শ্রীলেখা ফেইসবুকে এক পোস্টে ঋতুপর্ণাকে উদ্দেশ্য করে বলেন, “চুরি না করলে টাকা ফেরত দিতে চাইছেন কেন?”
Published : 03 Jul 2024, 05:48 PM
রেশন দুর্নীতি মামলায় ভারতের কেন্দ্রীয় তদন্ত সংস্থার জেরার পর নিজের জড়িত থাকার বিষয়টি অস্বীকার করলেও এখন ৭০ লাখ রুপি ফেরত দিতে চাইছেন অভিনেত্রী।
এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টোরেট-ইডির মাধ্যমে পাওয়া এই খবর প্রকাশ করেছে কলকাতার বিভিন্ন সংবাদমাধ্যম।
সংবাদ প্রতিদিন লিখেছে, রেশন দুর্নীতি মামলায় দুই দফা তলবের পর গত ২০ জুন সল্টলেকে ইডির দপ্তরে হাজির হয়েছিলেন ঋতুপর্ণা। সেদিন টানা পাঁচ ঘণ্টা জেরার পর বাইরে বেরিয়ে এসে সাংবাদিকদের এই নায়িকা বলেছিলেন, তদন্তে সব ধরনের সহযোগিতা করতে তিনি রাজি আছেন। এখন খবর এসেছে, ৭০ লাখ রুপি ফেরত দিতে ইডির কাছে আবেদন করেছেন ঋতুপর্ণা।
রেশন দুর্নীতি মামলায় গ্রেপ্তার এক ব্যক্তির সঙ্গে ঋতুপর্ণার ‘আর্থিক লেনদেনের’ তথ্য এসেছে ইডির তদন্তে।
এরপর অভিনেত্রীকে এই মামলায় ইডি প্রথম তলব করে মে মাসের শেষ দিকে। সে সময় ঋতুপর্ণা দেশের বাইরে ছিলেন। তিনি মেইলে কেন্দ্রীয় তদন্ত সংস্থাকে জানিয়েছিলেন, দেশে ফিরে ইডির সঙ্গে যোগাযোগ করে তাদের দপ্তরে যাবেন।
ঋতুপর্ণা বলেছিলেন, “আমি এ বিষয়ে কিছুই জানি না। রেশন দুর্নীতি কী, সে সম্পর্কে আমার কোনো ধারণা নেই। আচমকাই এই খবর পেলাম।”
এরপর অভিনেত্রী দেশে ফিরলেও ইডির অফিসে যাননি। তাই জেরার জন্য ঋতুপর্ণাকে নতুন করে চিঠি পাঠতে হয় ইডিকে।
ওই চিঠির পর ইডির দপ্তরে হাজিরা দেন ঋতুপর্ণা। সেদিন জিজ্ঞাসাবাদ শেষে নায়িকা বলেছিলেন, “আমাকে তদন্তের জন্য কিছু ডকুমেন্টস দিতে বলা হয়েছিল। আমি সেটা দিয়েছি। পুরো বিষয়টা ডিপার্টমেন্ট আর আমাদের ব্যাপার।”
এর আগে ২০১৯ সালে অর্থলগ্নিকারী সংস্থা রোজভ্যালির দুর্নীতি মামলাতেও এ অভিনেত্রীকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছিল ইডি।
চুরি না করলে টাকা কেন ফেরত দিচ্ছেন?
ঋতুপর্ণার এ ঘটনা নিয়ে সোশাল মিডিয়ায় ক্ষোভ ঝেড়েছেন পশ্চিমবঙ্গের আরেক অভিনেত্রী শ্রীলেখা মিত্র।
ফেইসবুকে এক পোস্টে তিনি বলেন, “চুরি না করলে টাকা ফেরত দিতে চাইছেন কেন? ৭০ লাখ টাকা তো আর মুখের কথা নয়। সাধারণ মানুষের চুরি করা টাকা। কেউ নিজের গাঁট থেকে এমনি এমনি এতগুলো টাকা দেয় না। ক্যামেরার সামনে হাত নেড়ে কী প্রমাণ করতে চাইছেন? আপনি অস্কার পাচ্ছেন না, আপনাকে চোর বলা হচ্ছে। লজ্জাও করে না?
শ্রীলেখা আরও লিখেছেন, “তারপরও মিডিয়া তাদের নম্বর ওয়ান শিরোপা দেবে। আমার ভিডিওর কিছু অংশ নিয়ে মিডিয়ার এক অংশ এবং ইন্ডাস্ট্রির এক অংশ তাদের হয়েই কথা বলবে। দুর্নীতির আর সীমা পরিসীমা নেই। ধিক্কার জানাই।”
একই ইন্ডাস্ট্রিতে কাজ করা শ্রীলেখা এবং ঋতুপর্ণার মধ্যে যে সদ্ভাব নেই, সেটি নানা সময়ে শ্রীলেখা প্রকাশ করেছেন। কিছুদিন আগে লাইভে এসে শ্রীলেখা বলেছিলেন, নামিদামি পরিচালকরা মূল চরিত্রের জন্য ঋতুপর্ণা ছাড়াও কাউকেই চোখে দেখতে পান না।
পুরনো খবর
রেশন দুর্নীতি: ইডির দপ্তরে ঋতুপর্ণাকে ৫ ঘণ্টা জেরা