগে-জাঁ পেজ ও কিংসলে বেন-আদিরের নাম এসেছে প্রথম অশ্বেতাঙ্গ বন্ড হিসেবে।
লুসিয়েন লাভিসকাউন্ট, পাপা এসিয়েড়ু, ড্যামসন ইদ্রিস, রিজ আহমেদ ও অ্যারন পিয়েরের নামও উঠেছে।
তবে অ্যামাজন যদি ব্রোকলির নিয়ম ভাঙতে চান, তাহলে নারী বন্ড হতে পারেন সিনথিয়া এরিভো।
বছরখানেক আগে অভিনেতা ইদ্রিস এলবার নামও বন্ড চরিত্রের জন্য আলোচনায় ছিল।
২০২৩ সালে এলবা বলেছিলেন, "বন্ড চরিত্রে আমার নাম শোনার পর বর্ণবিদ্বেষী প্রতিক্রিয়ার শিকার হয়েছি। এই ঘটনা হতাশাজনক।"
বন্ড হালকা মেজাজের হতে পারেন না?
ভবিষ্যৎ জেমস বন্ড নিয়ে আলোচনা করার বিষয়টি এখন 'জাতীয় ও আন্তর্জাতিক নেশায়' পরিণত হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন বিবিসি রেডিও ১-এর চলচ্চিত্র সমালোচক আলি প্লাম্ব।
তিনি বলেছেন, অভিনেতাহ্যারিস ডিকিনসন বা লিইয়ো উডঅলের নাম সামনে আসছে।
" নিশ্চিতভাবে কিছু বলতে পারছি না, এখনও সবকিছু অনিশ্চিত।"
এম্পায়ার ম্যাগাজিনের ক্রিস হিউইট বলেছেন ক্রেইগ তার পছন্দের বন্ড ছিলেন।
"অ্যামাজন যদি বন্ডের মজার দিকটা ফিরিয়ে আনতে পারে, প্রশংসা কুড়াবে।"
বন্ড ভক্ত ও লেখক আজয় চৌধুরীর কথায়, বন্ড চরিত্রটি ফ্যান্টাসি এবং মজারও।
"বিনোদনের অনুভূতি ফিরিয়ে আনা উচিত।"
প্রযোজকরা সবসময় সিরিয়াস ও হালকা মেজাজের বন্ডের মধ্যে একধরনে ভারসাম্য বজায় রেখে কাজ করেন বলে মন্তব্য করেছেন অজয় চৌধুরী।
"যেমন টিমোথি ডাল্টনের সিরিয়াস বন্ডের পর এসেছিলেন হালকা মেজাজের বন্ড ব্রসনান। তারপর ড্যানিয়েল ক্রেইগ আবার সিরিয়াস হয়ে আসলেন।"
রসবোধ বা মজার দিকটা ফিরিয়ে আনার সময় হয়েছে বলে মনে করেন অজয় চৌধুরী।
আবার এমন কোনো অভিজ্ঞ অভিনেতা, যার তারকাখ্যাতিও তেমন নেই, এমন কারো কথাও ভাবা যেতে পারে বলে জানিয়েছেন এই লেখক।
অজয় চৌধুরীও বন্ডের জন্য ব্রিটিশ অভিনেতার গুরুত্ব তুলে ধরেন বলেছেন, এমন একজনকে দরকার, যিনি ব্রিটিশ টেলিভিশন এবং হলিউড ইন্ডাস্ট্রি দুই জায়গাতেই কাজ করেছেন।
"আবার তিনি এতটাও বড় কোনো তারকাভিনেতা নন, যে তার নাম ঘোষণা করা মাত্র দর্শকরা বলবেন, তাকেই তো বন্ড হিসেবে কল্পনা করা হচ্ছিল এতদিন।
"এমন কেউ আসুক যার খ্যাতির পরিমিতি আছে, বড়াই নেই এবং বাড়তি জনপ্রিয়তাও নেই।"
এছাড়া বয়সের দিকটি মাথায় রেখে বাছাই করতে হবে যাতে তিনি পরবর্তী তিনটি বা চারটি সিনেমা টেনে নিয়ে যেতে পারেন বলেও মন্তব্য করেছেন অজয় চৌধুরী।
এক দশক চালিয়ে যাবেন, খোঁজা হচ্ছে এমন বন্ড
অ্যামাজনের হাতে কী হবে জেমস বন্ডের?