"আমি সবসময় চ্যালেঞ্জের মধ্য দিয়ে গিয়েছি। এবারও এর মধ্য দিয়ে যাব।"
Published : 06 Dec 2023, 01:12 PM
মনোনয়নপত্র বাতিলের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে নির্বাচন কমিশনে আপিল করেছেন বগুড়া-৪ আসনের প্রার্থী আশরাফুল হোসেন আলম ওরফ হিরো আলম।
বুধবার নির্বাচন ভবনে আপিল আবেদন জমা দিতে এসে তিনি মনে করিয়ে দিয়েছেন আগের তিনবারের অভিজ্ঞতার কথা। বলেছেন, “প্রতিবার কমিশন থেকে বাতিলের পর হাই কোর্ট থেকে ফেরত পেয়েছি। এবারও তাই করব।"
আলোচিত অনলাইন কনটেন্ট ক্রিয়েটর হিরো আলম ২০১৮ সালের সাধারণ নির্বাচন এবং এ বছরের শুরুতে বগুড়া-৬ (সদর) আসনের উপনির্বাচনে অংশ নেন। সবশেষ তিনি অংশ নেন ঢাকা-১৭ আসনের উপ নির্বাচনে।
প্রতিবারই এক শতাংশ ভোটারের স্বাক্ষর জটিলতার কারণ দেখিয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিরো আলমের মনোনয়নপত্র বাতিল করা হয়। প্রথম দুইবার উচ্চ আদালতের নির্দেশে তিনি প্রার্থিতা ফিরে পান। আর ঢাকার উপ নির্বাচনে নির্বাচন কমিশনে আপিল করেই তিনি নির্বাচনে অংশ নেওয়ার ছাড়পত্র পেয়ে যান। কিন্তু জয় মেলেনি কোনোবারই।
এবার বগুড়া-৪ আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার জন্য বাংলাদেশ কংগ্রেস পার্টির মনোনয়নে প্রার্থী হন হিরো আলম। তবে যাচাই-বাছাইয়ের সময় রিটার্নিং কর্মকর্তারা দেখেন, হিরো আলম যথাযথভাবে মনোনয়নপত্র পূরণ করেননি।
দলীয় প্রার্থী হলেও তিনি মনোনয়নপত্র পূরণ করেছেন স্বতন্ত্র হিসেবে। রাজনৈতিক দলের ঘরে লিখেছেন ‘প্রযোজ্য নহে’। দলীয় মনোনয়নের মূল কপি তিনি জমা দেননি, ফটোকপি দিয়েছেন।
আবার স্বতন্ত্র প্রার্থী হতে হলে ভোটার তালিকার এক শতাংশ ভোটারের সমর্থনের তথ্য জমা দিতে হয়, সেটাও দেননি হিরো আলম। হলফনামার সঙ্গে সম্পদের আয়-ব্যয় বিবরণী তিনি জমা দেননি। এ ছাড়া তার হলফনামা নোটারি করা থাকলেও সেখানে স্বাক্ষর করেননি। সব মিলিয়ে তার মনোনয়নপত্র বাতিল করেন রিটার্নিং কর্মকর্তা।
সেই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আপিল করে হিরো আলম বলেন, "ছোটোখাটো ভুল হয়েছে এবার। আমি মনে করি কমিশন থেকে আমার মনোনয়ন ফেরত পাব।
"আমি বাংলাদেশ কংগ্রেসের প্রার্থী হয়েছিলাম এবার। স্বাক্ষর না করায় বাতিল হল। স্বতন্ত্র হওয়ার প্রস্তুতিও ছিল। কিন্তু দলীয় মনোনয়ন হওয়ায় আর স্বতন্ত্র করি নি। আপিল করেছি, দেখি কি হয়।”
নির্বাচনে কী ধরনের চ্যালেঞ্জ দেখছেন- এই প্রশ্নে আলোচিত এই ইউটিউবার বলেন, "আমি সবসময় চ্যালেঞ্জের মধ্য দিয়ে গিয়েছি। এবারও এর মধ্য দিয়ে যাব।"
ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী, মনোনয়নপত্র বাতিল হওয়া প্রার্থীরা আগামী ৯ ডিসেম্বর পর্যন্ত নির্বাচন কমিশনে আপিল করতে পারবেন। ১০ থেকে ১৫ ডিসেম্বর আপিল নিষ্পত্তি করবে নির্বাচন কমিশন।
প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ সময় ১৭ ডিসেম্বর। রিটার্নিং কর্মকর্তারা প্রতীক বরাদ্দ করবেন ১৮ ডিসেম্বর। নির্বাচনি প্রচার চলবে ৫ জানুয়ারি সকাল ৮টা পর্যন্ত। ভোট হবে ৭ জানুয়ারি।
পুরনো খবর